হিমাংশু দত্ত
(১৯০৮-১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ)
বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত সুরকার ও গায়ক।

১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার গৌতমপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন বিহারের গয়া কলেজের অধ্যাপক শ্রী যোগেশ চন্দ্র দত্ত এবং মা ছিলেন প্রখ্যাত শিল্পী নিরুদা সুন্দরী দেবী।  তাঁর অনুজ শচীন্দ্র কুমার দত্ত ছিলেন প্রখ্যাত সেতার বাদক এবং ‘সংগীত বিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

ছোটবেলায় তিনি তাঁর মায়ের কাছে গান শেখেন। ১১ বৎসর বয়সে তিনি কুমিল্লার এক ধর্মমন্দিরে ভজন গান পরিবেশন করে সকলকে মুগ্ধ করেছিলেন। এই সময় থেকে পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে প্রশংসিত হন।

১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন।
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন।
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে বিএ পাশ করেন।

ছাত্র জীবন থেকে তাঁর গায়ক হিসেবে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকার সারস্বত সমাজ থেকে সুরসাগর উপাধি পেয়েছিলেন।

গায়ক হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি থাকলেও তিনি সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেন সুরকার হিসেবে। তিনি প্রথম সুর করেছিলেন অজয় ভট্টাচার্য রচিত ‘হাসনাহেনা-আজনিরালায় ফুটলি কেন আপন মনে’ গানটিতে। এই গানটি গেয়েছিলেন  শচীন দেব বর্মণ। তিনি সুবোধ পুরকায়স্থের লেখা অধিকাংশ গানে সুর করেছিলেন। এছাড়া তিনি অজয়কুমার ভট্টাচার্য এবং বিনয় মুখোপাধ্যায়ের বহু গানে সুর দিয়েছিলেন।

হিমাংশু কুমার দত্তের প্রেমিকার নাম ছিল পুষ্প। প্রেমিকার নামানুসারে ‘পুষ্পচন্দ্রিমা’ নামে একটি রাগের সৃষ্টি করেন তিনি। তাছাড়া তাঁর সুরারোপিত গানের সংকলনের নামও রাখেন ‘পুষ্পচন্দ্রিমা’।

১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে পরলোক গমন করে। তাঁর সুরারোপিত কয়েকটি গান