হিন্দু পৌরাণিক সত্তার শ্রেণিকরণ

অলৌকিক বিশ্বাস এবং লোককাহিনির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে পৌরাণিক কাহিনি। এই কারণে যেকোনো পৌরাণিক কাহিনিই হলো সৃজনশীলকর্ম। এক্ষেত্রে কল্পনার ভিতর দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের কাল্পনিক সত্তার। যেকোনো পৌরাণিক সত্তার ভিত্তি হলো কাল্পনিক সত্তা। পৃথিবীর নানা প্রান্তে নানা জাতির ভিতরে পুরাণ কথার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতবর্ষে বৈদিক যুগ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত যে ধর্মীয় বিশ্বাস চলে আসছে, তাকে সাধারণভাবে বলা হয় সনাতন ধর্ম। এই হিন্দু ধর্মের অন্যতম অংশ হলো পুরাণ কথা। এই পুরাণ কথা ভারতবর্ষে জন্ম এবং বিকশিত হয়েছে। তাই একে বলা হয়েছে ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা।

বিশাল ভারত বর্ষের পৌরাণিক কাহিনির কথা বিবেচনা করলে কয়েকটি ধারা লক্ষ্য করা যায়।

১. প্রধান শাখা: ভারতীয় পৌরাণিক  বিশ্বাসের প্রধান শাখা। এরা শ্রেণিগত নাম হিন্দু পৌরাণিক সত্তা।
২. বিবর্তি শাখা: ভারতীয় পৌরাণিক বিশ্বাস এবং নিজস্ব বিশ্বাসের সংমিশ্রণে সৃষ্ট পুরাণ-কথা। এর ভিতরে রয়েছে উল্লেখযোগ্য কিছু ধর্ম বিশ্বাস। যেমন- বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, ব্রাহ্ম ইত্যাদি।
৩. প্রকৃতি পূজারি: ভারতের আদিবাসীদের ভিতরে প্রচলিত পুরাণ-কথা।

উপরের শ্রেণিবিভাজন অনুসারে, ভারতীয় পৌরাণিক সত্তার একটি প্রধান শাখা হিসেবে হিন্দু পৌরাণিক সত্তাকে বিবেচনা করা যায়। নিচে এর শব্দ-ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা দেওয়া গেলো।

ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন  | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক সত্তার যে সকল উপাদান রয়েছে, তার প্রকৃতি একরকম নয়। এই প্রকৃতি অনুসারে হিন্দু পৌরাণিক সত্তাগুলোকে নানাভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন-