হলুদিয়া পাখি
Oriolidae গোত্রের এক প্রকার গায়ক পাখি। এই গোত্রের গণের নাম  Oriolus (হলুদিয়া পাখি)


বেনোবৌ
Oriolidae গোত্রের এক প্রকার গায়ক পাখি।কার গায়ক পাখি। এই গোত্রের গণের নাম  Oriolus (হলুদিয়া পাখি)দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভারত উপমহাদেশে এদের আদি নিবাস। আকার ময়নার মতো। এরা ম্যানগ্রোভ ও খোলা জঙ্গলে বাস করে। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আবাদী এলাকার ছোটো জঙ্গলে দেখা যায়। বাংলাদেশে সোনাবৌ এবং বেনেবৌ নামক পাখি দুটিকে সাধারণভাবে হলুদিয়া পাখি বলা হয়। কিন্তু এই দুটি পাখি মূলত Oriolus গণের দুটি আলাদা প্রজাতি। আরও এক ধরনের পাখিকে এই নামে ডাকা হয়। এই পাখির নাম কালো-ঘাড়বিশিষ্ট হলুদিয়া পাখি (Oriolus chinensis)।
সোনাবৌ
Oriolidae
গোত্রের এক প্রকার গায়ক পাখি। গ্রীষ্মকালে এরা ইউরোপে থাকে। শীতকালে এরা এশিয়া পশ্চিমাঞ্চলে এবং আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে চলে আসে। বাংলাদেশে এই পাখিকে হলুদিয়া পাখি বা সোনাবৌ বলা হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলায় কিছু সোনাবৌ গ্রীষ্মকালেও দেখা যায়। এই কারণে একে বাংলাদেশে এদেরকে স্থায়ী অধিবাসী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
এদের আকার ময়নার মতো।
কালো-ঘাড় হলুদিয়া পাখি
Oriolidae গোত্রের এক প্রকার গায়ক পাখি। এই পাখি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। মালোয়েশিয়ায় এই পাখি দেখা যায়। শীতকালে ভারতের উত্তরাঞ্চলে দেখা যায়। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এই পাখি স্থায়ীভাবে বসবাস করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশের বনাঞ্চলে এই পাখি দেখা যায়। এদের কিছু উপ-প্রজাতি পাওয়া যায় চীন, কোরিয়া. ভিয়েৎনাম অঞ্চলে।
কৃষ্ণ-পক্ষ হলুদিয়া পাখি
এই হলুদিয়া পাখি পাওয়া যায় আফ্রিকার এ্যাঙ্গোলা, বেনিন, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, আইভরিকোষ্ট, গিনি গ্যাবন, ঘানা গিনি-বিসাউ লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, সিয়েরে লিওন, সুদান, টোগো এবং উগান্ডাতে।  এরা এই সকল দেশের নিম্ন অরণ্যানীতে এবং ম্যাগ্রোভ বনাঞ্চলে বাস করে।
সরু-ঠোঁটযুক্ত হলুদিয়া পাখি
এই পাখি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। ভুটান, ভারতের উত্তরাঞ্চল, চীন, লাওস, মায়ানমার, নেপাল, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েৎনামের নিচু বনভূমিতে এই পাখি প্রচুর দেখা যায়। শীতকালে ভারতের উত্তরাঞ্চলে দেখা যায়। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এই পাখি স্থায়ীভাবে বসবাস করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশের বনাঞ্চলে এই পাখি দেখা যায়। এদের কিছু উপ-প্রজাতি পাওয়া যায় চীন, কোরিয়া. ভিয়েৎনাম এবং সাইবেরিয়া অঞ্চলে। এই পাখিটি কালো-ঘাড়বিশিষ্ট হলুদিয়া পাখি। (Oriolus chinensis) এবং সোনাবৌ এর মতোই। তবে  এর চোখের দুই পাশের কালো রেখা পাতার মতো আঁকা। এর ঠোঁট সোনাবৌ বা এই জাতীয় পখির চেয়ে সরু।
কৃষ্ণমুণ্ডু হলুদিয়া পাখি
এই হলুদিয়া পাখি পাওয়া যায় সাব-সাহারা থেকে সুদান এবং ইথিওপিয়া থেকে উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত। এরা এই সকল দেশের নিম্ন অরণ্যানীতে এবং ম্যাগ্রোভ বনাঞ্চলে বাস করে। এর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃহৎ পত্র-বিশিষ্ট বৃক্ষ-সমৃদ্ধ অরণ্যে বাস করে। এছাড়া ঘন গুল্মাচ্ছন্ন বনভূমিতেও এদের দেখা যায়। এদের পাখার অগ্রভাগ ছাড়া প্রায় পুরো শরীরই উজ্জ্বল হলুদ পালকে আবৃত। মাথার রঙ কালো, ঠোটের রঙ গাঢ় ধূসর। এই হলুদিয়া পাখির সাথে কৃষ্ণ-পক্ষ হলুদিয়া পাখি (Oriolus nigripennis) পার্থক্য করা মুশকিল। এই হলুদিয়া পাখির প্রধান বিচরণ ক্ষেত্র পার্বত্য বনভূমি।

ইথি‌ওপীয় হলুদ পাখি
বাংলাদেশে এই পাখি দেখা যায় না। তাই বাংলাতে এই পাখির কোনো পৃথক নাম নাই। Oriolidae গোত্রের Oriolus (হলুদিয়া পাখি) গণের এই পাখি আফ্রিকা'র ইথিপীয়ার অঞ্চলের শুষ্ক বনভূমিতে পাওয়া যায়। ১৭৮৯ খ্রিষ্টাব্দে হলুদিয়া পাখির এই প্রজাতির নামকরণ করেন Gmelin এই পাখির বুক ও পিঠের দিকের রঙ হলুদ। এদের মাথার রঙ কালো। এর পাখা প্রান্ত জুড়ে  কালচে পালক ছিল। লেজের রঙ হলদেটে।


আফ্রিকার সোনালী হলুদিয়া পাখি

এই পাখি আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে দেখা যায়। এরা বড় ধরনের জঙ্গলে বা ঘন ঝোপঝাড়ে বসবাস করে। এদের পাখা ও লেজ ছাড়া সারা দেহ হলুদ নরম পালকে আবৃত থাকে। এর পাখার প্রান্তদেশ জুড়ে কালো বর্ণের চওড়া রেখা এবং এর মাছে আছে পাখায় হলুদ ছোপ। লেজের প্রান্তদেশ জুড়ে রয়েছে হলুদ রেখা। চোখের বাইরের অংশ জুড়ে চওড়া কালো বর্ণে ঢাকা। এর ঠোঁট লাল।