ণত্ব-বিধান িি
ণ +ত্ব=ণত্ব+বিধান=ণত্ব-বিধান।
ণ-বিষয়ক যে বিধান/কর্মধারয় সমাস।
সমার্থক শব্দ : ণত্ব-বিধি [ণ +ত্ব=ণত্ব+বিধান=ণত্ব-বিধি। ণ-বিষয়ক যে বিধি/কর্মধারয় সমাস।]

বাংলা বানানরীতিতে ণত্ব-বিধান সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকে আমদানি করা বিধি
বিশেষ। তাই এই বিধি কার্যকরী হয়ে থাকে তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে এই প্রকরণগুলোর বিচারে এই বিধান কিছু শর্তসাপেক্ষে অনুসৃত হয়। যেমন

১.
শব্দ উৎসের বিচারে আমরা বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দ পাই ছয় প্রকার যেমন তৎসম, অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশী, বিদেশী  ও মিশ্র এর ভিতরে তৎসম শব্দ অর্থাৎ সংস্কৃত থেকে সরাসরি আগত শব্দে 'ণ' কার্যকরী হবে এবং অবশ্যই কিছু বিধিকে অনুসরণ করবে আধুনিক বানানরীতি অনুসারে যে সকল যেসকল তৎসম শব্দে কিছু পরিবর্তন ঘটেছে, তাতে 'ণ'-এর পরিবর্তন হয় না। যেমন : সংস্কৃত শব্দ ধর্ম্ম, বর্তমানে ধর্ম হিসাবে লেখা হয়- রেফের পরে দ্বিত্ব বর্ণ ব্যবহার বাতিল হওয়ার কারণে। কিন্তু,  'ণ'-এর ক্ষেত্রে এরকম কোনো আলাদা সূত্র নেই।

২.
অ-তসম শব্দে 'ন' হবে এবং তা তৎসম শব্দের বিধি দ্বারা প্রভাবিত হবে না
৩.
মিশ্র শব্দে যদি তৎসম শব্দ থাকে তবে তৎসম শব্দের বিধিকে অনুসণ করবে
 

উপরের এই সকল শর্ত পূরণ করে ণত্ব-বিধান-এর জন্য যে সকল বিধি সৃষ্টি করা হয়েছে, তা সংক্ষেপে নিচে উল্লেখ করা হলো
 

ণত্ব-বিধানের বিধি

ব্যাকরণ কৌমুদীর মতে যে সমস্ত বিধান অনুসারে দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়, তাহাকে ণত্ব-বিধান বলে প্রাথমিকভাবে এই সংজ্ঞা থেকে আমরা বুঝতে পারি মূর্ধন্য ণ-এর ব্যবহারবিধি কিন্তু বাস্তবে যা ঘটে তা হলো যেখানে মূর্ধন্য ণ হবে না, সেখানে 'দন্ত্য ন' হবে এই বিষয়টি বাংলা বানান রীতির ক্ষেত্রে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে এই বিচারে এর সংজ্ঞা হওয়া উচিৎ যে বিধান অনুসারে বানানরীতিতে ণ ও ন এর ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়, তাকে ণত্ব-বিধান বলেএই বিধির নাম ণত্ব-বিধান হওয়াটাও যুক্তি সঙ্গত কারণ, এই বিধি শুধুমাত্র মূর্ধন্য ণ-এর ব্যবহারবিধিকে প্রাধান্য দেয় আর দন্ত্য ন-এর ব্যবহারের বিষয়টি পাই মূর্ধন্য ণ-এর বিকল্প ধারা হিসাবে

 

ণত্ব-বিধানে 'ণ' বা 'ন' যাই হোক বিষয়টি নির্ভর করে সংস্কৃত ক্রিয়ামূল বা প্রত্যয়ে উপর। এই বিচারে ণত্ব-বিধানের দুটি ধারায় বিভাজিত করা যেতে পারে। যেমন

১. ক্রিয়ামূল নির্দেশিত 'ণত্ব বিধি' 
২. প্রত্যয় নির্দেশিত 'ণত্ব বিধি'।

১. ক্রিয়ামূল নির্দেশিত 'ণত্ব বিধি' : ক্রিয়ামূল জাত শব্দের ক্রিয়ামূলটিতে যদি 'ণ' হয়, তাহলে, ওই ক্রিয়ামূল থেকে উৎপ
ন্ন ক্রিয়াপদগুলিতে 'ণ' হবে। নিচে এই জাতীয় শব্দের বর্ণানুক্রমিক তালিকা তুলে ধরা হলো

        

অণ্  : অণি, অণিমা, অণীমাণ্ডব্য, অণীয়ান, অণু, আণবিক, কল্যাণ।
অণ্ড (অম্ +গতি +ড>অণ্ড>অণ্ড্) ক্রিয়ামূলজাত শব্দ : অণ্ড
কণ্ : কঙ্কণ, কণ, কণা, কণিকা,  কিঙ্কিণী, িণ, নিক্কণ
কুণ্ : উৎকুণ, কুণি, কোণ, মৎকুণ
ক্বণ্ : কুণপ।
গণ : গণ, গণনা, গণিকা,
গুণ: গুণ, , , গুণী, গুণ্য, গৌণ,
চণ্ : চাণক্য
পণ : আপণ, আপণিক, পণ, পণকিয়া, পণব, পণাঙ্গনা, পণাপণ, পণিত, পণ্য, পাণি, বিপণি।
পণ্ড্ : পণ্ড, পণ্ডা, পণ্ডিত,
পিণাক : পিণ্যাকঃ (পিণ্-আকন)>পিণাক।
পুণ্ : নিপুণ,

ফণ্ : কফোণী, ফণ, ফণা, ফণিনী, ফণী, ফণ্ড,
ণ্ : বণিক, বাণ, বাণিজ্য, বাণী, বিপণি,

বেণ্ : বেণ্, বেণী

ভণ্ : ভণন, ভণিতা, ভাণ

মণ্ : মণ, মণি, মাণিক্য,

শণ : শণ্,  শাণ
শোণ্: শোণ. শোণিত, স্থাণু ইত্যাদি। 

ব্যতিক্রম : বীণা, লবণ, লাবণ্য,
              পুণ্য {
পূ (পবিত্রকরণ) +উন্য, কর্তৃবাচ্য}


২. প্রত্যয় নির্দেশিত 'ণত্ব বিধি' :

২. ১. যে সকল প্রত্যয়ে 'ণ' অন্য বর্ণদ্বারা প্রভাবিত হয় না, সে সকল প্রত্যয়জাত শব্দের 'ণ' অবিকৃত থাকে। যেমন
    
ই + ণ =এণ
     চিক্কণ (চিৎ +কণ)
     পুণ্য (পু +উন্য (ডণ্য)
     স্থাণু (স্থা +ণু)।

 

৩. ক্রিয়ামূল ও প্রত্যয় ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ণত্ব বিধি
৩.১. ঋ ও ঋ-কারযুক্ত ব্যঞ্জন বর্ণের পরে শর্ত সাপেক্ষে মূর্ধন্য ণ হবে যেমন

ঋ বা ঋ-কারযুক্ত ব্যঞ্জন বর্ণের পরেই মূর্ধন্য ণ হবে যেমন

ঋ-এর পরে          ঋণ

ঋ-কারের পরে      ঘৃণা, মসৃণ, মৃণাল

 

ঋ বা ঋ-কারযুক্ত ব্যঞ্জন বর্ণের পরে ক-বর্গীয় (ক, খ, গ, ঘ, ঙ), প-বর্গীয় (প, ফ, ব, ভ, ম), য, য়, হ, ং (মোট ১৪টি ধ্বনি) থাকে, তবে তার পরে ণ হবে যেমন-

ঋকারে পরে প      কৃপণ

ঋকারে পরে হ       গৃহিণী


৩.২.
র বা র-জাত ধ্বনির (রেফ, র-ফলা) পরে মূর্ধন্য ণ হবে এক্ষেত্রে যে সকল রীতি অনুসৃত হয়, তা হলো-

মুক্ত র ধ্বনির পরে ণ হবে যেমন-অরণ্য, কিরণ, ক্ষরণ, পূরণ ইত্যাদি

    কিন্তু ক্রিয়াপদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযুক্ত হবে না যেমন- করুন (এই কাজটি করুন)

 

মুক্ত র ধ্বনির পরে ক-বর্গীয় (ক, খ, গ, ঘ, ঙ), প-বর্গীয় প-বর্গীয় (প, ফ, ব, ভ, ম), য, য়, হ, ং (মোট ১৪টি ধ্বনি) থাকে, তবে তার পরের বর্ণ মূর্ধন্য ণ হবে যেমন

র-এর পরে গ        রুগ্‌ণ

র-এর পরে প        রোপণ

র-এর পরে ম        রমণী

র-এর পরে য়        পরায়ণ

র-এর পরে হ        অপরাহ্‌ণ


র ধ্বনিটি কোন ব্যঞ্জন ধ্বনির আগে রুদ্ধ ধ্বনি হিসাবে থাকলে, তা হয় রেফ হয় এবং লেখার ক্ষেত্রে পরবর্তী ব্যঞ্জনবর্ণের মাথার উপরে তীর্যক রেখা হিসাবে বসে অর্থাৎ র্ +গ= র্গ এই বিচারে র-ফলাযুক্ত ন, ণ হয় যেমন কর্ণ, পূর্ণ, বর্ণ, স্বর্ণ ইত্যাদি

 

র ধ্বনিটি কোন ব্যঞ্জন ধ্বনির আগে রুদ্ধ ধ্বনি হিসাবে থাকলে এবং এর পরে ক-বর্গীয় (ক, খ, গ, ঘ, ঙ), প-বর্গীয় (প, ফ, ব, ভ, ম), য, য়, হ, ং (মোট ১৪টি ধ্বনি) থাকে, তবে তার পরে ণ হবে যেমন

রেফ-যুক্ত প         অর্পণ

রেফ-যুক্ত ব          নির্বাণ

রেফ-যুক্ত বহ        পূর্বাহ্‌ণ

রেফ-যুক্ত ম          অকর্মণ্য

রেফ-যুক্ত য          পর্যাণ

রেফ-যুক্ত ষ          বর্ষণ

 

র যখন ব্যঞ্জনবর্ণের পরে যুক্ত হয় তখন হয় র-ফলা যেমন- অগ্র = অ-গ্ +র এই কারণে র-ফলা-যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির পরে ণ হয় যেমন ঘ্রাণ, ত্রাণ, প্রাণ, ব্রণ ইত্যাদি

 

র-ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের পরে যদি ক-বর্গীয় (ক, খ, গ, ঘ, ঙ), প-বর্গীয় (প, ফ, ব, ভ, ম), য, য়, হ, ং (মোট ১৪টি ধ্বনি) থাকে, তবে তার পরে ণ হবে যেমন-

র-ফলার পরে ঙ্গ     প্রাঙ্গণ

র-ফলার পরে ব     দ্রবণ

র-ফলার পরে ম     আক্রমণ, ভ্রমণ

র-ফলার পরে হ     গ্রহণ

র-ফলার পরে হম   প্রবহমাণ, ব্রাহ্মণ

র-ফলার পরে হয়   অগ্রহায়ণ
 

৩.৩. ষ -এর পরে মূর্ধন্য ণ হবে এক্ষেত্রে শব্দের ভিতরে 'ষ' ২টি দশায় থাকতে পারে এর একটি হলো- মুক্ত ষ, অপরটি যুক্ত ষ হিসাবে। এর সকল দশাতেই এই নিয়ম কার্যকরী হবে যেমন-

মুক্ত ষ-এর পরে :  কৃষাণ, পাষাণ

খ।  যুক্তবর্ণ হিসাবে ক্ষ  (ক্ +ষ)-এর পর :  ক্ষণ

মুক্ত ষ বা যুক্তবর্ণে ষ-এর পরে (ক্ষ) এর পরে যদি ক-বর্গীয় (ক, খ, গ, ঘ, ঙ), প-বর্গীয় (প, ফ, ব, ভ, ম), য, য়, হ, ং (মোট ১৪টি ধ্বনি) থাকে, তবে তার পরে ণ হবে যেমন-

মুক্ত ষ-এর পরে য়              বিষয়িণী

যুক্তবর্ণে ষ-এর পরে (ক্ষ =ক +ষ)

          ক্ষ-এর পরে প       ক্ষেপণ

ক্ষ-এর পরে ভ       ক্ষোভণ

ক্ষ-এর পরে র       ক্ষরণ

ক্ষ-রে পরে হ         অক্ষৌহিণী

ক্ষ-এর পরে ম       বক্ষ্যমাণ

 

৩.৪. ট-বর্গের যে কোন ধ্বনির পূর্বে যদি ন-ধ্বনি যুক্ত হয়ে যুক্তধ্বনি সৃষ্টি কর, তবে উক্ত ন-ধ্বনিট ণ হবে যেমন

ন + ট =ণ্ট           কণ্টক

ন + ঠ =ণ্ঠ           কণ্ঠ

ন + ড =ণ্ড           ভণ্ড

ন + ঢ =ণ্ঢ           ঢুণ্ঢন

ন + ণ=ণ্ণ            বিষণ্ণ (এটি ণ +ণ এর মতো মনে হলেও মূলত +)

 

৩.৫. নির, পরি ও প্র উপসর্গযুক্ত বিধি

 

৩.৫. নির্ উপসর্গ

সাধারণভাবে নির উপসর্গের পরে যুক্ত শব্দের আদ্য ন-ধ্বনি ণ হয় যেমন- নির্ণয়, নির্ণীত  ইত্যাদি

ব্যতিক্রম : নিরন্ন, নির্নিমেষ

কোন শব্দের মধ্য ও অন্তে ণ বা ন থাকলে এবং পরে উক্ত শব্দের সাথে নির উপসর্গ যুক্ত হলে-শব্দের ণ বা ন ধ্বনি     

     অপরিবর্তিত থাকে যেমন-

ণ : নিরাকরণ, নিরাভরণ, নিরীক্ষণ, নির্লক্ষণ, ইত্যাদি

              ন : নির্জন, দুর্জন ইত্যাদি।

 

নির উপসর্গযুক্ত শব্দে ন ধ্বনি থাকলে এবং এর পূর্ববর্তী ধ্বনিটি ক, প, ব, ম ও হ হলে- ণ হয় যেমন

নির-প    নির্বপণ, নির্বাপণ

নির-ব     নির্বাণ, নির্বণ্ণ

নির-ম     নির্মাণ

নির-হ     নির্বহণ

ব্যতিক্রম : নির্যাণ।

 

৩.৫. পরি উপসর্গ :

সাধারণভাবে পরি উপসর্গের পরে যুক্ত শব্দের আদ্য ন-ধ্বনি ণ হয় যেমন-পরিণত, পরিণয়, পরিণাম, পরিণায়ক ইত্যাদি ব্যতিক্রম : পরিনির্বাণ

কোন শব্দের মধ্য ও অন্তে ণ বা ন থাকলে এবং পরে উক্ত শব্দের সাথে পরি উপসর্গ যুক্ত হলে-শব্দের ণ বা ন ধ্বনি অপরিবর্তিত থাকে যেমন

ণ : পরিকীর্ণ, পরিক্ষীণ, পরিধারণা, পরিপণ, পরিরক্ষণ
          ন : পরিবহন

 

৩.৫. প্র উপসর্গ :

সাধারণভাবে প্র উপসর্গের উপসর্গের পরে যুক্ত শব্দের আদ্য ন-ধ্বনি ণ হয় যেমন- প্রণত, প্রণব, প্রণয়, প্রণাম, প্রণীত, প্রাণ, প্রাণিত ইত্যাদি ব্যতিক্রম : প্রনষ্ট

 

কোন শব্দের মধ্য ও অন্তে ণ থাকলে এবং পরে উক্ত শব্দের সাথে প্র উপসর্গ যুক্ত হলে-শব্দের ণ-ধ্বনি সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে যেমন- প্রগুণ, প্রগণ্ডী, প্রচণ্ড, প্রচারণ, প্রতারণ, প্রতিক্ষণ, প্রতিদারণ, প্রসরণ, প্রহরণ

 

প্র উপসর্গযুক্ত শব্দে ন ধ্বনি থাকলে এবং এর পূর্ববর্তী ধ্বনিটি ক, প, ব, ম, হ হলে- ণ হয় যেমন

প্র-ক      প্রক্কণ

প্র-প      প্রকোপণ, প্রক্ষেপণ

প্র-ব       প্রবণ, প্রবীণ, প্রস্রবণ

প্র-ম       প্রমাণ

প্র-হ       প্রবহণ

  ব্যাতিক্রম : প্রতাপন, প্রপন্ন, প্রপান, প্রলপন, প্রেক্ষাবান্

 

এই নিয়মের ব্যতিক্রমে হয় না যেমন- প্রক্ষালন, প্রক্ষড়ন, প্রজাপীড়ন

 

.৬.  উত্তর, চন্দ্র, নার, পর, পার, রবীন্দ্র, প্র উপসর্গের পরে আয়ন শব্দ থাকলে, উক্ত আয়নের ন-ধ্বনিটি ণ হয় যেমন

                        উত্তর +আয়ন=উত্তরায়ণ

                        চন্দ্র +আয়ন =চন্দ্রায়ণ

                        নার +আয়ন =নারায়ণ

                        পর +আয়ন =পরায়ণ

                        পার +আয়ন =পারায়ণ

                        রবীন্দ্র +আয়ন =রবীন্দ্রায়ণ

 

ণিন প্রত্যয়যুক্ত শব্দের শেষে গঠিত শব্দের শেষে র, ষ থাকলে, স্ত্রীলিঙ্গে ণ হয় যেমন

কৃ +ণিন =কারিন্ +ঈপ =কারিণী

ভাষ +ণিন =ভাষিন্ +ঈপ্ =ভাষিণী

 

৩.৭. ণত্ব-বিধি অনুসারে  ণ ব্যবহারের জন্য যে সকল বিধান উপরের বর্ণনা করা হয়েছে, তা সমাসবদ্ধ পদের ক্ষেত্রে কার্যকরী হয় না। যেমন

অগ্রনায়ক =অগ্র যে নায়ক/সাধারণ কর্মধারয় সমাস

দুর্নাম =দুর (নিন্দিত) যে নাম/সাধারণ কর্মধারয় সমাস

দুর্নীত= দুর (নিন্দিত) নীতি যাহার/বহুব্রীহি সমাস।

পরনিন্দা =পরের নিন্দা/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।

 

বিশেষ দ্রষ্টব্য : উপরের বিধিগুলো ছাড়া সকল ক্ষেত্রে 'ন' ব্যবহৃত হয়।