সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(১৮৫৯-১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ)
গীতিকার, সঙ্গীতজ্ঞ।

১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার, ২৯শে ভাদ্র ১২৬৬ বঙ্গাব্দ) জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মায়ের নাম সারদাসুন্দরী দেব পিতামাতার সপ্তম পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর অব্যবহিত অগ্রজ। তিনি রবীন্দ্রনাথের সহপাঠী এবং বাল্য ও কৈশোরের সঙ্গী। সঙ্গীত রচনা এবং পরিবেশনে দক্ষ ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের কাব্যচর্চার প্রথম পর্যায়ে তিনি অন্যতম উৎসাহদাতা ছিলেন।

১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর উৎসাহে রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'কবি-কাহিনী' প্রকাশিত হয়েছিল। ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'বনফুল'-ও তাঁর উৎসাহে প্রকাশিত হয়। ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে (১২৮৫ বঙ্গাব্দ) তাঁর মস্তিষ্ক-বিকৃতির লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই কারণে দেবেন্দ্রনাথ আজীবন মাসিক মাসোহারার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এছাড়া ঠাকুর বাড়ির কোনো সম্পত্তির উপর তাঁর অধিকার ছিল না। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি (১৬ মাঘ ১৩২৮ বঙ্গাব্দ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাড়িতেই তাঁর বাল্যশিক্ষা হয় গৃহশিক্ষকের কাছে। এরপর কিছুদিন তিনি হিন্দু কলেজ লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন সেন্ট পল’স স্কুলে। কিন্তু শেষপর্যন্ত  হিন্দু কলেজ থেকে ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত প্রথম প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর বর্ধমানরাজ-প্রদত্ত এক বছরের জন্য মাসিক ১০ টাকা সিনিয়র স্কলারশিপ পেয়ে প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হন।