বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: গানের সাথি আছে আমার সুরের সেতু-পারে
গানের সাথি আছে আমার সুরের সেতু-পারে।
তা'রি আশায় গানের ভেলা ভাসাই পারাবারে॥
জানি জানি আমার এ সুর
পাবেই পাবে চরণ বঁধুর
ঐ ভেলাতে আসবে বঁধু গভীর অন্ধকারে॥
ঘুমে যখন মগ্ন সবাই বন্ধু আমার আসে
ফুলের মতন সুরগুলি তার চেয়ে' হাসে।
উদ্দেশে তার গানগুলি মোর
যায় ভেসে যায় নেশায় বিভোর
যেমন ক'রে ছায় গো তপন চাঁদের অধিকারে॥
- ভাবসব্ধান:
এই গানের সাথি তাঁর ভক্তিলোকের পরমসত্তা। এই গানের পরমসত্তা ভক্তিমার্গের প্রভু
নন. তিনি পরমপ্রিয় বন্ধু। যিনি আছেন মনোলোকের সুর-সাগরের অপর পারে। তাঁর সাথে কবির
সুরের সেঁতুবন্ধ। তাঁর সাথে মিলিত হওয়ার প্রত্যাশায় কবি গানের ভেলা ভাসিয়ে দেন
সুর-সাগরে। কবির প্রত্যাশা এই সুর পরমসত্তাকে স্পর্শ করবে। কবি এও প্রত্যাশা করেন
যে, ওই গানের ভেলাতে তাঁর বন্ধু আসবে গভীরে রাতের গভীর অন্ধকারে।
বিশ্বচরাচর যখন গভীর ঘুমে মগ্ন থাকে, তখন তিনি আসেন। প্রস্ফুটিত ফুলের মতন সুরগুলো
তাঁকে দেখে সহাস্য হয়ে ওঠে। তাঁর উদ্দেশ্যে রচিত কবির গানগুলো- যেন বন্ধুকে পাওয়ার
নেশায় বিভোর হয়ে ভেসে যায়। যেমন চাঁদের আলোয় যেমন সূর্য নিজেকে প্রকাশ করে, তেমনি
পর্মসত্তার কবির গানের ছায়ায় নিজেকে প্রকাশ করে।
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুলাই (সোমবার ১১ শ্রাবণ ১৩৪৩), নজরুলের
সাথে রেকর্ড কোম্পানির চুক্তি হয়। উক্ত চুক্তি তালিকায় এই
গানটি ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স
ছিল ৩৭ বৎসর ২ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল
ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ৪৩৬।
- রেকর্ড:
- রেকর্ড কোম্পানির সাথে চুক্তি [২৭ জুলাই ১৯৩৬ (সোমবার ১১ শ্রাবণ ১৩৪৩)]
- টুইন [ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৩)। এফটি ৪৭৭৪। শিল্পী: মাধবী দাশগুপ্তা।]
[শ্রবণ
নমুনা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
সুধীন দাশ।
নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি চতুর্দশ খণ্ড(নজরুল ইন্সটিটিউট)। ১২ সংখ্যক গান। রেকর্ডে মাধবী দাশগুপ্তার গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে।
[নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ:
ধর্মসঙ্গীত। সাধারণ। পরমসত্তা। বন্ধু
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য