হ্যাপটিস্টা
Haptista

জীববিজ্ঞানের ডাইয়াফোরটোক্স থাকের অন্তর্গত একটি বিশেষ থাক। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে থমাস ক্যাভালিয়ার-স্মিথ (Thomas Cavalier-Smith) নামটি প্রথম প্রস্তাব ও প্রকাশ করেছিলেন। প্রাচীন গ্রিক Hapt- (ἅπτω (háptō শব্দের অর্থ স্পর্শ করা, ধরা, আঁকড়ে ধরা।+ -ista (ল্যাটিন/গ্রিক-ভিত্তিক ট্যাক্সোনমিক সাফিক্স)। উভয় মিলে এই বিশেষ থাককে হ্যাপটিস্টা রাখা হয়েছিল। উল্লেখ্য, হ্যাপটোফাইটার সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যময় অঙ্গটির নাম হ্যাপটোনিমা (haptonema) , এটি এক ধরনের সূক্ষ্ম, আঠালো, স্পর্শকারী বা শিকার ধরার অঙ্গ। অর্থাৎ ডাইয়াফোরটোক্স থাকের যে সকল প্রজাতি পূর্বপুরুষেরা হ্যাপটোনিমা-জাতীয় স্পর্শকারী অঙ্গ ব্যবহার করতও, সে সব প্রজাতির শ্রেণিগত নাম হ্যাপটিস্টা।

মূলত. এদের প্রতিটি কোষে হ্যাপটোনিমা নামক একটি সূক্ষ্ম, আঠালো, চাবুকের মতো অঙ্গ থাকে। এরা সাহায্যে এরা শিকার ধরা, ভাসমান খাবার টেনে আনে, নিজেকে পাথরের সাথে আঁকড়ে রাখার জন্য ব্যবহার করে। এদের প্রতিটি কোষ নিজের চারদিকে ছোট ছোট ক্যালসিয়ামের পাত বানায। এগুলোকে কোকোলিথ বলে। এই কোকোলিথগুলো এতই সুন্দর ও নিখুঁত যে মাইক্রোস্কোপে দেখলে মনে হয় কোনো গয়নার কারিগর বসে বসে এক একটা করে ফুলের নকশা কেটেছে। এরা যখন মরে যায়, তখন এই হাজার কোটি কোকোলিথ সমুদ্রের তলায় ঝরে পড়ে। সাগরের নিচে হাজার হাজার বছর ধরে জমতে থাকা এই কোকোলিথ চুনাপাথর তৈরি করে।

ধারণা করা হয় ১৬০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কিছু পরে বাইকোন্টা থাক বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই  থাক দুটি হলো- ডাইয়াফোরটোক্স ও হাক্রোবিয়া। প্রায় ১২০ – ১১০ কোটি খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে  ডাইয়াফোরটোক্স দুটি পর্বে বিভাজিত হয়েছিল। এই পর্বগুলো হলো-