প্রাণিজগতের শ্রেণিবিভাজনের একটি শ্রেণি বিশেষ। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন
Romer
।
রোমার একে ভর্টিব্রেটা উপপর্বের একটি শ্রেণি হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। গ্রিক
σαρξ sarx, flesh (মাংস) এবং
πτερυξ pteryx, fin
(পাখনা)
অর্থে এই রোমার এই নামটি গ্রহণ করেছিলেন।
এদের পাখনায় ছিল হাড় ও পেশীযুক্ত। এদের দেহে ফুসফুস সৃষ্টি
হয়েছিল। এদের দেহে রক্ত চলাচলের জন্য দুটি পৃথক পথ ছিল। একটি পথে
হৃদপিণ্ড থেকে ফুসফুসে রক্ত প্রবাহিত হতো। অপর পথে ফুসফুস থেকে শরীরে রক্ত সঞ্চালিত
হতো। এছাড়া এদের কোনো কোন প্রজাতির বাতাস গ্রহণের জন্য নাকের গহ্বার ছিল।
অভ্যন্তরীণ কর্ণগহ্বর ও ত্রিকোণ ভারসাম্য অঙ্গ হিসেবে ছিল।
সারকোপ্টেরিজি-র সদস্যরাই পরবর্তী সময়ে উভচর, সরীসৃপ,
পাখি ও
স্তন্যপায়ী প্রাণীতে বিবর্তিত হয়েছিল। অর্থাৎ, এই শ্রেণির কিছু প্রজাতি জলে বসবাসকারী মাছ থেকে স্থলে বসবাসকারী চারপদী প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়।
ক্রমবিবর্তনের ধারা
সিলুরিয়ান অধিযুগের
৪৪- ৪২.৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
ইউটেলেস্টোমি
থাক
দুটি ভাগে বিভাজিত হয়ে যায়। এই ভাগগুলো হলো-
ওস্টেইক্থিস ঊর্ধ্ব শ্রেণি ও কন্ড্রিক্থিস শ্রেণি ।
এই সময়ের ভিতরে
ওস্টেইক্থিস ঊর্ধ্ব শ্রেণি ২টি ভাগে বিভাজিত হয়ে যায়। এই ভাগ দুটি হলো-
এ্যাক্টিনোপ্টেরিগি
শ্রেণি: আবির্ভাব কাল ৪৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ
সারকোপ্টেরিজি শ্রেণি: আবির্ভাব
কাল ৪২.৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ
৪২.৩ থেকে ৪১ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে সারকোপ্টেরিজি শ্রেণি থেকে উৎপন্ন হয়েছিল-
এ্যাক্টিনিস্টিয়া শ্রেণি: আবির্ভাব কাল ৪১.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
হৃপিডিস্টিয়া থাক:
আবির্ভাব কাল ৪১.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।