বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: কোকিল, সাধিলি কি বাদ
কোকিল, সাধিলি কি বাদ।
নিশি অবসান হল না মিটিতে সাধ॥
মিলনের মোহ কেন
ডাকিয়া ভাঙিলি হেন,
তুই রে সতিনী যেন - চন্দ্রাবলীর ফাঁদ॥
সারা নিশি অভিমানে
চাহিনি শ্যামের পানে,
জেগে দেখি কুহু-তানে- নাহি শ্যামচাঁদ॥
ননদিনী কুটিলা কি
পাঠায়েছে তোরে পাখি,
সুরের বাসরে ডাকি'- আনিলি বিষাদ-॥
- ভাবসন্ধান: রাধাকৃষ্ণের লীলার অংশ হিসেবে এই গানটিতে উপস্থাপিত হয়েছে-
প্রণয় অতৃপ্ত অভিমানিনী রাধার বিরহ,
ঈর্ষা, ও প্রেমের আকুতি।
প্রেমের সাধ পূর্ণ হওয়ার আগেই কোকিলের ডাকে মিলনের মোহ ভেঙে গেছে। রাধা তাই
কোকিলকে তাঁর প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বিনী চন্দ্রাবলীর সাথে তুলনা করেছেন।
অভিমানে কৃষ্ণের থেকে মুখ ফিরিয়ে কাটাতে গিয়ে ঘুমিইয়ে পড়েছিলেন রাধা। ঘুম ভেঙে
দেখেন কৃষ্ণ চলে গেছেন, শুধু কোকিল অবিরাম কুহু কুহু ধ্বনিতে মুখর করে রেখেছে
অভিসারকুঞ্জ। রাধার প্রেমের অন্তরায় হলো তাঁর ননদিনী কুটিলা। রাধা ভাবেন-
কুটিলাই কি তাঁর প্রেমের বিঘ্ন ঘটাতে কোকিলকে পাঠিয়েছিল- তাঁর সুরের আসরে বিষাদে
পূর্ণ করার জন্য।
রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন
১৩৩৯) প্রকাশিত 'বনগীতি' গ্রন্থে
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- বনগীতি
- প্রথম সংস্করণ [১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন
১৩৩৯)। গান সংখ্যা ১০। পিলু-বারোয়াঁ-আদ্ধা কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ১৬]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। পঞ্চম খণ্ড।
বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। বনগীতি। ১০ সংখ্যক গান। পিলু-বারোয়াঁ-আদ্ধা কাওয়ালি।পৃষ্ঠা ১৮৩]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১২৩৫ সংখ্যক গান।
রাগ: পিলু বারোয়াঁ, তাল: আদ্ধা-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ৩৭৫।
- রেকর্ড: মেগাফোন [১৯৩৩। শিল্পী: মিস পটলমণি। রেকর্ডটি প্রকাশিত হয় নি]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। রাধাকৃষ্ণলীলা।
প্রণয়।