২৩১৭
তাল: কাহার্বা
জয় হোক জয় হোক —
শান্তির জয় হোক, সাম্যের জয় হোক্,
সত্যের জয় হোক, জয় হোক॥
সর্ব অকল্যাণ পীড়ন অশান্তি
সর্ব অপৌরুষ মিথ্যা ও ভ্রান্তি,
হোক ক্ষয়, ক্ষয় হোক জয় হোক জয় হোক॥
দূর হোক অভাব ব্যাধি শোক
দুখ দৈন্য গ্লানি বিদ্বেষ অহেতুক,
মৃত্যুবিজয়ী হোক অমৃত লভুক —
ভয়-ভীত দুর্বল নির্ভয় হোক।
রবে না এ শৃঙ্খল উচ্ছৃঙ্খলতার
বন্ধন কারাগার হবে হবে চুরমার,
পার হবে বাধার গিরি মরু পারাবার —
নির্যাতিত ধরা মধুর, সুন্দর প্রেমময় হোক,
জয় হোক জয় হোক॥
ভাবসন্ধান
দৈনিক 'নবযুগ' পত্রিকায় কবিতাকারে 'জয় হোক! জয় হোক!' শিরোনামে প্রকাশের সময়
'আল্লার জয় হোক!' ছিল। এই কবিতার ষষ্ঠ স্তবকে সাম্যের কথা বলেছেন ইসলামী
দৃষ্টিভঙ্গীতে। এই কবিতাকে নিতাই ঘটক যখন সুরারোপ করেছেন, তখন তা
সাম্যবাদী দর্শনে পরিণত হয়েছে। সকল অকল্যাণ, পীড়ন, অপুরষোচিত মিথ্যা, সব বিলীন হয়ে
কল্যাণকর জগতের প্রতিষ্ঠা এই গানের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কবির আকাঙ্ক্ষা কোনো
ধর্মীয় আদর্শে প্রতিষ্ঠিত নয়, মানব ধর্মের আদর্শেই তা প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই কবির
কামনা। তিনি অভাব, ব্যধি, শোক, দুঃখ, গ্লানির অবসান চান। পাপ-পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত
অশান্তির মৃত্যদশা থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ অমৃতপুত্র হয়ে উঠুক। কবি কামনা করেন সকল
অন্যায়ের কারাগার ভেঙে যাক, সকল নির্যাতনের অবসান হোক। অসুন্দর বাধা অপসারিত হয়ে
জীবন মধুর ও প্রেমময় হয়ে উঠুক।
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
২. রেকর্ড সূত্র: এই গানটির কোনো রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল কিনা তা জানা যায় না।
৩. রচনাকাল: দৈনিক 'নবযুগ' পত্রিকার '২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ' সংখ্যায় 'জয় হোক! জয় হোক!' শিরোনামে একটি দীর্ঘ কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। এই কবিতাটির প্রথম ১৭ পংক্তিতে সুরারোপ করা হয়েছে। সুরারোপের কাজটি করেছিলেন নিতাই ঘটক। কবিতা রচনার সময় তাঁর বয়স ছিল ৪২ বৎসর।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ: দৈনিক 'নবযুগ' পত্রিকার '২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ' সংখ্যায় 'জয় হোক! জয় হোক!' কবিতাটির প্রথম ১৭ পংক্তিতে সুরারোপ করার সময়, প্রথম পংক্তির 'আল্লার জয় হোক!' বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মূল কবিতার 'অসৎ, অবিদ্যা, লোভী ও ভোগী লয় হোক' পংক্তির পরিবর্তে গানে ব্যবহার করা হয়েছে 'নির্যাতিত ধরা মধুর, সুন্দর প্রেমময় হোক'।
৫. সুরকার: নিতাই ঘটক। [নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর। নজরুল ইনস্টিটিউট, ২৫ মে ২০০৯]।
৬. স্বরলিপিকার:
৭. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
রাগ: ভৈরবী। তাল:
কাহার্বা।
সুরের অঙ্গ:
পর্যায়: দেশাত্মবোধক গান। উদ্দীপক।
গ্রহস্বর: পা।