বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: এসো আনন্দ-সুন্দর ঘনশ্যাম
এসো আনন্দ-সুন্দর ঘনশ্যাম!
তব লীলানিকেতন হোক মম হিয়া-ব্রজধাম॥
মম ভক্তি প্রীতির মালা-চন্দন
আজি তোমারে দিব হে চিত-নন্দন,
মম জীবন-মরণ নাচে তব পায়ে, অনুপম॥
মম প্রাণে-মনে শুনি শুধু তোমারি বাঁশি,
ওগো ধীর নাহি ধরে মম মন-পিয়াসি!
মম মনের দেউলে, হে লীলা-কিশোর
রচি’ পূজার বেদী হয়ে প্রেম-বিভোর,
এসো যুগল-নয়নে মম, ওগো নয়নাভিরাম॥
- ভাবসন্ধান: এই গানে ভক্ত তাঁর হৃদি-ব্রজধামের আনন্দ-সুন্দর
লীলানিকেতনে শ্যামকে আহ্বান করেছেন। ভক্ত তাঁর ভক্তি প্রীতিমালা, চন্দনের চিত-নন্দনরূপী
শ্যামকে ভক্তি অর্ঘে দিয়ে নিবেদন করতে চেয়েছেন। ভক্ত মনে করেন, তাঁর জীবন-মরণের লীলানৃত্যের
ছন্দ শ্যামের অনুপম পদতলে। তাই তিনি প্রাণ ভ'রে শুনতে চান শ্যামের বাঁশি।
সে বাঁশীর ধ্বনি শুনতে তাঁর বিলম্ব সয় না। তাঁর মন-মন্দিরে নিয়ত লীলা-কিশোর খেলা
করে। তাঁরই প্রেমে বিভোর হয়ে- সে মন্দিরে তাঁর জন্যই তিনি সৃজন করেন পূজার বেদী।
ভক্ত তাঁর ধ্যানলোকের মনোমন্দিরে আহ্বান করেন শ্যামকে, যেন তাঁর নয়নাভিরাম রূপ
দেখে ভক্তের দুচোখ জুড়ায়।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা
যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৭) মাসে, টুইন রেকর্ড
কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪১
বৎসর ৬ মাস।
- গ্রন্থ:
নজরুল-সঙ্গীত
সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২৫৩২]
- রেকর্ড: টুইন [ডিসেম্বর ১৯৪০ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৭)। এফটি ১৩৪৯০। শিল্পী:
জয়ন্তী বসু
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। কৃষ্ণ। আত্মনিবেদন