পলাশ
সংস্কৃত: কিংশুক, পলাশ।
ইংরেজি: Flame of the Forest, Bastard Teak, Parrot Tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Butea monosperma.

Fabaceae গোত্রের মাঝারি উচ্চতার পাতাঝরা বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং পশ্চিম ইন্দোনেশিয়া এই গাছ প্রচুর দেখা যায়।

৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত বড় হয়। গোড়ার বাকল ফাটা হলেও আঁকাবাঁকা শাখা প্রশাখা। বাকল মসৃণ। ১/৪ ঈঞ্চি মোটা হয়। বোঁটায় তিনটি করে পাতা থাকে। পাতার আকার বেশ বড়। পত্রিকার আকার ৪-৮ ইঞ্চি। ফাল্গুন মাসের দিকে এই গাছের পাতা ঝরে যায় এবং তখনই গাছে কুঁড়ি আসে। কুড়ির রঙ সাদা। চৈত্র মাসে সারা গাছে কমলা-লাল রঙের ফুল ফোটে। বাংলাদেশে পলাশ বসন্তের ফুল হিসেবে আদৃত। শিমুল এবং পলাশ ফুলকে বাংলাদেশে বসন্তের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এর ফল শিমের মতো, ১.৫-২ ইঞ্চি লম্বা হয়। আকার ঈষৎ বক্র। বীজের আকার ১.২৫ ইঞ্চি।  

পলাশ বীজের রস ক্রিমিনাশক। অর্শ রোগে পলাশ পাতা উপকারী।

সূত্র :
ভারতীয় বনৌষধি। দ্বিতীয় খণ্ড। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০২।