বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: বিশ্বজোড়া ফাঁদ
পেতেছে, কেমনে দিই ফাঁকি !
পাঠ ও পাঠভেদ:
-
গীতবিতান বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
বিশ্বজোড়া ফাঁদ
পেতেছে ,
কেমনে দিই ফাঁকি
!
আধেক
ধরা পড়েছি গো,
আধেক
আছে
বাকি ॥
কেন জানি আপনা
ভুলে
বারেক হৃদয় যায় যে খুলে,
বারেক তারে ঢাকি
॥
বাহির
আমার
শুক্তি যেন কঠিন আবরণ-
অন্তরে মোর
তোমার লাগি একটি কান্না-ধন।
হৃদয় বলে তোমার দিকে
রইবে চেয়ে অনিমিখে,
চায় না কেন আঁখি
?।
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 131
[নমুনা]
-
পাঠভেদ:
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS
131
-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে- '১৯
আশ্বিন'।
তবে
গীতালি (প্রথম সংস্করণ ১৩২১)-তে তে
গানটির
সাথে স্থানকাল সম্পর্কে উল্লেখ আছে - '
১৯
আশ্বিন/রাত্রি/শান্তিনিকেতন'।
[নমুনা]।
উল্লেখ্য, ১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ
ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল ২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে
আশ্বিন পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন।
এর ভিতরে এই গানটি তিনি ১৮
আশ্বিন [প্রভাত। সোমবার, ৫ অক্টোবর]
তারিখে রচনা করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩ বৎসর ৫ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
- অচলায়তন
-
প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ)। গানের দলের প্রবেশ ও গান। পৃষ্ঠা:
৫৭-৫৮] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]।
উল্লেখ্য অরূপরতন -এর ১৩৪২
সংস্করণে গানটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
- কাব্যগ্রন্থ
-
গীতবিতান
-
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।
পৃষ্ঠা: ৫০৯]
[নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [ বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮,
পর্যায়:
পূজা, উপবিভাগ:
সাধনা ও সংকল্প: ১৩, পৃষ্ঠা:
৮১] [নমুনা]
-
অখণ্ড,
তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা ১৮৭, উপ-বিভাগ :
সাধনা ও সংকল্প: ১৩।
-
গীতালি
-
প্রথম সংস্করণ
[ ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ। ৭৮ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা: ৮৫।
[নমুনা]
-
রবীন্দ্ররচনাবলী
একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)।
গীতালি
৭৮ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ২৭১।
-
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ খণ্ড (৪২) খণ্ডের ৩৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১০০-০৩।
[নমুনা]
-
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
- প্রকাশের কালানুক্রম:
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতালি'র ৭৮ সংখ্যক গান হিসেবে। এরপর ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড গানটি স্থান লাভ করেছিল। ১৩২৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত অরূপরতন নাটকের প্রথম সংস্করণ-এ 'গানের দলের গান' হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
এরপর ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা (উপবিভাগ: সাধনা ও সংকল্প- ১৩)। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ১৮৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
সুধীরচন্দ্র কর
[পাণ্ডুলিপি
থেকে
স্বরবিতান-৪২-এ গৃহীত হয়েছে]
- সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান-৪২-এ গৃহীত
স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ
নেই।
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি
৩।৩
ছন্দে
'দাদরা'
তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা।
সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)
। পৃষ্ঠা: ৬৯]।
-
রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১,পৃষ্ঠা:
১২১।
গ্রহস্বর-সা।
লয়-মধ্য