বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম :
আবির-রাঙা আভীরা নারী সনে কৃষ্ণ কানাই খেলে হোলি
আবির-রাঙা আভীরা নারী সনে কৃষ্ণ কানাই খেলে হোলি।
হোরির মাতনে চুড়ি ও কাঁকনে উঠিছে কল-কাকলি॥
শ্যামল তনু হ’ল রাঙা আবিরে রেঙে,
ইন্দ্রধনু-ছটা যেন কাজল মেঘে,
রাঙিল রঙে নীল চোলি॥
লহু লহু হাসে মুহু মুহু ভাসে রাঙা কুঙ্কুম ফাগের রাগে,
দোঁহে দুহু ধরি’ মারে পিচকারি চাঁদ-মুখে কলঙ্ক জাগে।
অঙ্গে অপাঙ্গে অনঙ্গ-রঙ্গিমা ইঙ্গিতে উঠিছে উছলি’॥
- ভাবসন্ধান: হোলির উৎসব-মুখর পরিবেশকে
এই গানে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই উৎসবে আবিরে রঞ্জিত গোপ ললনারা
কৃষ্ণের সাথে রঙের খেলায় মেতে উঠেছেন। তাঁদের চুড়ি ও
কাঁকনের শব্দে এ উৎসব উল্লাসে মুখরিত
হয়ে উঠেছে। রাঙা আবিরের ছোঁয়ায় কৃষ্ণের শ্যামল অঙ্গ
যেন শোভিত হয়ে উঠেছে কাজল মেঘের রঙধনুর ছটায়, রঙিন হয়ে উঠছে গোপিনীদের নীল
চোলি (কারুকার্য-খোচিত মেয়েদের পোশাক বিশেষ)।
অনুক্ষণ রাঙা কুঙ্কুম ফাগের
রঙে
রঞ্জিত হয়ে, লহু লহু (মৃদু মৃদু)
হাসিতে-
পিচকারিতে
পরস্পরের দিকে রঙ ছুঁড়ে মারছে। এবং তা যেন উভয়ের
চন্দ্রমুখে জেগে উঠেছে চন্দ্রকলঙ্কের মহিমা।
অঙ্গে, অপাঙ্গের (চোখে) ইঙ্গিতে যেন
উছলে ওঠেছে অনঙ্গ-রঙ্গিমা (কামদেবের কামলীলা) ।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের
ফেব্রুয়ারি মাসে (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪০
এইচএমভি
রেকর্ড
কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৮ মাস।
- রেকর্ড:
এইচএমভি [ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪০)]। এন ৭১৯২। শিল্পী:
আশ্চর্যময়ী।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
১০৬৫]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধরম। বৈষ্ণব সঙ্গীত। হোরি
উৎসব।