বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল
ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল।
হে দেবতা রাখ সেথা তোমার পদতল॥
নিবেদনের
কুসুম সহ
লহ হে নাথ,
আমায় লহ
যে আগুনে
আমায় দহ
সেই আগুনে আরতি-দীপ জ্বেলেছি উজল॥
যে নয়নের জ্যোতি নিলে কাঁদিয়ে পলে পলে,
মঙ্গল-ঘট ভরেছি নাথ, সেই নয়নের জলে।
যে চরণে করো
আঘাত
প্রণাম লহ
সেই পায়ে নাথ
রিক্ত তুমি
করলে যে হাত,
হে দেবতা! লও সে হাতে অর্ঘ্য-সুমঙ্গল॥
- ভাবসন্ধান: কবির সারা জীবন কেটেছে নানা ঘাত-প্রতিঘাতে। কবি মনে
করেছেন সে সবই তাঁর দেবতার দান। কবি সে সকল আঘাতকে অর্ঘ্য করে তাঁর আরাধ্য
দেবতাকে নিবেদন করেছেন।
দুঃখ-তাপিত কবি তাঁর শত ব্যথায় সাজানো পূজার নৈবেদ্য নিয়ে তাঁর আরাধ্য দেবতার
পায়ে নিবেদন করেছেন। যে ব্যথার আগুনে তিনি দগ্ধ হয়েছেন, তার সবই দেবতারই দেওয়া।
সে সব ব্যথাগুলোকে পূজার পুষ্প রূপে নিবেদন করেছেন পূজার অর্ঘ্য হিসেবে। সেই
ব্যথার আগুনেই তিনি আরতির দীপ জ্বালিয়েছেন না-পাওয়ার আত্মগ্লানিতে।
জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের বেদনায় কাঁদিয়ে জ্ঞানের জ্যোতি অপহরণ করেছিলেন দেবতা,
সেই বেদনার অশ্রু দিয়ে তিনি পূজার মঙ্গল ঘট ভরেছেন। চলার পথে দেবতা তাঁকে তাঁর
যে চরণ দিয়ে আঘাত করেছেন, সে চরণেই তিনি প্রণাম করেছেন, যে হাত তিনি তাঁকে
রিক্ত করেছেন, সেই হাতে তিনি নিবেদন করেছেন অর্ঘ্য-সুমঙ্গল।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪২) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি
থেকে এই গানটির রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল।
এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি
২০১২)। ৯১৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৮২।
-
নজরুলের হারানো গানের খাতা [নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা। আষাঢ় ১৪০৪/জুন ১৯৯৭।
গান সংখ্যা ৩৬। for Angur Bala (HMV)। ভজন। পৃষ্ঠা ৬১]
- রেকর্ড: এইচএমভি [অক্টোবর ১৯৩৫ (আশ্বিন-কার্তিক
১৩৪২)। এন ৭৪১৭। শিল্পী:
আঙ্গুরবালা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। সাধারণ। ভক্তি
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর