বাঙালির বস্ত্রশিল্প ও পোশাক

বাংলাদেশের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃত নেগ্রিটোরা পোশাক পড়তো না কি, নগ্ন থাকতো সে বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা যায় না। আর্যদের ভারতবর্ষে আসর আগে, ভারতবর্ষে বসবাসকারীদের সাধারণভাবে বলা হয় অনার্য। এদেরকে সাধারণভাবে নেগ্রিটো, প্রোটো-অস্ট্রালয়েড, দ্রাবিড়, মোঙ্গোলীয় জাতির লোকদের একীভূত করে বিবেচনা করা হয়। সম্ভবত প্রোটো-অস্ট্রালয়েড-দের ভিতরে প্রথম নগ্নতা বোধ জাগ্রত হয়। হিমলায় সংলগ্ন প্রোটো-অস্ট্রালয়েডরা শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, গাছের বাকল পিটিয়ে পাতলা করে পরতো। তিব্বত, ভুটান, সিকিম, নেপাল অঞ্চলের আদিবাসীরা পশুর চামড়াজাত মোটা পোশাক পরতো। সেই তুলনায় হিমালয়ের পাদদেশের আদিবাসীদের পোশাক ছিল অনেকটা হাল্কা। গরমের সময় নগ্ন শরীরে থাকলেও নিম্নাঙ্গকে আবরিত করে রাখার অভ্যাস গড়ে উঠেছিল ধীরে ধীরে

আর্যদের সময় সমগ্র ভারতবর্ষের বাকল থেকে তৈরিকৃত কাপড় ব্যবহারের প্রচলন ছিল। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে জানা যায়, বঙ্গদেশে এক সময় কাপড় তৈরি হতো গাছের বাকল থেকে। সেকালের আর্য-অনার্য বা মিশ্র জনগোষ্ঠীর মানুষেরা গাছের বাকলকে পিটিয়ে কাপড়ের মতো পাতলা করে, তারপর তা শুকিয়ে পরিধান করা হতো। সাঁচির বৌদ্ধস্তূপের স্তম্ভে মানুষের অবয়বগুলোতে যে কাপড়ের আবরণ দেখা যায়, তা বাকল থেকে তৈরি হওয়া বস্ত্রই মনে হয়। বাকল থেকে তৈরি কাপড়কে বলা হতো ক্ষৌম। এর ভিতরে সেরা জাতের ক্ষৌম-কে বলা হতো 'দুকুল'। বঙ্গ নামক জনপদের দুকুলের রঙ ছিল স্নিগ্ধ সাদা। পুণ্ড্র নামক জনপদের দুকুলের রঙ ছিল শ্যামবর্ণের আর সুবর্ণকুডোর  দুকুল ছিল উজ্জ্বল। উল্লেখ্য বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজবাড়িডাঙ্গা'র রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারের প্রত্নস্থল অথবা আধুনিক রাঙ্গামাটি সন্নিকটে চিরুটি রেলস্টেশনের কাছে কর্ণসুবর্ণ ছিল বলে ধারণ করা হয়। প্রাচীনকালে এর নাম ছিল সুবর্ণকুডো।

বঙ্গদেশ পুরুষেররা সে সময়ে দুকুল পরতো নিম্নাঙ্গে। বাংলার নারীরা সম্ভবত এর সাথে পৃথক পাতলা দুকুল পরতো কাঁচুলির মতো করে। সরাসরি বাকল থেকে কাপড় তৈরির পরিবর্তে, বঙ্গদেশে এক সময় সুতিবস্ত্রের প্রচলন শুরু হয়েছিল। এক্ষেত্রে শণ, পাট, অতসি ইত্যাদি গাছের বাকল ব্যবহার করে সুতা তৈরি করা হতো।

চাণক্যের অর্থশাস্ত্র থেকে জানা যায় খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০-৪০০ অব্দের দিকে বঙ্গ এবং মগধে রেশমের চাষ হতো। তার অর্থ চীনদেশ থেকে রেশম তৈরির কৌশল ভারতে এসেছিল কিম্বা ভারতে স্বতন্ত্রভাবে রেশম তৈরির কৌশল উদ্ভাবিত হয়েছিল। সে সময়ে রেশম ছিল অতি মূলবান সূতা। রাজাদের কাছে উৎকৃষ্ট পাটের কাপড় এবং রেশমের কাপড় ছিল রত্ন স্বরূপ। গাছের বাকল থেকে উৎপন্ন কাপড়ের পাশাপাশি ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে কার্পাস তুলা থেকে সুতা তৈরির কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছিল। চাণক্যের মতে- বঙ্গ, মথুরা, কলিঙ্গ, কাশী, বৎসদেশ, মহিষদেশ-এ কার্পাস সুতার কাপড় তৈরি হতো। এরপর ভিতরে বঙ্গদেশের কার্পাস সুতার কাপড় ছিল উৎকৃষ্ট।

উল্লেখ্য, চীন দেশে সর্বপ্রথম রেশম সুতা আবিস্কৃত হয়। এর সর্বপ্রাচীন নমুনা পাওয়া গেছে খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দের। কথিত আছে- খ্রিষ্টপূর্ব ২৭ শতাব্দীতে লেইজু (Leizu) নামের এক সম্রাজ্ঞী বাগানে বসে সহচরীদের নিয়ে চা পান করছিলেন, এমন সময় একটি রেশমগুটি তার চায়ের পাত্রে এসে পড়ে, তার এক বালিকা সহচরী দ্রুত পাত্র থেকে গুটিটি তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এই সময় তিনি লক্ষ্য করেন যে, গুটি থেকে এক ধরনের মিহি সুতো বের হচ্ছে। সম্রাজ্ঞী বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন যে, এই সুতা থেকে উন্নত মানের কাপড় বোনা সম্ভব। এরপর সম্রাজ্ঞীর আদেশে রেশমগুটি সংগ্রহ করে সুতা তৈরি করা হয় এবং পরে সেই সুতা থেকে কাপড় তৈরি করা হয়। পরে সম্রাজ্ঞীর আদেশে প্রাসাদের ভিতরে মেয়েরা প্রথম রেশম কাপড় তৈরি করা শুরু করে। সে সময় প্রাসাদ রমণীদের একটি বড় বিনোদনের বিষয় ছিল রেশম বুনন। তারপর হাজার বছর ধরে রেশমি কাপড় কিভাবে তৈরি করা হয়, তা চীনারা গোপন রাখে। রেশম আবিষ্কারের ফলে চিত্রশিল্পের ক্ষেত্র এক বিশাল অগ্রগতি হয়। চীনে রেশমি কাপড়ের উপর আঁকা ছবির সূত্রে এক স্বতন্ত্র চিত্রশৈলীর ধারা তৈরি হয়েছিল। বাইজেন্টাইন সম্রাট জাস্টেনিয়ানের আদেশে দুজন ইউরোপীয় পাদ্রী গোপনে রেশম উৎপাদনের কৌশল শিখে নেন। ৫৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে, ইউরোপে রেশম চাষ শুরু হয়। ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো ছিল ইউরোপের সর্বাধিক রেশম উৎপাদন শহরে পরিণত হয়েছিল।

বাংলার সবচেয়ে মূলবান কাপড় ছিল মসলিন। দীনেশচন্দ্র সেন-এর 'বৃহৎ বঙ্গ' নামক গ্রন্থ থেকে মসলিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। প্লিনির মতে, রোমের মেয়েরা নাকি জনসাধারণের সামনে নগ্ন দেহ দেখাতো মসলিন পরার ছুতোয়। কবি ইয়েটেস-এর বিবরণ থেকে জানা যায়, খ্রিষ্টের জন্মের ২০০ বছর আগে গ্রিসে ভারতের মসলিনের কাপড় পরার চল ছিল। বোল্টস-এর বিবরণ থেকে জানা যায়, আওরঙ্গজেবের কন্যা জেবুন্নসেনাকে প্রায় নগ্ন দেখে আওরঙ্গজেব তাঁকে ভর্ৎসনা করেছিলেন। উত্তরে জেবুন্নেসা বলেছিলেন, তিনি সাতবার মসলিন কাপড়টি ঘুরিয়ে পরেছেন। মসলিন তৈরি হতো মূলত বৃহত্তর ঢাকার বিভিন্ন অংশে। আর রেশম তৈরি হতো উত্তরবঙ্গে। ‌উভয় কাপড়েরই তৈরি শুরু হয়েছিল ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০-৩০০ অব্দের দিকে।

বিজয়গুপ্তের পদ্মপুরাণে পাওয়া যায়, সিংহলরাজ চাঁদ সওদাগরের কাছে পট্টবস্ত্র পেয়ে বাঙালিভাবে বস্ত্র পরছেন। পরার ধরন হলো 'একখানি কাচিয়া পিন্ধে, আর একখানি মাথায় বান্ধে, আর একখানি দিল সর্বগায়।' সম্ভবত সেকালে বঙ্গদেশের অভিজাত পুরুষরা তিন টুকরো কাপড় ব্যবহার করতো। এর ভিতরে মাথায় বাঁধা কাপড়টি ছিল পাগড়ি। স্থানীয় লোকেরা এর নাম দিয়েছিল পাগ। গায়ের কাপড় ছিল চাদর আর পরনে ছিল ধুতি জাতীয় কৌপিন। সেকালের মানুষ ধুতি পরতো কাছা দিয়ে। কাছা ছিল ঢিলাঢাল। কিন্তু কর্মজীবী পুরুষ তা পরতো 'মালকোচা' দিয়ে। মল্লবীরেরা প্রতোযোগিতার সময় পরনের কাপড় আঁটোসাঁটো করে কাছা দিত। এই থেকে 'মালকোচা শব্দটি এসেছে। সেকালের গামছাকে বলা হতো শাঙালি। আর গা-মোছা শব্দ কালক্রমে গামছা শব্দে পরিণত হয়েছে। সন্ন্যাসীদের পোশাকের রঙ ছিল পীত। অন্যান্য সাধুরা পরতেন সাদা রঙের ধুতি।

একসময় পাগড়ি ছিল অভিজাত বাঙালি পুরুষের পোশাক। খালি গায়ে এবং পাগড়ি ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুনো অসভ্যতার মধ্যে পরতো।

মেয়েদের পোশাক ছিল একপরতের বিশাল থান কাপড়। হাতের বিচারে সাধারণ মাপ ছিল বার হাত। এই দীর্ঘ কাপড়ই কালক্রমে শাড়িতে পরিণত হয়েছে। মেয়েরা নিম্নাঙ্গে পায়ের গোড়ালি ও হাঁটুর মধ্যবর্তী অঞ্চল পর্যন্ত ঝুলিয়ে কাপড় পেঁচিয়ে পরিধান করতো। এর বর্ধিত অংশ কোমর পেঁচিয়ে বক্ষকে আবরিত করে কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে পরতো। ঘোমটার রেওয়াজ ছিল না। তবে কাজের সময়, শাড়ির বর্ধিত অংশ, যা আঁচল হিসেবে থাকতো তা কোমরে শক্ত করে পেঁচিয়ে বাধতো। এই রীতি এখনো প্রচলিত আছে। অভিজাত মেয়েদের ভিতরে বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করতো, তা একালের ব্রেসিয়ারের মতো নয়। সেকালের কাঁচুলি ছিল চওড়া, কারুকাজ করা নকশাযুক্ত। সেকালে কর্নাটি কাঁচুলি বিখ্যাত ছিল।

১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি গৌড় বিজয়ের পর থেকে বঙ্গদেশে মুসলমানি পোশাক প্রবেশ করে। সনাতন হিন্দু ধরমে সেলাই করা পোশাক পরা নিষিদ্ধ ছিল। ফলে পুরুষরা তিন টুকরো কাপড় ব্যবহার করতো। কালক্রমে পরনের কৌপিন লম্বা করে পরার রীতি চালু হয়। সেই সাথে কোচার ঝুলও বৃদ্ধি পায়। এই চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে তৈরি হয় ধুতি। এই বিচারে বাঙালি পুরুষের আদি পোশাক হলো ধুতি। মুসলমানদের সূত্রে বঙ্গদেশে সেলাই করা পোশাকের প্রচলন ঘটে। গোড়ার দিকে আরবের লোকেরা ধুতি পরতো লম্বা করে কোচা ছাড়া। পরার ধরন ছিল সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো। পারশ্যে এই জাতীয় পোশাকের নাম ছিল তাহবন্দ। বাংলাতে এই শব্দ হয়েছিল তহবন, তবন। লুঙ্গি নামক পোশাকটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত কিন্তু নামটা এসেছে বর্মি শব্দ থেকে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাঙালি মুসলমানদের সূত্রে আগত এই শব্দটি তবন শব্দটিকে প্রায় অপসারিত করেছে।

আরবের লু হাওয়ার প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষার জন্য উর্ধাঙ্গে ছিল ঢিলেঢালা আবরণ, সেটাও ছিল অনেকটা চাদরের মতো। একই কারণে এরা মাথায় বড় পাগড়ি জাতীয় কাপড় পরতো। এই বিচারে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে ভারতের পোশাকের খুব একটা তফাৎ ছিল না। বাহারি পোশাকের চল হয়েছিল বাগদাদের আব্বাসী শাসনামলে। কালক্রমে মধ্যপ্রাচ্যের সকল অঞ্চলে এর প্রভাব পরে। এদের মাধ্যমে পায়জামা জাতীয় পোশাকের প্রচলন হয়েছিল। সেলাই করে পোশাক বানানোর রীতি অনুসারে গায়ের চাদরকে এরা জামা জাতীয় পোশাকে পরিণত করেছিল। এরই নানা প্রকরণ তৈরি হয় ধীরে ধীরে। বঙ্গদেশে আগত মুসলমানরা পায়জামা জাতীয় পোশাক পরতো নিম্নাঙ্গে আর উর্ধাঙ্গে ছিল কুর্তা জাতীয় পোশাক। ধর্মান্তরিত মুসলমানরা বহুদিন পর্যন্ত ভারতীয় ধুতি পরতো। মুসলামনি পোশাক পরার রীতি প্রথম গ্রহণ করে অভিজাত হিন্দুরা। প্রথম দিকে ঘরের ভিতর ধুতি ব্যবহার করতো। কিন্তু বিশিষ্ট মহলে যাওয়ার সময় পায়জামা এবং মুসলামানি কুর্তাই ব্যবহার করতো। আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে অভিজাত শ্রেণির হিন্দু-মুসলমান কারুকার্য করা নানা ধরনের জামা পরতো।

মধ্যবিত্ত হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের পুরুষ মানুষ গরমকালে খালি গায়ে থাকতো অন্দর মহলে। কিন্তু ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় কুর্তা জাতীয় পোশাক পরতো উর্ধাঙ্গে, আর নিম্নাঙ্গে পরতো পায়জামা। মধ্যবিত্ত সমাজে সকল সম্প্রদায়ের লোকই পায়জামা বা ধুতি পরতো। ব্রিটিশ শাসন আমল পর্যন্ত মুসলমানরা ধুতিকে হিন্দু পোশাক মনে করতো না। ফলে হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ই ধুতি এবং পায়জামা পরতো। পাঞ্জাবি নিয়ে হিন্দুদের ভিতর কোনো বিতৃষ্ণা ছিল না। কিন্তু ফতুয়াকে নিম্নবর্গের মুসলমানদের পোশাকই বিবেচনা করা হতো।

কিন্তু সাধারণভাবে মুসলমানরা ঢিলেঢালা জামা পরতো। ফারসিতে এর নাম ছিল পিরহান। বাঙালিরা এর নাম দিয়েছিল পিরান। খাটো ঝুলের হা্তাওয়ালা বা হাতা ছাড়া পিরান পরতো নিম্নশ্রেণি-পেশার মানুষ। এই সব বাঙালি মুসলমানরা গোড়ার দিকে অধিকাংশ সময় খালি গায়েই থাকতো। পরনে থাকতো ধুতি বা লুঙ্গি। মাথায় থাকতো গামছা। কিন্তু কুটুমবাড়িতে যাওয়ার সময়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এরা পিরান পরতো। ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়া গ্রাম বাংলার মানুষ টুপি পরতো না। মাঠে কাজ করার সময় মাথালি বা গামছা বেধে রাখতো। হাতাকাটা গেঞ্জি জাতীয় একধরনের ফতুয়া নিম্ন-বিত্ত মুসলমানদের ভিতরে প্রচলিত ছিল।

এই সূত্রে তৈরি হয়েছিল পাঞ্জাবি এবং ফতুয়া। মুসলমান সৈনিকদের পরনে উর্দি ছিল। হিন্দু সৈনিকদের দেহে বর্ম জাতীয় কিছু আবরণ ছিল পোশাক ছিল না। এদের পরনে থাকতো আঁটোসাঁটো খাটো মালকোচা মারা ধুতি, উর্ধ্বাঙ্গ ছিল নগ্ন। মুসলমান আমলে হিন্দু সৈনিকরা, সামরিক পোশাক পরা শিখেছিল।


সূত্র:
অভিভাষণ। অষ্টম বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মেলনে সভাপতির ভাষণ। তৃতীয় ও চতুর্থ গৌরব। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচনা সমগ্র। চতুর্থ খণ্ড। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, ডিসেম্বর ১৯৮৯।
বঙ্গবাসীর অঙ্গবাস। পূর্ণেন্দু পত্রী। প্রতিক্ষণ পাবলিকেশনস্ লিমিটেড। বইমেলা জানুয়ারি ১৯৯৪।