বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: অন্ধজনে দেহো আলো,
মৃতজনে দেহো প্রাণ
অন্ধজনে দেহো আলো,
মৃতজনে দেহো প্রাণ—
তুমি করুণামৃতসিন্ধু করো করুণাকণা দান ॥
শুষ্ক হৃদয় মম কঠিন পাষাণসম,
প্রেমসলিলধারে সিঞ্চহ শুষ্ক নয়ান ॥
যে তোমারে ডাকে না হে তারে তুমি ডাকো-ডাকো।
তোমা হতে দূরে যে যায় তারে তুমি রাখো রাখো।
তৃষিত যেজন ফিরে তব সুধাসাগরতীরে
জুড়াও তাহারে স্নেহনীরে,
সুধা করাও হে পান ॥
তোমারে পেয়েছিনু যে কখন্ হারানু অবহেলে,
কখন্ ঘুমাইনু হে,আঁধার হেরি আঁখি মেলে।
বিরহ জানাইব কায়,
সান্ত্বনা কে দিবে হায়,
বরষ বরষ চলে যায়, হেরি নি প্রেমবয়ান—
দরশন দাও হে ,
দাও হে দাও , কাঁদে হৃদয় ম্রিয়মাণ ॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
- পাঠভেদ:
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১২৯২ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ
ষড়্পঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসবের
উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই
অনুষ্ঠানে গীত ২৭টি গানের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের রচিত গানের সংখ্যা ছিল ২২টি।
এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথের গানের সংখ্যা ছিল ১৩টি। ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথ এই উৎসব উপলক্ষে এই গানটি রচনা করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৪ বৎসর ৯ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
২৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড
[মজুমদার লাইব্রেরি, ১৩১০ বঙ্গাব্দ।
ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী ধুন-তাল
ঠুংরি, পৃষ্ঠা: ১৭৬-১৭৭]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
দশম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ, ১৯১৬
খ্রিষ্টাব্দ , ধর্ম্মসঙ্গীত।
পৃষ্ঠা: ২৭২-৭৩।]
[নমুনা: প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিনী ধুন পৃষ্ঠা: ৪৫৫-৪৫৬]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী- ধুন তাল ঠুংরি। পৃষ্ঠা:
২২৮-২২৯] [নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান
প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ
, ১৩১৬
বঙ্গাব্দ)। রাগিণী ধুন
-তাল
ঠুংরি। পৃষ্ঠা: ৩৬০-৩৬১]
[নমুনা]
-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা[১৩০০ বঙ্গাব্দ
গান সংখ্যা ৩৩৫, রাগিণী ধুন-তাল
ঠুংরি, পৃষ্ঠা
৩৩৬-৩৩৭] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮,
কাব্য-গ্রন্থাবলী
(১৩০৩ বঙ্গাব্দ)-এর ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা:
১৪৪]
[নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮), পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ: প্রার্থনা
২৩, পৃষ্ঠা: ৪৯।
[নমুনা]
-
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা
১১৪,
উপ-বিভাগ :
প্রার্থনা
২৩, পৃষ্ঠা:
৫২-৫৩।
- গীতিচর্চ্চা [বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ), গান সংখ্যা ৩, পৃষ্ঠা: ২-৩] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ]
-
গীতরত্নাবলী
চতুর্থ ভাগ (১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ ,
১৩০৭ বঙ্গাব্দ)।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
[ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। গান।
পৃষ্ঠা: ১৫৭]
[নমুনা]
- বাঙালীর গান
(১৩১২ বঙ্গাব্দ), গান সংখ্যা ৮০, ধুন-ঠুংরি, পৃষ্ঠা ৬৩২।
বৈতালিক (১৩২৫)।
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি
ব্রহ্মসঙ্গীত
গ ভাগ (১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দ ,
১৩০০ বঙ্গাব্দ )।
ব্রহ্মসঙ্গীত ও সঙ্কীর্ত্তন (১৩১৪ বঙ্গাব্দ)।
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
ধুন-ঠুংরি। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
ভারতীয়
সঙ্গীতমুক্তাবলী প্রথম ভাগ খ (১৮৯৩
খ্রিষ্টাব্দ ,
১৩০০ বঙ্গাব্দ)।
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
হিতবাদী (১৩১১ বঙ্গাব্দ)। রাগিণী
ধুন-তাল ঠুংরি। গান সংখ্যা: ৩৩৫পৃষ্ঠা: ১০৩৭-১০৩৮ [নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ
সঙ্গীতকোষ
খ বিভাগ (১৩০৬
বঙ্গাব্দ।
সঙ্গীতসার
সংগ্রহ তৃতীয় ভাগ (১৩০৮ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান সপ্তবিংশ (২৭) খণ্ডের
(বিশ্বভারতী, বৈশাখ ১৪১৫),
১ সংখ্যক গান। প্রথম স্বরলিপি
:
পৃষ্ঠা ৫-৮ । দ্বিতীয় স্বরলিপি
: পৃষ্ঠা ৯ -১২।
[নমুনা]
[সুরান্তর]
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী
[ফাল্গুন ১৮০৭ শকাব্দ, ১২৯২
বঙ্গাব্দ)। ধুন-ঠুংরি। পৃষ্ঠা ২২২]
[নমুনা]
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা
[পত্রিকা
(ভাদ্র ১৩০৯ বঙ্গাব্দ)। রাগিণী ধুন তাল ঠুংরী। পৃষ্ঠা: ১৪৬]
স্বরলিপিকার কাঙালীচরণ সেন। [নমুনা]
পরিবেশনা: ১১ মাঘ ১২৯২ বঙ্গাব্দ শনিবার ২৩
জানুয়ারি ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে
ষড়্পঞ্চাশ
সাংবৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গানটি গীত হয়েছিল।
তত্ত্ববোধনী-তে বলা হয়েছে- এই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি
পরিবেশন করেছিলেন। তবে এই গানটি পরিবেশন করেছিলেন কিনা তা জানা যায় নি।
রেকর্ড: সিদ্ধার্থ
ঘোষের রচিত রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত (ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন।
নভেম্বর ১৯৮৯) গ্রন্থ থেকে আলোচ্য গানের যে রেকর্ডসূত্রের তথ্য পাওয়া যায়।
তা হলো-
-
১৯২৬
খ্রিষ্টাব্দে বেলেঘাটায় গ্রামোফোন কোম্পানির স্টুডিওত রবীন্দ্রনাথের
গান ও আবৃত্তি রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অক্টোবর
গ্রামোফোন কোম্পানি ও কবির ভিতর স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রে ২৫টি গান ও
আবৃত্তির উল্লেখ রয়েছে। এই তালিকায় এই গানটি ছিল। গানটির রেকর্ড নম্বর
ছিল
BD 1232/P
8367।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১১ মাঘ ১২৯২ বঙ্গাব্দ শনিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে
ষড়্পঞ্চাশ
সাংবৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গানটি গীত হয়েছিল।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে এই গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা (১৩০০ বঙ্গাব্দ)
ব্রহ্মসঙ্গীত গ ভাগ (১৩০০ বঙ্গাব্দ), ভারতীয় সঙ্গীতমুক্তাবলী প্রথম ভাগ খ (১৩০০ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থাবলী
(১৩০৩ বঙ্গাব্দ)
সঙ্গীতকোষ
খ বিভাগ (১৩০৬ বঙ্গাব্দ), গীতরত্নাবলী চতুর্থ ভাগ (১৩০৭ বঙ্গাব্দ), সঙ্গীতসার সংগ্রহ তৃতীয় ভাগ (১৩০৮ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ) ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ (১৩১১ বঙ্গাব্দ)
ব্রহ্মসঙ্গীত ও সঙ্কীর্ত্তন (১৩১৪ বঙ্গাব্দ),
গান ,
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫ বঙ্গাব্দ),
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬ বঙ্গাব্দ)
কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ)
গীতিচর্চ্চা
(১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের উপবিভাগ: প্রার্থনা হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১১৪ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ
মাসে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
-
স্বরলিপি:
স্বরবিতান সপ্তবিংশ (২৭)
- স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি গ্রন্থ 'বৈতালিক'-এ এই গানটির
স্বরলিপি অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। এই গ্রন্থের ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের সংস্করণ স্বরলিপিটি
অবিকৃত ছিল। ১৩৬২ বঙ্গাব্দে এই স্বরলিপির পরিবর্তন করা হয়েছে।
রেকর্ড
P-8367
থেকে
প্রথম স্বরলিপি প্রস্তুত
করেন শ্রীপ্রফুল্লকুমার দাস। পরে এই স্বরলিপিটি পরিমার্জিত করেন শ্রীশৈলজারঞ্জন
মজুমদার। সম্পূর্ণ গানের তালবদ্ধ দ্বিতীয় স্বরলিপিটি প্রস্তুত করেন কাঙ্গালীচরণ
সেন।
[শৈলজারঞ্জন
মজুমদার]
[কাঙ্গালীচরণ
সেন]
সুর ও তাল: এই গানটির সুর নানাভাবে বিকৃত হয়েছে।
সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 'রবীন্দ্রনাথের গান' [১৩৬৮] গ্রন্থের 'কৈফিয়ত' প্রবন্ধে
রবীন্দ্রনাথের গানের বিকৃত সম্পর্কে লিখেছেন- '..কি বেপরোয়া ভাবে
রবীন্দ্র-সংগীতকে ধর্ষণ করা হচ্ছে- আর সেটা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতীর
ছায়ায়-আশ্রিত লোকদের দ্বারা। ' এই সূত্রে তিনি উল্লেখ করেছন এই গানটির।
উল্লেখ্য, এই গানটির প্রথম স্বরলিপি করেছিলেন দিনেনন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই
স্বরলিপিট তাঁর 'বৈতালিক' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২৫
বঙ্গাব্দে।
স্বরবিতান সপ্তবিংশ (২৭) খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে
স্বরলিপিটি অবিকৃত ছিল। ১৩৬২ সংস্করণে গানটির স্বরলিপি বিকৃত-রূপটি অন্তর্ভুক্ত
করা হয়েছে।
রাগ-মিশ্র
ভৈরবী
রাগ: ধুন। তাল:
ঠুংরি
- [কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(মজুমদার লাইব্রেরি, ১৩১০ বঙ্গাব্দ)]
- [গান
ইন্ডিয়ান প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)]
- [তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮০৭ শকাব্দ,১২৯২ বঙ্গাব্দ)]
- [বাঙালীর গান (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, এপ্রিল ২০০১)]
- [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)]
- [সঙ্গীত প্রকাশিকা পত্রিকা (ভাদ্র ১৩০৯)]
রাগ:
ভৈরবী
। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৩]
রাগ:
ভৈরবী
। তাল: ঢালা। [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি,
জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৬।]
[ভৈরবীতে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর:
সা
(উভয় স্বরলিপি অনুসারে)