বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: প্রভু,
আজি তোমার দক্ষিণ হাতে রেখো না ঢাকি।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ: পূজা:
৩৬৪
প্রভু,
আজি তোমার দক্ষিণ হাতে রেখো না ঢাকি।
এসেছি তোমারে,
হে নাথ,
পরাতে রাখী
॥
যদি বাঁধি
তোমার হাতে পড়ব বাঁধা সবার সাথে,
যেখানে যে আছে কেহই রবে না বাকি
॥
আজি যেন ভেদ নাহি রয় আপনা পরে,
তোমায় যেন এক দেখি হে বাহিরে ঘরে।
তোমা সাথে যে
বিচ্ছেদে ঘুরে বেড়াই কেঁদে কেঁদে
ক্ষণেকতরে ঘুচাতে তাই তোমারে ডাকি
॥
RBVBMS 478
[নমুনা]
পাঠভেদ: গানটির পাঠভেদ আছে। স্বরবিতান-৩৭ 'এর
৯৮ পৃষ্ঠায় গানটির পাঠভেদ দেওয়া আছে। উক্ত পাঠভেদ অনুসারে
নিচের
পাঠভেদটি তুলে ধরা হলো।
তোমায় যেন এক দেখি হে
: গান (১৯০৯)
গীতলিপি ২
আমায় যেন এক
দেখি হে
: গীতবিতান (আশ্বিন
১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
RBVBMS 478
পাণ্ডুলিপিতে লিখিত গানের সাথে গানটির রচনার স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ আছে- 'শিলাইদহ, ২৭শে আশ্বিন/১৩১৬'।
উল্লেখ্য, ১৩১২ বঙ্গাব্দের ১১ আশ্বিন (বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ] তারিখ বিকাল ৬টায় ১৮-৪ অঙ্কুর দত্ত লেনে- রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে সাবিত্রী লাইব্রেরির স্বধর্ম সাধন সমিতির একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ 'রাখী বন্ধন' অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেন। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্প্রীতি সুদৃঢ় রাখার উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ এ প্রস্তাব করেছিলেন। প্রস্তাবে ৩০ আশ্বিন তারিখটি 'রাখী বন্ধন'-এর জন্য নির্ধারিত করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি চাপা পড়ে যায়। চার বছর পর শান্তিনিকেতনের ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানটি প্রচলনের চেষ্টা করা হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথকে এ ব্যাপারে জানালে, তিনি তাতে বাধা দেন নি সত্য, কিন্তু উৎসাহও দেন নি। কারণ, ভারতের তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে 'রাখী বন্ধন' উৎসবের ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তারপরেও ওই উৎসবের জন্য এ গানটি লিখে পাঠিয়েছিলেন। এই গানটি তিনি রচনা করেছিলেন- ২৭ আশ্বিন ১৩১৬ বঙ্গাব্দ। শিলাইদহ। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৮ বৎসর ২ মাস।
[৪৮ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ, গীতাঞ্জলি ৩৭। পৃষ্ঠা ৩২৩]
[নমুনা]
-
গান
-
দ্বিতীয় সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান
প্রেস ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬
বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী হাম্বির, তাল একতাল।
পৃষ্ঠা: ৩৬৬-৩৬৭। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- গীতবিতান
- অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)।
পূজা
৩৬৪ , উপবিভাগ:
বিশ্ব
৩১ ।
-
গীতাঞ্জলি
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ২০ ভাদ্র ১৩১৭ বঙ্গাব্দ, ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ।
৪৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫২]
[নমুনা]
-
ইন্ডিয়ান পাবলিশিং
হাউস (শ্রাবণ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)।
-
৪৩ সংখ্যক গান।
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ
খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ৩৬।
-
গীতলিপি দ্বিতীয়
ভাগ (৬ আষাঢ় ১৩১৭ বঙ্গাব্দ ,
২০
জুন
১৯১০
খ্রিষ্টাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ-মুদ্রিত হয়েছিল।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ।
পৃষ্ঠা:
২৭]
[নমুনা]
-
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি
[১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ।
ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত
হয়েছিল]
-
স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ খণ্ড (৩৭) খণ্ডের ২৩ সংখ্যক গান। কীর্তনের সুর- কাওয়ালি
পৃষ্ঠা ৬৭-৬৯]
[নমুনা]
- পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (চৈত্র ১৩১৭
বঙ্গাব্দ)। কীর্তনের সুর-ঠুংরী। পৃষ্ঠা ২০১।
-
বঙ্গদর্শন (কার্তিক
১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। শিরোনাম-রাখী '।
পৃষ্ঠা ৩৪০। [নমুনা]
-
রেকর্ডসূত্র: নাই
-
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বঙ্গদর্শন পত্রিকার '১৩১৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এই বছরেই গান নামক গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩১৭ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ ৮১তম মাঘোৎসবের সায়ংকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই সূত্রে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'চৈত্র ১৩১৭ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সে গুলো হলো- গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), গীতাঞ্জলি প্রথম সংস্করণ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ), কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) ও সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
এরপর গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে পূজা পর্যায়ের বিশ্ব উপবিভাগের ৩১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ৩৬৪ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
-
সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[গীতলিপি- দ্বিতীয় ভাগ
থেকে স্বরবিতান-৩৭ খণ্ডে গৃহীত হয়েছে]
-
ভীমরাও শাস্ত্রী।
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি
- সুর ও তাল:
-
কীর্তনের সুর।
তাল-কাওয়ালি। স্বরবিতান-৩৭
-
কীর্তনের সুর।
তাল-ঠুংরী। তত্ত্ববোধিনী
- অঙ্গ: কীর্তন। তাল: ত্রিতাল>
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৫]
-
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: কাওয়ালি (৮
মাত্রা)>
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১৩ ]
-
-
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ:
কীর্তনাঙ্গ
-
গ্রহস্বর: মা।
-
লয়: মধ্য।