কাশিদা
বানান বিশ্লেষণ: ক্+আ+শ্+ই+দ্+আ
উচ্চারণ:
ka.ʄi.d̪a (কা.শি.দা)।
শব্দ-উৎস: আরবি ক্কাসদ
' (قصد) >(আকাঙ্ক্ষা; প্রত্যাশা)>ফার্সি کَشِیدَه > বাংলা কাশিদা
পদ: বিশেষ্য

অর্থ: ফার্সি ভাষায় প্রশংসাসূচক কবিতা বিশেষ। এই প্রশংসার বিষয় হিসেবে থাকে, আল্লাহ, নবী,  সুলতান বা অন্য কোন প্রিয়জন।

ফারসি ভাষায় যে কোন প্রশংসাসূচক কবিতাই কাশিদা নয়। মূলত কিছু গাঠনিক বৈশিষ্ট্যযুক্ দীর্ঘ প্রশংসাসূচক কবিতাকে বলা হয় কাশিদা। গাঠানিক বিষয়ে নবম শতকে তার লিখিত ইরানি সাহিত্যিক ইবনে কুতাইবাহের লিখিত ‘কিতাব আল-শির ওয়া-আল-শুয়ারা’ (‘Book of Poetry and Poets’)
গ্রন্থে এ বিষয়ে লিখেছেন- কাশিদা তিনটি অংশে বিভক্ত। এগুলো হলো- মোগল শাসনামলে বঙ্গদেশে কাসিদার প্রচলন ঘটে। এই বিষয়ে প্রাচীনতম যে তথ্যটি পাওয়া যায়, তা হলো- ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতির সাথে এসেছিলেন মোঘল সেনাপতি মির্জা নাথান। তিনি রচনা করেছিলেন'বাহারিস্তান-ই-গায়বি' কাশিদা। এক সময় রাজধানী ঢাকার পুরোনো অংশে- রমজান মাসে সাহরীর জন্য পাড়ায় পাড়ায় দলবেঁধে কাশিদা গেয়ে ডাকা হতো। বর্তমানে কাশিদার মতো করে শুধু ঘুম থেকে উঠার জন্য ডাকা হয়।