নাট্যশাস্ত্র
ভরত-কর্তৃক রচিত অভিনয় ও সঙ্গীতবিষয়ক গ্রন্থ। ২০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দের অব্দের দিকে এই গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল। এই গ্রন্থটি মোট ৩৬ অধ্যায়ে বিভাজিত। এই অধ্যায়ের বিষয়বস্তু হলো-

নাট্যশাস্ত্রের সঙ্গীত
এই গ্রন্থের অষ্টাবিংশ থেকে  ত্রয়স্ত্রিংশ অধ্যায় পর্যন্ত সঙ্গীত-বিষয়ক বিবরণ পাওয়া যায়। অষ্টাবিংশ অধ্যায়ে চার প্রকার বাদ্যযন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো-

এ সকল যন্ত্র ব্যবহৃত হতো গান্ধর্ব গানে।  নারদের মতে গান্ধর্ব গান গঠিত হয় ততবাদ্যযন্ত্রের দ্বারা। তবে অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের সহায়তা প্রয়োজন ছিল। স্বরের উৎপত্তি-স্থান সম্পর্কে বলা হয়েছে- বীণা ও কণ্ঠস্বর। তাল ব্যবহৃত হতো অবনদ্ধ বা তালযন্ত্রের মাধ্যমে। স্বর, তাল ও পদের সমন্বয়ে যত গান সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো- স্বরগান্ধর্ব, তালগান্ধর্ব ও পদগান্ধর্ব। স্বরগান্ধর্বে বীণাসঙ্গীত এবং কণ্ঠসঙ্গীতের স্বরের ব্যবহারিক রূপ নিয়ে আলোচিত হয়েছে।

স্বরগান্ধার্ব গানে ্বর ছিল চার প্রকার। এগুলো হলো-  বাদী, সম্বাদী, বিবাদী, অনুবাদী।

ভরতের আমলে প্রধান গান ছিল জাতিরাগ। এর সংখ্যা ছিল ১৮টি। এই জাতিরাগগুলো শ্রেণিবদ্ধ ছিল ষড়্‌জ ও মধ্যম গ্রামে। এই গান শাস্ত্রীয় বিধিতে বাঁধা।

ভরতের নাট্যশাস্ত্রের ত্রয়স্ত্রিংশ অধ্যায় (অবনব্ধবাদ্য)-এ ঢাকের উৎপত্তি অংশে স্বাতী নামক একজন বাদ্যকারের নাম পাওয়া যায়। এই অধ্যায়ে বাদ্যযন্ত্রের যে সকল নাম পাওয়া যায়, তা হলো-


তথ্যসূত্র: