বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: আজকে দোলের হিন্দোলায় আয় তোরা
আজকে দোলের হিন্দোলায়
আয় তোরা কে দিবি দোল্।
ডাক দিয়ে যায় দ্বারে ঐ
হেনার কুঁড়ি আমের বোল্॥
আগুন-রাঙা ফুলে ফাগুন লালে-লাল,
কৃষ্ণ-চূড়ার পাশে রঙন অশোক গালে-গাল,
লোল্ হয়ে পড়িল ঐ রাতের জোছনা-আঁচল॥
হতাশ পথিক পথ-বিভোল্,
ভোল্ আজি বেদনা ভোল্, -
টোল খেয়ে যাক নীল আকাশ
শুনে তোদের হাসির রোল
দ্বার খু’লে দেখ্ - ফুলেল রাত
ফুলে ফুলে ডামাডোল্॥
- ভাবসন্ধান: যেন হোরি-উৎসবের আনন্দ-মহিমাকে বিজ্ঞাপিত করে সবাইকে
আহবান করা হয়েছে এই গানে। তাই এই গানের দোলের মহিমার চেয়ে বিশেষভাবে উঠে
এসেছে বর্ণাঢ্য বসন্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জনপদবাসীর মনোরঞ্জনের কথা। নানা
রূপকতায় এই সৌন্দর্যকে উপস্থাপন করা হয়েছে, জনপদের প্রকৃতি ও জনপদের আনন্দোৎসবকে। সব
মিলিয়ে হোলির এই আয়োজন হয়ে উঠুক মিলনমেলার মিলনোৎসব।
এই উৎসবে যোগদানের জন্য যেন জনপদের দ্বারে দ্বারে ডাক দিয়ে যায় হেনার কুঁড়ি আর
আমের গুঁটি। লাল-বর্ণের কৃষ্ণচূড়া আর হলুদ
ও লাল রঙনের বরণ-সমাহরে ফাগুন হয়ে ওঠে লালে লাল। সে রঙ যেন রাতের জ্যোৎস্নার
আঁচল হয়ে লোলুপতা নিয়ে ঝরে পড়ে।
পথ-হারায়ে যে পথিক হতাশ হয়ে ঘুরে মরে, কবি তার হতাশার বেদনাকে ভুলে এই উৎসবে
মেতে উঠার জন্য আহ্বান করেছেন। কবি কামনা করেন উৎসবের সকলের উচ্ছসিত হাসির
আনন্দ-ধ্বনিতে নীলাকাশের গানে টোল পড়ুক। কবি সবাইকে দ্বার খুলে বাইরে এসে,
ফুলেল রাতের ফুলের সমারোহ উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে
কিছু জানা যায় না। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় (জুলাই ১৯৩২) মাসে প্রকাশিত '
সুর-সাকী' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩
বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
- সুর-সাকী
- প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২)]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী,
ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। সুর-সাকী। ৩৮ । কাফি-হোরি। পৃষ্ঠা: ২৪৪-৪৫]
-
রেকর্ড: এইচএমভি [মার্চ ১৯৩৩ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৩৯)]। এন ৭০৮৬। শিল্পী: মানিকমালা
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম, বৈষ্ণব, হোলি।
মিলনোৎসব
- সুরাঙ্গ:
হোরি/হোলি গান