বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
মৃদুল বায়ে বকুল ছায়ে গোপন পায়ে কে ঐ
আস
মৃদুল বায়ে বকুল ছায়ে গোপন পায়ে কে ঐ
আসে,
আকাশ-ছাওয়া চোখের চাওয়া উতল হাওয়া কেশের বাসে॥
উষার রাগে সাঁঝের ফাগে
যুগল তাহার কপোল রাঙে,
কমল দুলে সুর্য শশী নিশীথ-চুলে
আঁধার-রাশে॥
চরণ-ছোঁয়ায় পাতার ঠোঁটে
মুকুল কাঁপে কুসুম ফোটে,
আঁখির পলক- পতন-ছাঁদে নিশীথ কাঁদে দিবস হাসে॥
গ্রহের মালা অলখ-খোঁপায়,
কপোল শোভে তারার টোপায়,
কুসুম-কাঁটায় আঁচল বাধে রুমাল লুটায় সবুজ ঘাসে॥
তোমার লীলা- কমল করে
নিখিল-রানি! দুলাও মোরে।
ঢুলাও আমার সুবাসখানি তোমার মুখের মদির-শ্বাসে॥
- রচনাকাল ও স্থান:
কল্লোল পত্রিকার মাঘ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি
১৯২৭) সংখ্যায়
প্রকাশিত গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'কৃষ্ণনগর,
১১ পৌষ ১৩৩৩' [(রবিবার
২৬শে ডিসেম্বর ১৯২৬)]। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৭ বৎসর ৭ মাস।
উল্লেখ্য,
২৬শে ডিসেম্বর (রবিবার, ১১ পৌষ ১৩৩৩) নজরুল কৃষ্ণনগর থেকে মুরলীধর বসুকে লেখা থেকে
জানা যায়, নজরুল অসুস্থ অবস্থায় উর্দু গজলের সুরে কয়েকটি বাংলা গজল রচনা
করেছিলেন। এ সকল গজলগুলোর ভিতরে এই গানটি ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৭ বৎসর ৭ মাস।
- গ্রন্থ
-
বুলবুল
- প্রথম সংস্করণ।
নভেম্বর ১৯২৮। কার্তিক ১৩৩৫।
সিন্ধু-ভৈরবী-কাহারবা।
- নজরুল-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭। বুলবুল।
গান ৬। সিন্ধু-ভৈরবী-কাহারবা। পৃষ্ঠা: ১৫৫]
- পত্রিকা:
- কল্লোল। মাঘ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি
১৯২৭) সংখ্যা