বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:উড়িয়ে ধ্বজা
অভ্রভেদী রথে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ: পূজা
(সাধনা ও সংকল্প-৯) পর্যায়ের ১৮৩ সংখ্যক গান।
উড়িয়ে ধ্বজা
অভ্রভেদী রথে
ওই-যে
তিনি,
ওই-যে বাহির পথে
॥
আয় রে ছুটে,
টানতে হবে রশি-
ঘরের কোণে রইলি
কোথায় বসি !
ভিড়ের মধ্যে
ঝাঁপিয়ে পড়ে গিয়ে
ঠাঁই
ক'রে
তুই নে রে কোনোমতে
॥
কোথায় কী তোর আছে ঘরের কাজ
সে-সব কথা ভুলতে হবে আজ।
টান্ রে দিয়ে
সকল চিত্তকায়া,
টান্ রে ছেড়ে
তুচ্ছ প্রাণের মায়া,
চল্ রে টেনে
আলোয় অন্ধকারে
নগর-গ্রামে অরণ্যে পর্বতে
॥
ওই-যে চাকা
ঘুরছে রে ঝন্ঝনি,
বুকের মাঝে
শুনছ কি সেই ধ্বনি
?
রক্তে তোমার
দুলছে না কি প্রাণ
?
গাইছে না মন
মরণজয়ী গান
?
আকাঙ্ক্ষা
তোর বন্যাবেগের মতো
ছুটছে না কি
বিপুল ভবিষ্যতে ?।
RBVBMS 357
[নমুনা]
RBVBMS 478
[নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের
RBVBMS 357 পাণ্ডুলিপিতে
লিখিত গানটির নিচে তারিখ উল্লেখ আছে- '২৬শে
আষাঢ়
১৩১৭' এবং
RBVBMS 478 পাণ্ডলিপিতে
'২৬শে আষাঢ়/গোরাই'। উভয় পাণ্ডুলিপি অনুসারে গানাট রচনার তারিখ ও স্থান
পাওয়া যায়- ২৬শে আষাঢ়, গোরাই
নদী। এই বিচারে বলা যায়- গানটি রবীন্দ্রনাথের
৪৯ বৎসর ৩ মাস বয়সের রচনা।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৯ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
উল্লেখ্য,
১৩১৭ বঙ্গাব্দের ২১শে আষাঢ়ে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন
থেকে কলকাতায় আসেন। ২২শে আষাঢ়
ভোরে শিলাইদহের উদ্দেশে রওনা দিয়ে রাত্রি বেলায় পৌঁছান। ২৮ আষাঢ় পর্যন্ত
রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ এবং এর আশপাশের এলাকায় ভ্রমণ করেন। এই সময়ের ভিতরে তিনি এই
গানটি-সহ মোট
৪টি গান রচনা করেন।
এই বছরের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৭শে আষাঢ়। ২৬শে আষাঢ় তিনি এই গানটি
রচনা করেছিলেন রথযাত্রা
উপলক্ষে।
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮),
পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ:
সাধনা ও সংকল্প:
৯,
পৃষ্ঠা: ৭৯-৮০।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
অখণ্ড, তৃতীয়
সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা ১৮৩,
উপ-বিভাগ :
সাধনা ও সংকল্প:
৯।
-
গীতলিপি
ষষ্ঠ ভাগ (১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দ,
১৩২৫
বঙ্গাব্দ)
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
গীতাঞ্জলি
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান
পাবলিশিং হাউস, ২০ ভাদ্র ১৩১৭ বঙ্গাব্দ।
১১৯
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৩৭।
[নমুনা]
- রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)।
গীতাঞ্জলি ১১৮। পৃষ্ঠা ৯৩-৯৪।
- পত্রিকা:
-
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র
পাওয়া যায় নি।
- প্রকাশের কালানুক্রম:
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩১৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে গীতাঞ্জলির প্রথম সংস্করণে। ১৩১৭ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ [বুধবার ২৫ জানুয়ারি ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ] একাশীতিতম (৮১) মাঘোৎসবের প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল।
এরপর যে সকল গ্রন্থে গানটি স্থান পেয়েছিল, সেগুলো হলো-ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ), কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ), গীতলিপি ৬ষ্ঠ ভাগ (১৩২৫ বঙ্গাব্দ) ও সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা (উপবিভাগ: সাধনা ও সংকল্প- ৯)। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ১৮৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
সুর ও তাল:
-
রাগ-টোড়ী
ভৈরবী। তাল-কাহারবা। [স্বরবিতান ৩৭]
- রাগ: ভৈরবী-ভৈরব। তাল:কাহারবা।
[রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর
২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৫]।
-
রাগ: তোড়ি,
ভৈরবী। তাল: কাহারবা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত।
প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই
২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৫]
গ্রহস্বর-সা।
লয়-মধ্য।
ব্রহ্মসঙ্গীত ।