বৈসাবি
ত্রিপুরা, মার্মা, চাকমা এবং তঞ্চংগ্যা ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎযাপনের সম্মিলিত নাম। নবর্ষ উপলক্ষে ত্রিপুরারা যে উৎসব করে থাকে বৈসুক। এর অন্যান্য নাম বৈসু, বাসুই। মারমাদের অনুষ্ঠানের নাম সাংগ্রাই আর চাকমা এবং তঞ্চংগ্যাদের অনুষ্ঠানের নাম বিজু। এই তিনটি উৎসবের নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছে বৈসাবি (বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু )।


সময়ের বিচারে, এই উৎসব পালিত হয়
বঙ্গাব্দের সাথে। তবে বঙ্গাব্দের ক্ষেত্রে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনটিই উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু বৈসু,  সাংগ্রাই, এবং বিজু পালিত হয় একাধিক দিন ধরে।

যদিও বৈসাবি ত্রিপুরা, মার্মা, চাকমা এবং তঞ্চংগ্যা-দের উৎসব। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকার সকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের মতো করে এই উৎসব পালন করে থাকে। এছাড়া স্থানীয় বাঙালিরাও এই উৎসবে যোগদান করে থাকে। ফলে ক্রমে ক্রমে পাহাড়ি এলাকায় বৈসাবি ‌একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

সার্বজনীন বৈসাবি উৎসব।
ছবি : http://www.hillnews24.com/

 



সূত্র :

তথ্য নির্দেশক : প্রিয়াঙ্কা চাকমা (নিজস্ব প্রতিবেদক)