রাইবোজোম
Ribosome

এক প্রকার কোষীয় অ-ঝিল্লীয় অঙ্গাণু বিশেষ। অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কোষের ভিতরে এদেরকে দেখতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার মত মনে হয়। কোষের সাইটোপ্লাজমের ভিতরে এককভাবে, গুচ্ছবদ্ধভাবে বহু রাইবোজোম ভাসমান অবস্থায় থাকে। অনেক সময় এদেরকে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামম গায়ে বা নিউক্লিয় আবরণীর গায়ে লেগে থাকতে পারে।

জর্জ প্যালেড
(George Emil Palade) ১৯৫০-এর দশকে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে প্রথম দেখেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে এর নাম করা হয়  রাইবোজোম।

রাইবোজোমের মূল উপাদান নিউক্লেইক এ্যাসিড ও রাইবোজোমাল প্রোটিন । একারণে এদেরকে বলা হয় রাইবো-নিউক্লিয়িক প্রোটিন পারটিকল বা সংক্ষেপে আরএনপি
(RNP) । এদের দেহ পর্দা দ্বারা আবৃত। ব্যাস প্রায় ৯০-১৬০ অ্যাংস্ট্রম। এদের আকার গোলাকার বা ডিম্বাকার হয়ে থাকে। রাইবোজোম মুলত 70S 80S এই দুই প্রকার হয়ে থাকে। প্রাক্-প্রাণকেন্দ্রিক কোষ -এ 70S রাইবোসোম পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে সু-প্রাণকেন্দ্রিক কোষ -এ পাওয়া যায় 80S রাইবোসোম।

প্রতিটি রাইবো জো ম অসম দুইটি উপ - একক দিয়ে গঠিত। এই একক দুটির গঠন প্রকৃতি অনুসারে একে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

রাইবোজোমের কাজ

একাধিক রাইবোজোম একটি সূক্ষ্ম আরএনএ সূত্রের মাধ্যমে যুক্ত থাকলে তখন তাকে পলিসোম (Polysome) বা পলিরাইবোজোম (Polyribosome) বলে।