এ্যাক্টিনিস্টিয়া
ইংরেজি: Actinistia
প্রাণিজগতের শ্রেণিবিভাজনের একটি থাক বিশেষ। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন
Cope
।
সারকোপ্টেরিজি
থাকের প্রজাতিগুলোর উত্তরসূরী হিসেবে এদের ভিতরে ফুসফুস ও মাংসল পাখনা একত্রে
বিকশিত শুরু হয়েছিল। এদের বিবর্তনের ধারায় স্থলচর প্রাণীর উদ্ভব হয়েছিল।
এদের থেকে পরবর্তী সময়ে লাংফিস
ও
টেট্রাপোডা
প্রাণীকুলের উদ্ভব হয়েছিল।
এরা সমুদ্রে ২০০ মিটার বা তার চেয়ে বেশী
গভীর বাস করে। এর ডিম দেওয়ার পরিবর্তে বাচ্চা প্রসব করে। এরা মাথা ঘুরাতে
পারে। ফলে এদের দেহ হাড়যুক্ত মাছ (কার্টিলাজিনাস ফিস)
থেকে পৃথক করা সম্ভব হয়।
এদের দেহে আঁশের পরিবর্তে পুরু এবং শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে।
এক সময় ধারণা করা হয়েছিল এই থাকের সকল প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এর একটি প্রজাতি
Latimeria chalumnae পাওয়া যায়। বর্তমানে এর দুটি প্রজাতি পাওয়া যায়।
এই দুটি প্রজাতি হলো- Latimeria chalumnae:
দক্ষিণ আফ্রিকা ও কোমোর দ্বীপপুঞ্জের কাছে।
Latimeria menadoensis: ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের কাছে (১৯৯৭ সালে আবিষ্কৃত)।
ক্রমবিবর্তনের ধারা
৪৪- ৪২.৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
সিলুরিয়ান অধিযুগিযুগে
ইউটেলেস্টোমি
থাক
দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে যায়। এই ভাগগুলো হলো-
ওস্টেইক্থিস ঊর্ধ্ব শ্রেণি ও কন্ড্রিক্থিস শ্রেণি।
এই সময়ের ভিতরে
ওস্টেইক্থিস ঊর্ধ্ব শ্রেণি ২টি ভাগে বিভাজিত হয়ে যায়। এই ভাগ দুটি হলো-
- এ্যাক্টিনোপ্টেরিগি
শ্রেণি: আবির্ভাব কাল ৪৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ
-
সারকোপ্টেরিজি শ্রেণি: আবির্ভাব
কাল ৪২.৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ
৪২.৩ থেকে ৪১ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
সারকোপ্টেরিজি থাক চারটি ভাগে
বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগগুলো হলো-
- গুইয়ু গণ: আবির্ভাব কাল ৪১.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- এ্যাক্টিনিস্টিয়া শ্রেণি: আবির্ভাব কাল ৪১.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- ক্রোসোপ্টেরিজি উপশ্রেণি: আবির্ভাব কাল ৪১.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
- হৃপিডিস্টিয়া থাক:
আবির্ভাব কাল ৪১.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
৪১.৬ থেকে ৪০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এ্যাক্টিনিস্টিয়া থাক
থেকে উদ্ভব হয়েছিল সিলাকান্থ
জাতীয় মাছ।
সূত্র :
র :