জাফরান
বানান বিশ্লেষণ: জ্+আ+ফ্+অ+র্+আ+ন্+অ
উচ্চারণ:
ɟa pʰ.ran
(জাফ্.রান্)
শব্দ-উৎস:
আরবি জাফরান>
বাংলা জাফরান
পদ :
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{প্রজনন
অঙ্গ |
উদ্ভিদাঙ্গ |
উদ্ভিদাংশ
|
প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু |
এককঅংশ
|
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু |
দৈহিক
সত্তা |
সত্তা | }
অর্থ: Crocus sativus
গাছের সুগন্ধী ফুলের
গর্ভমূণ্ডের আঁশ থেকে উৎপন্ন রঙ লালচে-হলুদ রঙের গুঁড়ো। এই বিশেষ রঙকে বলা হয় জাফরানি রঙ।
মূল্যবান মশলা হিসেবে পরিচিত।
সুগন্ধী স্বাদ বর্ধক গুণ থাকায় এর চাহিদা ব্যাপক। এই
মশলায় রয়েছের খাদ্য গুণ , ঔষধ -গুণ। প্রসাধনী শিল্পে
এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
জাফরানের ব্যবহার
- বিরিয়ানি, পোলাও এবং অন্যান্য মিষ্টি খাবারে ব্যবহৃত হয়।
খাদ্যকে সুগন্ধী এবং রঙের জন্য ফারন ব্যবহার করা হয়।
- জাফরান ঔষধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। প্রদাহ কমাতে, মানসিক চাপ কমাতে
এর ব্যবহার রয়েছে
- প্রসাধনী শিল্পে জাফরানের
কদর রয়েছে। বিশেষ করে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং চুলের বৃদ্ধি সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়
- পূজা-পার্বনে এর
ব্যবহার রয়েছে। এক্ষেত্রে জাফরানকে বলা হয়
কুঙ্কুম।
জাফরানের প্রকরণ:
সাধারণত জাফরান পাওয়া যায় গুঁড়ো হিসেবে পাওয়া যায়। তবে শুকনো জাফরান, জাফরান তেল
হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়।
সমার্থক শব্দাবলি:
কুঙ্কুম, জাফরান
সূত্র:
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য
অকাদেমী। ২০০১।
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন
দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
- সরল বাঙ্গালা অভিধান । সুবলচন্দ্র মিত্র।