বশিষ্ঠ (নক্ষত্র)
ইংরেজি : Mizar
জ্যোতির্বিজ্ঞানের নাম:
Mizar (Zeta Ursae Majoris, Zeta UMa, ζ Ursae Majoris, ζ UMa)  
সপ্তর্ষিণ্ডল (Ursa Major) নামক নক্ষত্রমণ্ডল-এর একটি নক্ষত্র চতুষ্টয়। দূর থেকে একে একটি তারা মনে হয়। পাশ্চাত্য নামটি গ্রহণ করা হয়েছে আরবি مئزر   মিজার থেকে। এর অর্থ হলো 'কোমরবন্ধ'। ভারতীয় নামটি গৃহীত হয়েছ পৌরাণিক ঋষি বশিষ্ট-এর নামানুসারে।

অরুন্ধতী নামক একটি জোড়া তারার সাথে এই নক্ষত্রচতুষ্টয় যুক্ত হয়ে নক্ষত্রষষ্ঠক সৃষ্টি করেছে। এই ছয়টি তারা মিলে যে পদ্ধতি গড়ে উঠেছে, তাকে বলা হয় 'বশিষ্ঠ-অরুন্ধতী নক্ষত্র পদ্ধতি'। বশিষ্ঠ নক্ষত্রষষ্ঠককে কেন্দ্র করে অরুন্ধতী নক্ষত্রদ্বয় প্রায় ৭৫০,০০০ বৎসরে একবার আবর্তিত হয়। এই নক্ষত্র পদ্ধতির অবস্থান

                বিষুবাংশ (RA) : ১ ঘণ্টা ২৩ মিনিট ৫৫.৫ সেকেন্ড
                বিষুবলম্ব
(Dec) : ৫৪ ডিগ্রি ৫৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ড।

বশিষ্ঠ নক্ষত্রচতুষ্টয় পৃথিবী থেকে প্রায় ৭৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এই নক্ষত্রচতুষ্টয় দুটি জোড়ায় বিভাজিত। এই জোড়া দুটিকে বলা হয় বশিষ্ঠ ক (Mizar A) এবং বশিষ্ঠ খ (Mizar B)। এই দুটি জোড়া তারা নিজেদের ভিতর যুগল নক্ষত্র পদ্ধতিতে আবর্তিত হয়। এই দুটি জোড়া তারার আবর্তন কাল প্রায় ৫০০০ বৎসর। উভয় নক্ষত্রদ্বয়ের ভিতরে বশিষ্ঠ ক অধিকতর উজ্জ্বল। এই যুললতারা ২০ দিন ১২ ঘণ্টা, ৫৫ মিনিট ১৩ সেকেণ্ডে পরস্পরকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এই আবর্তনের সময় উভয় নক্ষত্র যুগলের ভিতর দূরত্ব দাঁড়ায় প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ থেকে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ কিলোমিটার। অপর যুগল নক্ষত্রের ভিতরে আবর্তন ঘটে প্রায় ৬ মাসে একবার।

এই নক্ষত্রগুলো প্রায় একই রকমের প্রধান ধারার নক্ষত্র। সূর্যের মতো হাইড্রোজেন জ্বলনের দ্বারা তাপ এবং উজ্জ্বলতা প্রদান করছে। এদের তাপমাত্রা ৭৫০০ থেকে ৯০০০ কেলভিনের ভিতরে এবং উজ্জ্বলতা সূর্যের চেয়ে ১০-৩০ গুণ।


সূত্র :