বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
পারবি
না কি যোগ দিতে এই ছন্দে রে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ। পূজা ৩১৫। আনন্দ ৭
পারবি
না কি যোগ দিতে এই ছন্দে রে
এই খসে যাবার,
ভেসে
যাবার,
ভাঙবারই আনন্দে রে
॥
পাতিয়া কান
শুনিস না যে
দিকে দিকে গগনমাঝে
মরণবীণায় কী সুর বাজে তপন-তারা-চন্দ্রে রে-
জ্বালিয়ে আগুন ধেয়ে ধেয়ে জ্বলবারই আনন্দে রে
॥
পাগল-করা গানের
তানে
ধায় যে কোথা কেই বা জানে,
চায় না ফিরে পিছন-পানে,
রয় না বাঁধা বন্ধে রে-
লুটে যাবার,
ছুটে
যাবার,
চলবারই আনন্দে রে।
সেই
আনন্দ-চরণ-পাতে
ছয় ঋতু যে নৃত্যে মাতে,
প্লাবন বহে যায় ধরাতে বরণ গীতে গন্ধে
রে-
ফেলে দেবার,
ছেড়ে
দেবার,
মরবারই আনন্দে রে
॥
RBVBMS 478
[নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
RBVBMS 478
পাণ্ডুলিপিতে
গানটির সাথে রচনার তারিখ ও স্থানের উল্লেখ আছে-'১৮ই ভাদ্র/বোলপুর'।
উল্লেখ্য,
৩০শে শ্রাবণ, রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন। ৭ই ভাদ্র [সোমবার, ২৩
আগষ্ট ১৯০৯] তিনি
কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে আসেন এবং ১৮শে ভাদ্র পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে কাটান।
এই সময় তিনি এই গানটি-সহ মোট ১৮টি গান রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স
ছিল রবীন্দ্রনাথের ৪৮ বৎসর
৪ মাস।
[
রবীন্দ্রনাথের ৪৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ,
গীতাঞ্জলি
৩০,
পৃষ্ঠা ৩১৪-৩১৫]
[নমুনা]
-
গান
-
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত।
বাহার-তেওরা। পৃষ্ঠা: ৩৭৪।
[ নমুনা]
-
গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ
[৬ আষাঢ়, ১৩১৭
বঙ্গাব্দ, ২০
জুন ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ।
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮।
গীতাঞ্জলি
(১৩১৭ বঙ্গাব্দ)-এর প্রথম সংস্করণ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা:
৩৫১-৩৫২]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, মাঘ
১৩৪৮। পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ:
আনন্দ
৭,
পৃষ্ঠা: ১২৯]
[নমুনা]
-
অখণ্ড,
তৃতীয়
সংস্করণ
( বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২), ;পর্যায়:
পূজা ৩১৫
,
উপবিভাগ:
আনন্দ
৭।
-
গীতাঞ্জলি
-
প্রথম সংস্করণ
[২০ ভাদ্র, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ। ৩৭ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ৪৩-৪৪] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)।
গীতাঞ্জলি।
৩৬ সংখ্যক গান।পৃষ্ঠা ৩০-৩১।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
[ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ৪৯-৫০]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি[১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ।
ভীমরাও শাস্ত্রী-স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।]
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ খণ্ড
(৩৮) খণ্ডের ২৬ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ৭৫-৭৭]
[নমুনা]
-
GITANJALI (Song offerings)
।
নোবেল
পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতাঞ্জলি (১৯১২
খ্রিষ্টাব্দ)।
৭০ সংখ্যক গান।
ইংরেজী
গীতাঞ্জলি'তে
রবীন্দ্রনাথ-কৃত অনুবাদ :
Is it beyond thee to be glad with the
gladness of this rhythm ? to be tossed and lost and broken in the whirl of this
fearful joy?
All things rush on, they stop not, they look not behind, no power can hold them
back, they rush on.
Keeping steps with that restless, rapid music, seasons come dancing and pass
away- colours, tunes, and perfumes pour in endless
cascades in the abounding joy that scatters and gives up and dies every moment.
পত্রিকা:
-
সুপ্রভাত
[আশ্বিন
১৩১৬ বঙ্গাব্দ।
শিরোনাম-মৃত্যু-লীলা'।
বাহার-তেওরা।
পৃষ্ঠা ১১২]
[নমুনা]
রেকর্ডসূত্র:
পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩১৬ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে গানটি 'সুপ্রভাত' পত্রিকা এবং গান দ্বিতীয় সংস্করণ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ)-এর প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলো হলো- গীতাঞ্জলি প্রথম সংস্করণ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ), কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) ও সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
গ্রন্থাদিতে গানটি প্রকাশের পর গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতাঞ্জলি (১৩১৭ বঙ্গাব্দ)-এর প্রথম সংস্করণ থেকে গৃহীত হয়েছিল।
এরপর গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের আনন্দ উপবিভাগের সপ্তম গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ৩১৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার :
- সুরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়।
[গীতলিপি-২য় ভাগ।]
- ভীমরাও শাস্ত্রী।
[সংগীত-গীতাঞ্জলি।]
- সুর ও তাল:
- রাগ-বাহার।
তাল-তেওরা।
[স্বরবিতান-৩৮]
-
অঙ্গ:
বাহার।
তাল: তেওরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৪]
- অঙ্গ:
বাহার।
তাল: তেওরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১২ ]
- বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
- গ্রহস্বর: ণা