সামন্ত সারং
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে কাফি ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। এর রাগাঙ্গ সারং । অহোবলের সঙ্গীত পারিজাত গ্রন্থে ' সামন্ত' নামের একটি রাগের কথা জানা যায়। অনেকে মনে করেন যে, এই রাগটিই একালের সামন্ত সারং।

আধুনিক সামন্ত গান্ধারে- গান্ধার বর্জিত। আরোহণে সামান্য ধৈবতের স্পর্শ লাগে। এই রাগে দেশ এবং বৃন্দাবনী সারং- এর মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়। এই রাগের ম র, ণ প মীড়পাত হয়। এ ছাড়া  ণ ধপ এবং ধ ণ প-এর ব্যবহারে এই রাগটি স্বতন্ত্র রূপ লাভ করে।

আরোহণ: স র ম প, ন র্স।
অবরোহণ : র্স ণ ধ প,ম র স
ঠাট কাফি
জাতি : ষাড়ব-ষাড়ব (গান্ধার বর্জিত)।
বাদীস্বর : ঋষভ
সমবাদী স্বর: পঞ্চম
অঙ্গ : পূর্বাঙ্গ প্রধান।
সময় : দিবা তৃতীয় প্রহর।
পকড় : প, মপ, ণপ, মর স, র মপ ণধপ।

এই রাগে নিবদ্ধ নজরুল সঙ্গীত- মেঘ বিহীন খর বৈশাখে [তথ্য] । ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল, (শনিবার ২৪ চৈত্র ১৩৪৬), সন্ধ্যা ৭.১৫ টায়- কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে নজরুলের রচিত সারঙ্গ রঙ্গ (সঙ্গীতালেখ্য) প্রচারিত হয়েছিল। এই সঙ্গীতালেখ্যের পাণ্ডুলিপিতে এই রাগকে নজরুল সাওন্ত সারং নামে অভিহিত করেছেন। এখানে নজরুল এই রাগ সম্পর্কে লিখেছিলেন-
''সাওন্ত সারং গাইছেন শ্রীমতী শৈল দেবী ৷ এই 'সারং' সকল সারঙের চেয়ে শ্রুতিমধুর । এর আরোহী - সা রা. মা. পা, না, (তীব্র), র্সা। অবরোহী - র্সা, কোমল নিখাদ, শুদ্ধা ধৈবত, পঞ্চম, শুদ্ধ মধ্যম, শুদ্ধ রেখাব, সা। বড় হংস সারঙে আরোহীতে ধৈবত লাগে- অবরোহীতে সা, কোমল নিখাদ, পা, ধা, পা. এইরূপে স্বর ব্যবহৃত হয়। কিন্তু, 'সাওন্ত সার'-এ অবরোহীতে ধৈবত লাগে না। অবরোহীতে র্সা, কোমল নিখাদ, শুদ্ধ ধৈবত,পঞ্চম লাগে। এর বাদী পঞ্চম, সম্বাদী রেখাব। এই সারং-এ একটু জয়জযন্তীর আভাস পাওয়া যায়।'