বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: এই মলিন বস্ত্র ছাড়তে হবে, হবে গো এইবার
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান অখণ্ড (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর পাঠ: পূজা (সাধনা ও সংকল্প-১) পর্যায়ের ১৭৫ সংখ্যক গান।
এই মলিন বস্ত্র ছাড়তে হবে, হবে গো এইবার
—
আমার এই মলিন অহঙ্কার॥
দিনের কাজে ধুলা লাগি অনেক দাগে হল দাগি,
এমনি তপ্ত হয়ে আছে সহ্য করা ভার
আমার এই মলিন অহঙ্কার ॥
এখন তো কাজ সাঙ্গ হল দিনের অবসানে—
হল রে তাঁর আসার সময়, আশা এল প্রাণে।
স্নান ক’রে আয় এখন তবে প্রেমের বসন পরতে হবে,
সন্ধ্যাবনের কুসুম তুলে গাঁথতে হবে হার।
ওরে আয়, সময় নেই যে আর ॥
RBVBMS 478 [ নমুনা]
পাঠভেদ: গানটির পাঠভেদ আছে। [স্বরবিতান-৩৭-এর ৯৭ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠভেদ অনুসারে নিচের পাঠভেদটি দেওয়া হলো]
সন্ধ্যাবনে কুসুম তুলে : গীতলিপি ২
সন্ধ্যাবনের কুসুম তুলে : গান (১৯০৯)
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের
RBVBMS 478 পাণ্ডুলিপিতে '১৯ আশ্বিন'।
১৩১৭ বঙ্গাব্দে এই গানটি 'গীতাঞ্জলি'-তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময়ে এই গানের নিচে রচনার তারিখ উল্লেখ ছিল '১৯ আশ্বিন ১৩১৬'। উল্লেখ্য, ১৩১৬ বঙ্গাব্দের ১৯ আশ্বিন তারিখে [শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ] রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন আসেন। এই দিন তিনি এই গানটি রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৮ বৎসর ৫ মাস।
[৪৮ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ.প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ।
গীতাঞ্জলি।
গান সংখ্যা ৩৫, পৃষ্ঠা ৩২১] [নমুনা]
-
গান
-
গীতবিতান
-
গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ [৬ আষাঢ় ১৩১৭ বঙ্গাব্দ, ২০ জুন ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ] সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যয়-কৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
গীতাঞ্জলি
-
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ১৩১৭। পৃষ্ঠা ৫০]
[নমুনা]
- রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড। বিশ্বভারতী। গীতাঞ্জলি ৪১। ]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা:
৩৭]
[নমুনা]
-
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি [১৩৩৪ বঙ্গাব্দ, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ)। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
সপ্তত্রিংশ খণ্ড (৩৭, কাব্যগীতি) খণ্ডের (অগ্রহায়ণ ১৪১৩) খণ্ডের সপ্তম
গান। পৃষ্ঠা ২০-২২।
[নমুনা]
-
রেকর্ডসূত্র :
পাওয়া যায় নি।
- প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩১৬
বঙ্গাব্দে ' গান' নামক গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে 'নূতন গান' হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর অন্যান্য যে সকল গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো- গীতাঞ্জলি (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ) কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) এবং সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ -এ গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের সাধনা ও সংকল্প উপবিভাগের প্রথম গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ১৭৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
- সুর ও তাল:
- রাগ-মিশ্র বারেয়াঁ। তাল-একতাল। (স্বরবিতান-৩৭)
- রাগ-মূলতানী। তাল-একতাল। (গান)।
- রাগ: পিলু-ভীমপলশ্রী।
তাল: একতাল [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩৬]
- রাগ: বারোয়াঁ। তাল:
একতাল
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৮।
- লয়-মধ্য।