বিক্রমাদিত্য প্রথম
(রাজত্বকাল ৬৪২-৬৮১ খ্রিষ্টাব্দ)
বাতাপী চালুক্য রাজবংশের পঞ্চম রাজা।

৬৪২ খ্রিষ্টাব্দের বাতাপী চালুক্য রাজবংশের চতুর্থ রাজা পুলকেশী দ্বিতীয়
-এর মৃত্যুর পর বিক্রমাদিত্য প্রথম সিংহাসন লাভ করেন। এই সময় চালুক্য রাজধানী বাতাপী নগর পল্লব রাজবংশ-এর রাজা নরসিংহ বর্মণের অধিকারে ছিল। এই সময় চালুক্য রাজ্য হীনবল হয়ে কোনো মতে টিকে ছিল। এই অবস্থার ভিতরে বিক্রামাদিত্য ধীরে ধীরে তাঁর সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে থাকেন। এরপর তিনি ছোটো ছোটো কিছু যুদ্ধে জয়লাভ করে হৃত চালুক্য রাজ্য উদ্ধার করেন।

রাজা নরসিংহ বর্মণের পর পল্লব রাজবংশের সিংহাসন লাভ করেছিলেন, তাঁর পুত্র মহেন্দ্রবর্মণ দ্বিতীয়। তিনি ৬৬৮-৬৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করার পর মৃত্যুবরণ করেন। এই সময়ের ভিতরে তিনি পল্লব রাজ্যের বেশ কিছু ছোটো ছোটো অংশ দখল করে নেন। ৬৭০ খ্রিষ্টাব্দে মহেন্দ্রবর্মণ দ্বিতীয়-এর মৃত্যু হলে রাজত্ব লাভ করেন পরমেশ্বর বর্মণ। এই সময় বিক্রমাদিত্য পল্লবরাজ্যে প্রবল আক্রমণ পরিচালনা করেন। তিনি নিজ রাজ্যের রাজধানী বাতাপি নগর উদ্ধার করেন পল্লবদের রাজধানী কাঞ্চী অধিকার করেন। এই সময় তিনি চোলদের রাজধানী উগ্রপুর (ত্রিচিনপল্লী) দখল করেন। এছাড়া তিনি পাণ্ড্য ও চেরদের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করেন।

চালুক্যদের বিরুদ্ধে জয়লাভের জন্য তিনি গঙ্গ রাজ্যের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন। পরে উভয় রাজ্য মিলিতভাবে চালুক্য রাজ্য আক্রমণ করেন। উভয় রাজ্য
ের আক্রমণে  বিক্রমাদিত্য পরাজিত হন এব তুন্দ্রাভদ্রা পার হয়ে নিজ রাজ্যে ফিরে যান।
এই সময় পরমেশ্বর বর্মণ গঙ্গরাজ্যের শক্তিবৃদ্ধি দেখে পরমেশ্বর শঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাই তিনি প্রথমে সেনাবহিনীকে শক্তিশালী করেন এবং গঙ্গ রাজ্য আক্রমণ করেন। কিন্তু বিলন্দরের যুদ্ধে পরমেশ্বর পরাজিত হন। এই সুযোগে বিক্রমাদিত্য পুনরায় পল্লবরাজ্য আক্রমণ করেন। পেরুবলানাল্লুর যুদ্ধে বিক্রমাদিত্যকে তিনি পরাজিত করতে সক্ষম হন। এই সময় চালুক্যদের রাজধানী বাতাপির বেশিরভাগ অংশ দখল করে নিয়েছিলেন। কোনো কোনো ঐতিহাসিক মনে করেন, এই যুদ্ধে তিনি পাণ্ড্যদেরও পরাজিত করেছিলেন।

৬৮১
খ্রিষ্টাব্দে তাঁর মৃত্যুর পর চালুক্য সিংহাসনে বসেন বিনয়াদিত্য