হোমো রোডেসিয়েনসিস

Homo rhodesiensis
 

এটি হোমো গণের একটি  প্রজাতিকরোটি পাওয়ার স্থানের বিচারে, এর একাধিক নাম রয়েছে। যেমন- পাহাড়ের নামানুসারে এই খুলিটিকে ব্রোকেন পাহাড়ের খুলি (Broken Hill Skull) বলা হয়। আবার কাবুয়ে অঞ্চলের বিচারে একে কাবুয়ে করোটি (Kabwe Cranium) বলা হয়। আবার রোডেশিয়া প্রাপ্ত খুলির বিচারে এই প্রজাতিকে সাধারণভাবে রোডেশিয়া মানব (Rhodesian Man) নামে অভিহিত করা হয়। 

১৯২১ সালের ১৭ জুন তারিখে, জাম্বিয়ার কাব্‌উয়ে (Kabwe) থেকে, Tom Zwiglaar নামক একজন শ্রমিক একটি খুলি আবিষ্কার করেন। পরে এই খুলিটি পরীক্ষার জন্য আর্থার স্মিথ উডওয়ার্ড (Arthur Smith Woodward)-এর কাছে পাঠানো হয়। উডওয়ার্ড নেচার পত্রিকার ১০৮ সংখ্যায় এই খুলিটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তিনি একে একটি পৃথক প্রজাতি বিবেচনা করে নামকরণ করেন Homo rhodesiensis (হোমো রোডেসিয়েনসিস)

পরে হাইডেলবার্গ-মানবের সাথে এর মিল থাকায়- এর নাম
Homo heidelbergensis হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
কিন্তু মাথার খুলির মাপ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- রোডেশিয়া (হোমো রোডেসিয়েনসিস ) মানবের খুলির মাপ ছিল হাইডেলবার্গেনসিস-এর চেয়ে বড়। অনেকে এই প্রজাতিকে Homo neanderthalensis এবং Cro-Magnon man (Homo sapiens)-এর পূর্ব-পুরুষ হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন। এদের মাথার খুলির মাপ ছিল ১১০০-১৪০০ সিসি এবং গড় উচ্চতা ছিল ১.৮ মিটার (৬ ফুট)। বলিষ্ঠ পূর্ণ-বয়স্ক পুরুষের ওজন ছিল ১০০ কেজি।
এই খুলিটির বয়স ধরা হয়ছে ৩
লক্ষ থেকে ১.২৫ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই করোটির আয়তন ১২৩০ ঘন সেন্টিমিটার।

আবার অনেকে মনে করেন রোডেশিয়া মানবরা হোমো স্যাপিয়েন্স এবং হোমো নিয়ানডার্থালেনসিস এর মধ্যবর্তী প্রজাতি। তবে এদের সাথে হোমো হাইডেলবার্গেনসিস-এর প্রচুর মিল ছিল। কিন্তু মাথার খুলি হোমো হাইডেলবার্গেনসিস-এর চেয়ে বড় ছিল। অনেকে মনে করেন যে এই প্রজাতি থেকে  হোমো স্যাপিয়েন্স ইডাল্টু প্রজাতির উদ্ভব হয়েছিল।