সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রকাশিকা
সঙ্গীতবিজ্ঞান পত্রিকা।

 

৩৮ বৎসর ২ মাস সময়ের মধ্যে এই পত্রিকার মোট ৪৫৮টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। এই দীর্ঘ সময়ে পত্রিকাটির নাম নানাভাবে লেখা হয়েছে। নামের ধরনগুলো ছিলো- 'সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রবেশিকা', 'সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা', 'সঙ্গীত-বিজ্ঞান প্রবেশিকা', 'সঙ্গীত-বিজ্ঞান -প্রবেশিকা'।

 

পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৩১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে। প্রকাশক ছিলেন রাধাবল্লভ দাস। প্রকাশকের ঠিকানা ছিল- ৮সি লালবাজার স্ট্রিট (বিকানির বিল্ডিং), কললকাতা মিউজিক হল। ১৩৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ বৈশাখ রাধাবল্লভের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর প্রকাশিত 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৬ সংখ্যা'র প্রকাশক হিসেবে রাধাবল্লভের নাম মুদ্রিত হয়েছিল। এরপর থেকে প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করেছেন- রাধাবল্লভের পুত্র কৃষ্ণকিশোর দাস।

 

পত্রিকাটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ, শরৎচন্দ্র ছিলেন রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামীর প্রশিষ্য মহীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের শিষ্য। তিনি চাঁপাতলা সঙ্গীতালয় ও কলকাতা জৈন ক্লাবের শিক্ষক। এছাড়া তিনি কলকাতা মিউজিক বোর্ডের পরীক্ষক। তাঁর নামের পাশে কখনো কখনো 'রূপদক্ষ' কথাটি ব্যবহৃত হত।  পরবর্তী সময়ে শরৎচন্দ্রের সাথে আরও বেশকিছু সঙ্গীতজ্ঞ সম্পাদনা করেছিলেন। নিচে এই পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলী এবং প্রকাশকালের তালিকা উল্লেখ করা হলো।

প্রকাশকাল সম্পাদক
বৈশাখ ১৩৩১ থেকে চৈত্র ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বৈশাখ ১৩৩৫ থেকে চৈত্র ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ সঙ্গীত বিভাগ: গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সাহিত্য বিভাগ:  কালিদাস নাগ
বৈশাখ ১৩৩৬ থেকে চৈত্র ১৩৪০ বঙ্গাব্দ গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কালিদাস নাগ
বৈশাখ ১৩৪১ থেকে আষাঢ় ১৩৪২ বঙ্গাব্দ গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তী,  দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
শ্রাবণ ১৩৪২ থেকে চৈত্র ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তী
বৈশাখ ১৩৪৬ থেকে চৈত্র ১৩৫৪ বঙ্গাব্দ গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তী, বীরেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
বৈশাখ ১৩৫৫ থেকে চৈত্র ১৩৬৯ বঙ্গাব্দ গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বামী প্রজ্ঞানন্দ, বীরেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

প্রথম দিকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো- সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রকের যৌথ প্রচেষ্টায়। পত্রিকার প্রথম বর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর, একটি তত্ত্বাবধায়কমণ্ডলী তৈরি হয়। এই মণ্ডলীর ছয় জন সদস্য ছিলেন- সঙ্গীতাচার্য লছমীপ্রসাদ মিশ্র, সঙ্গীতনায়ক গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপকুমার রায়, মহারাজ যোগীন্দ্রনাথ রায়, ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নলিনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তী বিভিন্ন সময় তত্ত্বাবধায়কদের সদস্যদের পরিবর্তন ঘটেছে। তবে দিলীপকুমার এবং যোগীন্দ্রনাথ তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন। উল্লিখিত ছয় জন ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক মণ্ডলীতে  মোট ৫৭ জনের যুক্ত হয়েছিলেন। এঁরা হলেন-

'অনাদিকুমার দস্তিদার, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমিয়নাথ সান্যাল, অর্ধেন্দুকুমার গাঙ্গুলী, আলাউদ্দিন খাঁ (ওস্তাদ), ইন্দিরা দেবী, উপেন্দ্র মিত্র, কালিদাস নাগ, কৃষ্ণবিলাস চক্রবর্তী, খগেন্দ্রনাথ মিত্র, চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, জগদিন্দ্রনাথ রায় বাহাদুর, জিতেন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, জ্যাতিশ্চন্দ্র চৌধুরী, দবীর খাঁ, দামোদর দাস খান্না, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, দুর্গাপ্রসন্ন স্মৃতিভারতী,  দেবপ্রসাদ সর্বাধিকারী, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ধীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, নগেন্দ্রচন্দ্র লাহিড়ী, নরেশ্বর ভট্টাচার্য, নলিনীনাথ সেন, নিবারণচন্দ্র ঘোষ, নির্মলচন্দ্র বড়াল, প্রবোধ ভট্টাচার্য, প্রভাতচন্দ্র বড়ুয়া, প্রমদা চৌধুরানী,  প্রসন্নকুমার বণিক, বাণী দেবী,  বিজয়চন্দ্র মজুমদার, বিমলাকান্ত রায় চৌধুরী, বীরেন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য, ব্রজেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী, ভূপেন্দ্রকৃষ্ণ ঘোষ, মন্মথনাথ মুখার্জি, মন্মথনাথ রায় চৌধুরী, মন্মথমোহন বসু, মিসেস কে. সি. দে, যামিনীনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যতীন্দ্রনাথ ঘোষাল, রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, শচীন দাস,  শৈলজারঞ্জন মজুমদার, শৈলেশকুমার দত্তগুপ্ত, শ্রীশচন্দ্র নন্দী বাহাদুর, সত্যকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সরলা দেবী, সুধাময় গোস্বামী,  সুরেন্দ্রলাল দাস, সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী,  সুশীলকুমার ভঞ্জ চৌধুরী, স্বামী প্রজ্ঞানন্দ, হরিশঙ্কর পাল, হরেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী,


সূত্র: