বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
সন্ধ্যা হল গো- ও মা, সন্ধ্যা হল, বুকে ধরো
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা :
১৬০
সন্ধ্যা হল
গো- ও মা, সন্ধ্যা হল, বুকে ধরো।
অতল কালো
স্নেহের মাঝে ডুবিয়ে আমায় স্নিগ্ধ করো॥
ফিরিয়ে নে
মা, ফিরিয়ে নে গো- সব যে কোথায় হারিয়েছে গো
ছড়ানো এই
জীবন, তোমার আঁধার-মাঝে হোক-না জড়ো॥
আর আমারে
বাইরে তোমার কোথাও যেন না যায় দেখা।
তোমার রাতে
মিলাক আমার জীবনসাঁজের রশ্মিরেখা।
আমায় ঘিরি
আমায় চুমি কেবল তুমি, কেবল তুমি-
আমার ব'লে
যা আছে, মা, তোমার ক'রে
সকল হরো॥
[RBVBMS 229]
[নমুনা]
[BMSF 024]
[নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
[RBVBMS
229]
-তে
লিখিত গানটির নিচে গানটি রচনার তারিখ, সময় ও স্থানের উল্লেখ আছে- '
৬ই জ্যৈষ্ঠ/রাত্রি/রামগড় '।
আবার
BMSF 024
পাণ্ডুলিপিতে
রচনার তারিখ, সময় ও
স্থানের উল্লেখ আছে- '৬ই জ্যৈষ্ঠ/১৩২১/রামগড়'।
উভয় পাণ্ডুলিপি অনুসারে গানটির
রচনার তারিখ, সময় ও স্থান দাঁড়ায়, '৬ই আশ্বিন, রাত্রি, ১৩২১, রামগড়'।
উল্লেখ্য
১৩২১ বঙ্গাব্দের
২৭শে বৈশাখে পুত্রবধু প্রতিমা
দেবী, কন্যা মীরাদেবী, জামাতা নগেন্দ্রনাথ ও দুজন ভৃত্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথ রামগড়ের
উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর তিনি তিনি রামগড় থেকে লখ্নৌ হয়ে কলকাতায় ফেরেন
৩১শে জ্যৈষ্ঠে। রামগড়ে থাকা কালে, তিনি মোট ৯টি গান রচনা করেন। এর ভিতরে
এই গানটি রচনা করেন ৬ জ্যৈষ্ঠ [বুধবার, ২০ মে ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ। এই
সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩ বৎসর ১ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
নবম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩২৩
বঙ্গাব্দ)। গীতিমাল্য ১০৭। পৃষ্ঠা: ৪০৭]
[নমুনা]
- গীতিমাল্য
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান পাবলিশার্স, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ।
১০৭
সংখ্যক গান পৃষ্ঠা: ১৩০।
[নমুনা]
-
রবীন্দ্ররচনাবলী
একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)।
পৃষ্ঠা ২০৯-২১০।
- পত্রিকা:
-
রেকর্ডসূত্র:
সিদ্ধার্থ ঘোষের রচিত রেকর্ডে
রবীন্দ্রসংগীত (ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন। নভেম্বর ১৯৮৯) গ্রন্থ থেকে আলোচ্য
গানের যে রেকর্ডসূত্র তথ্য পাওয়া যায়, তা হলো- ১৯১৬ থেকে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের
গ্রামোফোন রেকর্ড এই গানটির রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। শিল্পী ছিলেন হরেন্দ্রনাথ
দত্ত। রেকর্ড নম্বর
P 5895।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩২১ বঙ্গাব্দের
প্রকাশিত গীতিমাল্য ের প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর গ্রন্থাদির সাথে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-সেগুলো হলো- কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (১৩২৩), গীতলেখা দ্বিতীয় ভাগ (১৩২৫ বঙ্গাব্দ) এবং তত্ত্ববোধিনী 'ফাল্গুন ১৩২৮ বঙ্গাব্দ' সংখ্যা।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ -এ গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ৩৩ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ১৬০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপি: [নমুনা]
-
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের [গীতলেখা
দ্বিতীয় ভাগ থেকে স্বরবিতান-৪০-এ
গৃহীত হয়েছে]
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান-৪০-এ
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে
'একতাল'
-এ নিবদ্ধ।
[একতালে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
-
রাগ :
ইমন
পূরবী।
তাল : একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬],
পৃষ্ঠা: ৮০।
-
রাগ:
ইমন,
পূরবী।
তাল: একতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি,
জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪০।
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ:
পূজা, বিরহ
- সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
-
গ্রহস্বর:
সা।
-
লয়: মধ্য।