অন্তর গান্ধার
প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীতের একটি স্বরের নাম বিশেষ।

প্রাচীন ভারতে স্বরের অবস্থান নির্ণয় করা হতো- শ্রুতির বিচারে।
খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে শার্ঙ্গদেবের রচিত সঙ্গীতরত্নাকর গ্রন্থে- একাদশ শ্রুতি অর্থাৎ 'প্রসারিণী' শ্রুতিতে অবস্থিত স্বরকে অন্তর গান্ধার বলা হয়েছে। ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে পণ্ডিত অহোবল তাঁর রচিত 'সঙ্গীত পারিজাত' নামক গ্রন্থে এই স্বরকে বলেছেন- তীব্রতর গান্ধার। নারদীয় শিক্ষা গ্রন্থানুসারে এই স্বরের জাতি ছিল- 'আয়তা'। উল্লেখ্য সে সময়ে ষড়্‌জের স্থান ছিল চতুর্থ শ্রুতি অর্থাৎ ছন্দোবতীতে।

আধুনিক কালে প্রথম শ্রুতিতে ষড়্‌জ হিসেবে মান্য করা হয়ে। এই বিচারে - 'প্রসারিণী' শ্রুতি হয় শুদ্ধ মধ্যম ও কড়ি মধ্যমের মধ্যবর্তীত স্থানে। বর্তমানে এই শ্রতিতে কোনো স্বর নেই।