বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: ভুবনেশ্বর
হে
পাঠ ও পাঠভেদ:
-
গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
১২২
ভুবনেশ্বর হে
,
মোচন কর' বন্ধন
সব মোচন কর' হে
॥
প্রভু,
মোচন কর' ভয়,
সব দৈন্য করহ
লয়,
নিত্য চকিত
চঞ্চল চিত কর' নিঃসংশয়।
তিমিররাত্রি,
অন্ধ যাত্রী,
সমুখে তব দীপ্ত
দীপ তুলিয়া ধর' হে
॥
ভুবনেশ্বর হে,
মোচন কর'
জড়বিষাদ মোচন কর' হে।
প্রভু তব
প্রসন্ন মুখ
সব দুঃখ করুক
সুখ,
ধূলিপতিত দুর্বল
চিত করহ জাগরূক।
তিমিররাত্রি,
অন্ধ যাত্রী,
সমুখে তব দীপ্ত
দীপ তুলিয়া ধর' হে
॥
ভুবনেশ্বর হে,
মোচন কর'
স্বার্থপাশ মোচন কর' হে।
প্রভু,
বিরস বিকল প্রাণ,
কর'
প্রেমসলিল দান,
ক্ষতিপীড়িত
শঙ্কিত চিত কর' সম্পদবান।
তিমিররাত্রি,
অন্ধ যাত্রী,
সমুখে তব দীপ্ত
দীপ তুলিয়া ধর' হে
॥
RBVBMS
110 (i)
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ]
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটি 'খেয়া'র পাণ্ডুলিপিতে প্রথম লিখিত হয়েছিল। এই
গানটি লেখা হয়েছিল ৩১-৩২ পৃষ্ঠায়। পাণ্ডুলিপিতে গানটির সাথে রচনার তারিখ
উল্লেখ নেই। এই পাণ্ডুলিপির আগে পরে
লেখা হয়েছিল স্বদেশ পর্যায়ের কিছু গান।
এসকল গানের সাথে মাসের নাম পাওয়া যায় 'ভাদ্র'। এই বিচারে ধারণা করা যায়, গানটি
ভাদ্র-আশ্বিন মাসের দিকে রচিত। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৪ বৎসর ৪-৫ মাস।
উল্লেখ্য, ১৩১২ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [বুধবার,
২৪ জানুয়ারি ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দ]-এ
৭৬তম মাঘোৎসবে
গানটি প্রথম গীত সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এই উৎসবে কতগুলি গান পরিবেশিত হয়েছিল, তা জানা যায় নাই। পরিবেশিত গানগুলোর ভিতর
শুধু এই একটি গানের সন্ধান পাওয়া যায়। যদি মাঘোৎসবকে সামনে রেখে এই গানটি রচিত হয়ে
থাকে, তাহলে, গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৪ বৎসর ৮-৯ মাস বয়সের রচনা হিসেবে
হিসেবে উল্লেখ করা যায়।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ [সিটি বুক সোসাইটি, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ, ১৯০৯
খ্রিষ্টাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত। ইমন
ভূপালী-একতালা। পৃষ্ঠা: ৩৭৩-৭৪।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। ব্রহ্মসঙ্গীত। ইমন ভূপালী-একতালা। পৃষ্ঠা: ৩৪৯-৩৫০]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮),
পৃষ্ঠা: ৩০৯-৩১০ [নমুনা:
প্রথমাংশ
শেষাংশ]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮),
পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ: প্রার্থনা
৩১,
পৃষ্ঠা: ৫২-৫৩।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা ১২২,
উপ-বিভাগ :
প্রার্থনা ৩১, পৃষ্ঠা: ৫৬।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ), গান,
পৃষ্ঠা:
১২৯-৩০।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ৪র্থ ভাগ (বৈশাখ ১৩১৫ বঙ্গাব্দ)।
ইমন-একতালা।
কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান চতুর্বিংশ খণ্ড (২৪)
(বিশ্বভারতী,
শ্রাবণ ১৪১৬) খণ্ড, ২১ সংখ্যক গান, পৃষ্ঠা ৫৬-৬০।
[নমুনা]
- পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী(ফাল্গুন ১৩১২ বঙ্গাব্দ)।
ইমন ভূপালী-একতালা। পৃষ্ঠা: ১৭১-৭২।
[নমুনা]
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা(জ্যৈষ্ঠ
১৩১৪ বঙ্গাব্দ)।
ইমন ভূপালী-একতালা।
পৃষ্ঠা ১৭৭-৭৯।
কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
-
পরিবেশনা: ১৩১২ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০৬
খ্রিষ্টাব্দ]-এ
৭৬তম মাঘোৎসবে
গানটি প্রথম গীত সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে কতগুলি গান
পরিবেশিত হয়েছিল, তা জানা যায় নাই। পরিবেশিত গানগুলোর ভিতর শুধু এই একটি
গানের সন্ধান পাওয়া যায়।
-
রেকর্ডসূত্র: সিদ্ধার্থ
ঘোষের রচিত রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত (ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন।
নভেম্বর ১৯৮৯) গ্রন্থ [পৃষ্ঠা: ৪২] থেকে আলোচ্য গানের যে রেকর্ডসূত্রের
তথ্য পাওয়া যায়। তা হলো-
-
১৯১৫
খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে
গ্রামোফোন কোম্পানি এই
গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল।
গানটির শিল্পী ছিলেন
ভবসিন্ধু দত্ত। রেকর্ড
নম্বর ছিল
1 3-12219/13-12220,
পরবর্তী নম্বর
P 2189।
প্রকাশের কালানুক্রম:
১১ মাঘ ১৩১২ বঙ্গাব্দে অনুষ্ঠিত ৭৬তম মাঘোৎসবে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এরপর গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩১২ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এর অন্যান্য যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, সেগুলো হলো- ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ৪র্থ ভাগ (বৈশাখ ১৩১৫ বঙ্গাব্দ), গান প্রথম সংস্করণ (১৩১৫), গান দ্বিতীয় সংস্করণ (১৩১৬), ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১) ও কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড (১৩২৩)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ - গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের উপবিভাগ: প্রার্থনা হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১২২ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
[নমুনা]
- স্বরলিপিকার:
স্বরবিতান-২৪-এর
৭৬ পৃষ্ঠায় কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত
স্বরলিপিটি সুরভেদ হিসাবে দেখানো হয়েছে। স্বরবিতান-২৪-এ
গৃহীত মূল স্বরলিপিটি কার তা জানা যায় না।
[কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
- সুর ও তাল:
-
রাগ :
ইমন-ভূপালী।
তাল :
একতাল
[স্বরবিতান চতুর্বিংশ
খণ] রাগ ইমন ও
ভূপালী'র
মিশ্রণে এই সুরটি রচিত।
- রাগ:
ইমন-ভূপালী।
তাল:
একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।(প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)।
পৃষ্ঠা: ৭১।
-
রাগ:
ইমন-ভূপালী।
তাল:
একতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১২৪]
[ইমন-ভূপালী রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[একতাল
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা ]
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ।
- গ্রহস্বর:
র্সা।
-
লয়: মধ্য।