বিষয়: নজরুল সঙ্গীত
শিরোনাম :
এসো মা পরমা শক্তিমতী
এসো মা পরমা শক্তিমতী।
দাও শ্রী দাও কান্তি-আনন্দ-শান্তি অন্তরে বাহিরে দিব্য জ্যোতি॥
দাও অপরাজেয়
পৌরুষ শক্তি
দাও দুর্জয়
শৌর্য পরা-ভক্তি,
দাও সূর্য সম তেজ প্রদীপ্ত প্রাণ ঝঞ্ঝার সম, বাধাহীন গতি॥
এসো মা পরম
অমৃতময়ী.
নির্জিত জাতি
হোক মৃত্যুজয়ী।
পরম জ্ঞান দাও
পরম অভয়
রূপ-সুন্দর তনু
প্রাণ প্রেমময়,
আকাশের মত দাও মুক্ত জীবন সকল কর্মে হও তুমি সারথি॥
- ভাবসন্ধান: এই গানে পরমা দেবীকে শক্তিপ্রদায়িনী শক্তিমতী মাতৃরূপে আহবান করা হয়েছে।
এই গানে
প্রার্থনা করা হয়েছে- নানা গুণে তিনি যেন জনপদবাসীকে শক্তিমান করে তোলেন। যেন তাঁর
শক্তিতেই তাঁর সন্তানরা শক্তিমান হয়ে সকল অকল্যাণ দূর করে জগতকে মহিমান্বিত করে
তুলতে পারেন। সেই প্রত্যাশা নিয়ে- এই গানে দেবীর কাছে চাওয়া হয়েছে- শ্রী (কল্যাণকর
সৌন্দর্য), অন্তরে বাহিরে কান্তি-আনন্দ (সমুজ্জ্বল আনন্দ) এবং দেবীর দিব্য
জ্যোতি (স্বর্গীয় স্নিগ্ধ আলো)। দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে- অপরাজেয় পৌরুষ
শক্তি, দুর্জয় শৌর্য এবং পরা-ভক্তি (পরমেশ্বরের প্রতি পরমভক্তি), সূর্যের মতো
তেজময় প্রাণশক্তি, ঝড়ের মতো বাধাহীন গতি।
অমৃতরূপী দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে- নির্জিত (দমিত, পরাজিত) জাতি
যেন মৃত্যজয়ী রূপে উত্থিত হওয়ার শক্তি । সর্বোপরি, দেবীর কাছে চাওয়া হয়েছে- পরম জ্ঞান,
পরম অভয়, রূপ-সুন্দর দেহ, প্রেমময় প্রাণ, আকাশের মতো মুক্ত জীবনানন্দ। সবেশেষে
দেবীকে চাওয়া হয়েছে সকল কর্মময় জীবনরথের সুপ্রজ্ঞাময় সারথি হিসেবে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায় না।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২।
গান সংখ্যা ১১১৭]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। শাক্ত। দুর্গা। আগমনী