চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
১৮৭৭-১৯৩৮
সাংবাদিক, সাহিত্যিক

১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ১১ অক্টোবর ভারতের মালদহের চাঁচলে জন্মগ্রহণ করেন। তবে এঁর আদি নিবাস ছিল যশোহর জেলায়। পিতার নাম গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। মায়ের নাম মুক্তকেশী দেবী।

১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দে বলাগড় হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন।
১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে জেনারেল অ্যাসেম্ব্লিজ (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে এফ.এ পাশ করতেন। এই বছরেই দুমকা নিবাসী রাধারাণী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।
১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন।
১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে রাধারাণীর মৃত্যু হয়। পরে তিনি পদ্মাবতী দেবীকে বিবাহ করেন।
১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন।
১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদে যোগদান করেন।
১৯২৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সাম্মানিক এম.এ উপাধি লাভ করেন।


তিনি প্রায় ২৫টি উপন্যাস, বহু ছোট গল্প, কিশোর গল্প রচনা, গবেষণাগ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো- আগুনের ফুলকি (১৯১৪), সেরাতের ফুল (১৯১৫), পরগাছা (১৯১৭), দুই তীর (১৯১৮), হেরফের (১৯১৮), পঙ্কতিলক (১৯১৯),  দোটানা (১৯২০), আলোকপাত (১৯২০), রূপের ফাঁদে (১৯২৫), কবিকঙ্কণ-চণ্ডী প্রথম ভাগ (১৯২৫), সুর বাঁধা (১৯৩৭), অগ্নিহোত্রী (১৯৩৮) ও রবিরশ্মি জয়শ্রী।

সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি ছাড়াও তিনি প্রবাসী পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসেবে সমধিক পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এছাড়া কিছু দিন ভারতী পত্রিকারও কিছুদিন সম্পাদনা করেছিলেন। তৎকালীন প্রকাশনা সংস্থা 'ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস'-এর সম্পাদক ও অনুবাদক হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই ডিসেম্বর চারুচন্দ্র মৃত্যুবরণ করেন।