চতুর্বর্গ-ফলের বোঁটা

সেদিন কলকাতার টাউন হলে বড় এক মজার অভিনয় হয়ে গেছে। যত সব বুড়ো ও
পণ্ডিতের দল তাদর অচৈতন্য চৈতন-চুটকিতে কাঁঠালের আঠা ও ছাই মাখিয়ে দিব্যি
তাতিয়ে খাড়া করে সর্দার বিলের প্রতিবাদ কল্পে জমা হয়েছিল। এ ধারে ফিন্তু খবর
পেয়ে যত সব 'টিকি-নিসূদন কালাপাহাড়ি তরুণের দল ক্ষুর কাঁচি নিয়ে'তৈরি
হয়েছিল। যাহা বুড়োর দলের 'যুদ্ধং দেহি' বলে আর্কফলা উচিয়ে তেরে আসা তাহা
'এই লেহি' বলে তরুণ দলের ঝাপিয়ে পড়া।

সে এক ধূম ধাত্তর ব্যাপার! ছোড় চেয়ার, ভাঙ টেবিল, চালাও লাঠি, ছেঁড় টিকি!
মার জোয়ান ! হেইয়ো! পটাস? উ-হ-হু!!

বাস। পলকে পেল্লায়! বুড়োর দল, পণ্ডিতের দল বিষ্টিতে ছাগলের মতো যে যে
দিকে পারলে দিলে চোঁ চো দৌড়।

ছেলেদের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি, তাদের প্রায় প্রত্যেকের হাতেই সদ্য
উৎপাটিত গুচ্ছ গুচ্ছ টিকি ! মনে হলো শত্‌ শত কালি সিংহ। সবচেয়ে মজার ব্যাপার,
এই টিকি ছেঁড়ার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছিলেন শত শত মহিলা, যাদের উদ্ধারকল্পে
এইসব টিকির দল জমায়েত হয়েছিলেন।

বুড়োরা সত্যই কি'এবার নি-কশ ল? নৈষ্টিক নি-টিক হল?