১০৫২.
রাগ: কেদারা / হাম্বির,  তাল ত্রিতাল

আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া।
চম্পা কুঞ্জে আজো গুঞ্জে ভ্রমরা, কুহরিছে পাপিয়া॥
প্রেম-কুসুম শুকাইয়া গেল হায়,
প্রাণ-প্রদীপ মোর হের গো নিভে যায়,
                        বিরহী এসো ফিরিয়া॥
তোমারি পথ চাহি হে প্রিয়া নিশিদিন
মালার ফুল মোর ধূলায় হ’ল মলিন
                        জনম গেল ঝুরিয়া॥

ভাবসন্ধান:
এটি প্রেম পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের অন্তর্গত গান। গানের স্থায়ী অংশ থেকে মনে হয়, কোনো এক সময় কোনো এক নারীর প্রণয়ী ছেড়ে চলে গেছে। সেই থেকে সে বিরহিণী। সেই থেকে তাঁর বিরহী মন কোকিল-সম কাননে কেঁদে ফিরছে। রিক্ত মনোকুঞ্জে প্রণয়ীর কথা ভ্রমরের মতো গুঞ্জন করে মরছে, আর্তনাদ করে ফিরছে মনের পাপিয়া।

দীর্ঘ বিরহে প্রেমের কুসুম মালা শুকিয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে প্রণয়-প্রত্যাশী নারীর প্রেমের মৃত্যু ঘটছে নীরবে। তাই প্রণয়ীর উদ্দেশে তাঁর সকাতর আহ্বান, 'বিরহী এসো ফিরিয়া'। প্রতীক্ষারতা এই নারীর দীর্ঘ দুঃসময়ের রাত্রিদিন কেটে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে, কাটে পথপানে চেয়ে। ধীরে ধীরে মলিন হয়, তার প্রেমের মুকুল, সপ্রেম জীবনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন ঝরে পরে নীরবে।

১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:

২. রেকর্ড সূত্র:  নাই।

৩. রচনাকাল : গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না।

৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ :

৫. সুরকার: 

. স্বরলিপিকার :

. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী :
সকল স্বরলিপি গ্রন্থেই রাগে নাম হাম্বীর উল্লেখ আছে। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর তাঁর 'নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা'' গ্রন্থে এই গানটির রাগ 'কেদারা' উল্লেখ করেছেন। তিনি এই নির্দেশের সূত্র হিসেবে নজরুলের পাণ্ডুলিপিকে নির্দেশ করেছেন। একই সাথে তিনি লিখেছেন, 'বর্তমানে প্রচলিত হাম্বীর রাগের সুরটির কোন ভিত্তি নেই'।
তাল: ত্রিতাল [সকল স্বরলিপি]
গ্রহস্বর: হ্মা। [সকল স্বরলিপি]