কঠিন
পদার্থ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ |
বস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
ইংরেজি :
Solid
substance।
সমার্থক শব্দাবলি : কঠিন পদার্থ, কঠিন বস্তু।
পদার্থের
সাধারণ তিনটি ভৌত দশার একটি দশায় অবস্থিত বস্তুরূপ। এই দশায় পদার্থ একটি নির্দিষ্ট
আয়তন, আকৃতি নিয়ে ত্রিমাত্রিক রূপে প্রকাশ পায়। কঠিন পদার্থের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
উপাদানগুলোর ভিতরে আন্তঃকণা আকর্ষণ এত বেশি থাকে যে, কণাগুলো স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে
পরস্পরকে স্বেচ্ছায় ত্যাগ করতে পারে না। এক্ষেত্রে কণাগুলোর ভিতরে মৃদু কম্পন থাকে
মাত্র। ফলে পদার্থ একটি সুস্থির আকার ও আয়তনে বিদ্যমান থাকে।
কঠিন পদার্থের অণুগুলো নিয়মিত বা অনিয়মিতভাবে বিন্যস্ত থাকতে পারে। এই বিচারে কঠিন
পদার্থ হতে পারে ৩ প্রকার। যেমন—
১,
অদানাদার (amorphous):
যে সকল কঠিন পদার্থের কণাগুলো কোনো নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত থাকে না, তাদেরকে
অদানাদার পদার্থ বলা হয়। এই জাতীয় গঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক থাকে না এবং তাপ
বৃদ্ধি করলে ধীরে ধীরে গলে যায় এবং এক সময় প্রবাহিত হয়। যেমন : কাঁচ।
২.
দানাদার (crystalline)
: যে সকল কঠিন পদার্থের কণাগুলো কোনো নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত থাকে, তাদেরকে
দানাদার পদার্থ বলা হয়। ফলে এই জাতীয় পদার্থের অণুগুলো একটি সুনির্দিষ্ট
ত্রিমাত্রিক রূপ লাভ করে। এই জাতীয় পদার্থকে সাধারণভাবে স্ফটিক বা কেলাসাকার পদার্থ
বলা হয়।
দেখুন :
স্ফটিক