মধ্য প্রস্তরযুগ
(Middle Palelithic stage)
ব্যাপ্তী ৩ লক্ষ থেকে ৫০ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।

নিম্ন প্রস্তরযুগের শেষে মধ্য প্রস্তর যুগের সূচনা হলো-হোমো ইরেক্টাস,  হোমো নিয়ানডার্থালেনসিস এবং হোমো স্যাপিয়েন্সদের দ্বারা।
সম্ভবত এরা আফ্রিকা মহাদেশের তান্জানিয়ার ওল্ডুভাই জর্জ (Olduvai Gorge) অঞ্চলেই হোমো হ্যাবিলিসদের আবির্ভাব হয়েছিল। হোমো হ্যাবিলিস মতোও হোমো ইরেক্টাসরা নিম্নপ্রস্তর-যুগ বিকাশে এরা ভূমিকা রেখেছিল।

প্লেইস্টোসিন অন্তঃযুগের তৃতীয় আমল আয়োনিয়ান আমল -সময়কাল ছিল ৭.৮১- ১.২৬ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই সময়ের ভিতরে আবির্ভূত হয়েছিল হোমো হাইডেলবার্গেনসিস-এর আবির্ভাব
নামক নতুন প্রজাতি। ধারণা করা হয় লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এরা আফ্রিকাতেই ছিল। খাদ্য সংকট এবং প্রাকৃতি পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে লক্ষ বছর পূর্বে আফ্রিকা ইউরেশিয়ার দিকে চলে আসে। এরা জর্মান, ইতালি, স্পেন, গ্রিস প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। এদের একটি শাখা ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিল বলে ধারণা করা যায়। এরা বর্তমান পাকিস্তানের সোয়ান উপাত্যাকায় বসতি স্থাপন করেছিল। বিশেষ করে পাকিস্তান, ভারত ও নেপালের সীমান্ত বরাবর সম্প্রসারিত শিবালিক পাহাড়ী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে এদের একটি শাখা উত্তর ভারতের নর্মদা নদীর তীরে এদের একটি অংশ বসতি স্থাপন করেছিল। এদের অস্ত্রের প্রকৃতি ছিল আশুলিয়ান যন্ত্রপাতি'র অনুরূপ।

হোমো গণের পরবর্তী প্রজাতি হোমো নিয়ানডার্থালেনসিস -এর আবির্ভাব হয়েছিল প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে আফ্রিকায় এদের আবি্ভাব হয়েছিল। এই সময় এদের প্রধান বিচরণক্ষেত্র ছিল মরক্কো'র টান-টান নগরীর আশপাশ জুড়ে। খ্রিষ্টাপূর্ব ৪,৫০,০০০ অব্দের ভিতরে হোমো ইরেক্টাস-দের পাশাপাশি এরা মিশ্র সভ্যতার পত্তন ঘটিয়েছিল।  সম্ভবত প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে  জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং সেই সাথে খাদ্যাভাবের কারণে এরা এশিয়া এবং ইউরোপে প্রবেশ করেছিল। প্রায় ১ লক্ষ ৩০ বৎসর আগে এর পুরোপুরি নিয়ানডার্থালের প্রজাতিগত গুণাবলী অর্জন করেছিল  ধারণা করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৬৫,০০০ অব্দ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫,০০০ অব্দের ভিতরে এরা মেসোপটেমিয়ায় অনেকটা স্থায়ী আবাস গড়ে তুলেছিল।

এই সময়ে বিকাশ ঘটেছিল-  লেভাল্লোইস অস্ত্র-নির্মাণ কৌশল। যার নমুনা পাওয়া গেছে - আফ্রিকা এবং ইউরেশিয়ার বিভিন্ন প্রত্নক্ষেত্রের। সাধারণভাবে এই অস্ত্রনির্মাণ কৌশলভিত্তিক সংস্কৃতিকে বলা  হয়- মুষ্টারিয়ান সংস্কৃত। উল্লেখ্য  নিয়ানডার্থালদের দ্বারা লেভাল্লোইস অস্ত্র-নির্মাণ কৌশলের উন্নয়ন ঘটেছিল প্রায়  ৩ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার অব্দের ভিতরো। এই অস্ত্র নির্মাণে সমতলীয় ত্রিভুজ আকৃতির পাথরখণ্ড ব্যবহার করা হতো এবং এর শীর্ষবিন্দু হতো তীক্ষ্ণ। এছাড়া শীর্ষবিন্দু থেকে প্রসারিত দুই বাহুর প্রান্ত তীক্ষ্ণ করা হতো। এই বিশেষ ধরনের অস্ত্র পাওয়া গেছে- উত্তর আফ্রিকার লাইবেরিয়ার হায়ুয়া এফটিয়াহ- গুহায়, সিরিয়ার বিভিন্ন গুহায়,আফগানিস্তানে হাইবাক উপত্যাকায়, মধ্য ইরান এবং ইরানের জাগ্রোস পার্বত্য এলাকায়, স্পেনের গাটাপুরেকায় প্রত্নক্ষেত্রেসমূহে, জিব্রাল্টারের গোরহাম গুহায়, উজবেকিস্তানে, তুর্কমেনিস্তানে, সাইবেরিয়ায়, ইস্রায়েলে, ইংল্যান্ডে। 

হোমো স্যাপিয়েন্সের আবির্ভাব
ধারণা করা হয় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বৎসর আগে প্রাইমেট বর্গের অন্তর্গত হোমিনিডি গোত্রের হোমো গণের অন্তর্গত Homo sapiens এর আবির্ভাব ঘটেছিল আফ্রিকার মরোক্কোর জেবেল ইর্হৌদ (Jebel Irhoud) -তে। উল্লেখ্য আগে মনে করা হতো, দুই লক্ষ বৎসর আগে আদি মানুষের উদ্ভব ঘটেছিল ইথিওপিয়া অঞ্চলে।
        [বিস্তারিত:
হোমো]

জেবেল ইর্হৌদ
অঞ্চলে মানুষের তৈরি যে পাথুরে ব্যবহার্য উপকরণ পাওয়া গেছে, তা নির্মিত হয়েছিল প্রায় ৩ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে। এই বিচারে বলা যায় প্রাক্-মানবগোষ্ঠীর প্রজাতিদের মধ্য পাথুরের যুগে এসে মানুষ ভাগ বসিয়েছিলে। জীবাশ্ম প্রাপ্তির সূত্রে জানা যায় ২.৭৬ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাদের ভিতরে পূর্ব আফ্রিকার গাদেমোত্তা অঞ্চলে মানুষ বসতি স্থাপন করেছিল। অন্যদিকে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ইস্রায়েল থেকে মানুষের যে প্রাচীন জীবাশ্ম (চোয়ালের হাড়) পাওয়া গেছে, তার বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১.৭৭ লক্ষ খ্রিষ্টাব্দ। এই বিচারে ধারণা করা হয় ২.৭৬ থেকে ১.৭৭ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে মানুষ আফ্রিকা থেকে ইউরেশিয়া পাড়ি জমিয়েছিল।

প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ১৫, হাজার থেকে এদের বেশ কিছু দল আফ্রিকার মিশর এবং এশিয়ার ওমান এবং  ভারতের থর মরভূমিতে বসতি স্থাপন করেছিল। এর ফলে আফ্রিকা মৌরিতানিয়া থেকে মিশর এবং নিকটবর্তী ওমান পর্যন্ত হোমো স্যাপিয়েন্সদের একটি বড় চারণক্ষেত্রের বিকাশিত হয়েছিল। এদের ভিতরে মধ্যযুগীয় প্রস্তরভিত্তিক হাতিয়ারের একটি সাধারণ রূপ লাভ করেছিল। এই সাধারণ রূপের নামকরণ করা হয়েছে আটেরিয়ান মধ্য-প্রস্তর যুগ। তিউনেশিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব আলজেরিয়ার তেবেসা প্রদেশের রাজধানী শহরের তেবেসা নগরী ৮৭ কিলোমিটার দক্ষিণে আটার এলাকান নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে।

এই যুগের অস্ত্রগুলো ছিল পাতার মতো। এর উভয় দিক ছেঁটে এবং প্রান্তদেশ ধারালো করে তৈরি করা হতো। এই পদ্ধতিতে হোমো স্যাপিয়েন্সরা তৈরি করেছিল- নানা ধরনের পাথুরে ছুরি ও অন্যান্য সরঞ্জাম।  ধারণা করা হয় ২০,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে আটেরিয়ান মধ্য-প্রস্তর যুগ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

হোমো স্যাপিয়েন্সের একটি উপ-প্রজাতি ১ লক্ষ ৬০ হাজার বৎসর আগে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিকশিত হয়েছিল। এই প্রজাতিটি হলো
হোমো স্যাপিয়েন্স ইডাল্টু। আধুনিক মানুষের মূল প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়-  Homo sapiens sapiens উপ-প্রজাতিকে। তবে এই উপপ্রজাতি দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই মান সভ্যতার ইতিহাসে এদের প্রভাবের উল্লেখ পাওয়া যায় না।

এরই মধ্যে লম্বাটে ধরনের কিছু অস্ত্র তৈরি করেছিল ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক-ক্ষেত্রে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের যন্ত্রপাতিগুলোকে বলা হয়- মিকোকুইন কালের অস্ত্র। আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে ৭০ হাজার অব্দের ভিতরে এই অস্ত্রের ব্যহার ছিল। এই অস্ত্রগুলো প্রথম পাওয়া  গিয়েছিল ফ্রান্সের লা মিকোকু অঞ্চলে খননের মাধ্যমে।

মিকোকুইন কালের অস্ত্র

পরবর্তী সময়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে ১০ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে হোমো স্যাপিয়েন্সরা এই বিশেষ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। হোমো স্যাপিয়েন্সদের ব্যবহৃত সময়কে স্যাঙ্গোন অস্ত্র নির্মাণশৈলী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। উগাণ্ডার স্যাঙ্গো বে- অঞ্চলে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে এই অস্ত্র উদ্ধারের পর- এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল।

আধুনিক মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো- Homo sapiens । ল্যাটিন sapiens -এর অর্থ হলো জ্ঞানী মানুষ। হোমো গণের আগের প্রজাতিগুলোর থেকে এই প্রজাতির মূল পার্থক্য হলো- এর বুদ্ধিমত্তা। এমন কি নিয়ানডার্থালদের (হোমো নিয়ানডার্থালেনসিস) সাথে মস্তিষ্কের পরিমাপগত মিল (১৭০০ সিসি) থাকলেও বুদ্ধিমত্তার বিচারে Homo sapiens আরও অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে।

কালসূচি অনুসারে ১.২৬ থেকে ১১.৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ছিল-
টারান্টিয়ান আমল এর পূর্বর্তী আয়োনিয়ান আমলের-১ লক্ষ থেকে ৭৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে হোমো স্যাপিয়েন্া মূলত আফ্রিকা ভিতরে ছড়িয়ে পড়েছিল। ১ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এমনি একটি ভ্রাম্যমান দল বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে প্রবেশ করেছিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন শহরের নিকটবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। এই অঞ্চলে ব্লোম্বোস গুহায় পাওয়া গিয়েছে কিছু প্রাপ্ত প্রস্তরে খোদিত চিত্রকর্ম।  যদিও এই চিত্রকর্ম গুহার গায়ের দেয়ালে বা ছাদে আঁকা হয় নি, তারপরেও গুহায় প্রাপ্ত বলে একে গুহাচিত্র বলা হয়। প্রাপ্তি স্থানের বিচারে এ সকল শিল্পকর্মকে ব্লোম্বোস-গুহাচিত্র বলা হয়। আভিধানিক বিচারে এই চিত্রগুলো গুহাচিত্র হিসেবে বিবেচিত হয় না। ধারণা করা হয়, প্রায় ৭৫-৭০ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই চিত্রগুলো অঙ্কিত হয়েছিল। আফ্রিকায় প্রাপ্ত প্রাগৈতিহাসিক চিত্রকর্মসমূহের ভিতরে ব্লোম্বোস গুহাচিত্রের ভিতরে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

খ্রিষ্টপূর্ব ৭০ থেকে ৪০ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সের পারব্ত্য অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। এখানে এদের দ্বারা এখানে পত্তন হয়েছিল মস্টারিন সভ্যতার।  এই সময় এরা আগুন জ্বালাতে শিখেছিল। সম্ভবত এরা শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পশুর চামড়া গায়ে জড়িয়ে রাখতো। হিংস্র পশু এবং প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পর্বত গুহায় বসবাস করতো। নিজেদের ভিতরে তথ্য আদান প্রদানের মতো নিম্নস্তরের ভাষার বিকাশ ঘটেছিল। এদের খাদ্য তালিকায় ছিল পশুর মাংস এবং নানা ধরনের ফলমূল। এদের ভিতরে মৃতদেহ কবরস্থ করার রীতি গড়ে উঠেছিল।

এরূপ একটি দল ৬০,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থ কেপ শহরের নিকটবর্তী ডিয়েপক্লুফ গুহা এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে বসবাস শুরু করেছিল। এখানে পাওয়া গেছে অস্ট্রিকের ডিমের খোলসের উপর অঙ্কিত চিত্র। এই চিত্রগুলোকে ডিয়েপক্লুফ চিত্র অভিহিত করা হয়। এই গুহায় পাওয়া গেছে ২৭০টি চিত্রকর্ম। সম্ভবত ২৫টি অস্ট্রিকের ডিমের খোলসের ভাঙা অংশে এই ছবিগুলো অঙ্কিত হয়েছিল। ছবিগুলোতে রয়েছে নানা ধরনের সাঙ্কেতিক চিহ্ন। এই চিহ্নগুলো দিয়ে কোনো বার্তা প্রকাশ করা হয়েছিল কিনা তা জানা যায় নি।  

সম্ভবত এদের ভিতরে আদিম গান এবং নৃত্যের চর্চা ছিল। এছাড়া চিত্র অঙ্কনের অভ্যাস  গড়ে উঠেছিল। এরা গুহারে পাথুরে দেওয়ালে পেয়ালার অবয়ব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল। এগুলো এরা তৈরি করেছিল গুহাগুলোকে শৈল্পিকভাবে সাজানোর তাগিদে। এর অন্যতম নমুনা স্থান হিসেবে উল্লেখ করা যায়- ফ্রান্দের লা ফেরাসসিয়ের গুহাকে। ধারণা করা হয়, এই দেওয়াল সজ্জার নমুনা'র বয়স ধরা হয়েছে ৬০ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই দেওয়াল সজ্জার নাম দেওয়া হয়েছে
'La Ferrassie Cave Cupules' টান-টানের ভেনাস-এর মতো এখানে কোনো নারী মূর্তি পাওয়া যায় নি বটে, তবে দেওয়াল খোদিত করে নারী যোনী'র চিত্র অঙ্কন করেছিল। সম্ভবত এটিও ছিল আদি দেবীর প্রতীক।

সাধারণভাবে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০.০০০ অব্দ পর্যন্ত মধ্যপ্রস্তর যুগ বলা হয়। কিন্তু কোনো কোনো অঞ্চলে নিম্নপ্রস্তর যুগের সূচনা হয়ে গিয়েছিল এর আগেই। আবার কোনো কোনো অঞ্চলে মধ্য প্রস্তরযুগের প্রভাব খ্রিষ্টপূর্ব ৫০.০০০ অব্দের পরেও দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত ছিল।