বর্ণ (সঙ্গীত)
ভারতীয় সঙ্গীতশাস্ত্রের একটি পারিভাষিক শব্দ।

১. যে কোন সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি স্কেল বা স্বরাষ্টকের ব্যবহারিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন স্বর হিসেবে অভিহিত হয়। যেমন স র গ ম প ধ ন ইত্যাদি। প্রতিটি স্বরের রয়েছে ধ্বনিরঞ্জক গুণ। যার দ্বারা স্বরের এই রঞ্জকগুণ বিস্তার লাভ করে, তাকে বলা হয় বর্ণ। এই কারণেই স্বর ও বর্ণের মধ্যে একটি গুণগত পার্থক্য তৈরি হয়। যেমন: স র গ ম প ধ ন -এর প্রত্যেকটি স্বর, কিন্তু এর আরোহী রূপ প্রকাশ করার সময় আশ যুক্ত হয়ে হয়ে যায় আরোহী বর্ণ। কারণ স্বরগুলো তার বদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হয়ে বর্ণে পরিণত হয়। আবার একাধিক স্বরের দ্বারা তৈরি হয় সুর। এক্ষেত্রে সুর আর বর্ণ সমার্থক হয়ে যায়।

সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ চারটি হলো- বর্ণের দ্বারা সৃষ্ট অলঙ্কারকে বলা হয় বর্ণালঙ্কার

২. তাল বাদ্যযন্ত্রে ব্যবহৃত নানা ধরনের প্রতীকী শব্দ দ্বারা, বাদ্যযন্ত্রে উৎপন্ন ধ্বনিকে প্রকাশ করা হয়। যেমন − তবলার বর্ণগুলো হলো তা, না, তিন্, কৎ ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র: