রাশি
বানান বিশ্লেষণ: র্+আ+শ্+ই
উচ্চারণ:
raʃi (রা.শি)
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত রাশি>বাংলা রাশি
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
অশ্ (ব্যাপ্ত হওয়া) +ই (ইণ্), কর্তৃবাচ্য}
পদ: বিশেষ্য

১. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| সংকলন | দল | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
অর্থ:
বহুত্ব প্রকাশক শব্দ। অন্য শব্দের পরে বসে পূর্বপদের বহুত্ব প্রকাশ করে।
ইংরেজি:
pile, heap, mound, agglomerate, cumulation, cumulus


ব্যবহার বিধি
:

১. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| রেখাচিত্র | অঙ্কন | রূপায়ণ | মনুষ্য সৃষ্টিকর্ম | মানবসৃষ্টি | সমগ্র | দৈহিক লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ:
যে রেখাচিত্রের দ্বারা দৃশ্যমান আকাশকে বিভাজিত করে দেখানো হয়। এক্ষেত্রে রাশিকে একটি বিশেষ অর্থে রেখা দ্বারা উপস্থাপন করা হয়।
পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে উপবৃত্তাকার পথে। পৃথিবীর চলন গতির সূত্রে বিভিন্ন সময়ে আকাশের বিভিন্ন নক্ষত্র বা নক্ষত্রপুঞ্জ পৃথিবী থেকে স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে বা পৃথিবীর নিকটতম মনে হয়। প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা রাতের আকাশ লক্ষ্য করে এই পরিবর্তনকে বিশেষভাবে অনুভব করেছিলেন। তাঁর দৃশ্যমান সমগ্র আকাশকে ৩০ডিগ্রি করে ১২টি ভাগে ভাগ করেছিলেন। তাঁর এই ১২টি ভাগের প্রত্যেকটিকে নাম দিয়েছিলেন রাশি। ১২টি রাশির অবস্থান
চক্রাকারে কল্পনা করা হয়, তাই এর সামিগ্রিক নাম রাশিচক্র। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানে রাশিচক্রের রাশিগুলোর নাম মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন। বঙ্গাব্দের মাসের নামগুলো গৃহীত হয়েছে, রাশিচক্রে অবস্থিত সুনির্দিষ্ট নক্ষত্রের নাম থেকে। যেমন

 

মাস

রাশি

নক্ষত্রের নাম

বৈশাখ

মেষ

বিশাখা

জ্যৈষ্ঠ

বৃষ

জ্যেষ্ঠা

আষাঢ়

মিথুন

উত্তরাষাঢ়া

শ্রাবণ

কর্কট

শ্রবণা

ভাদ্র

সিংহ

পূর্বভাদ্রপদ

আশ্বিন

কন্যা

অশ্বিনী

কার্তিক

তুলা

কৃত্তিকা

মার্গশীর্ষ

বৃশ্চিক

মৃগশিরা

পৌষ

ধনু

পুষ্যা

মাঘ

মকর

মঘা

ফাল্গুন

কুম্ভ

উত্তরফাল্গুনী

চৈত্র

মীন

চিত্রা

             [দেখুন: বঙ্গাব্দ]
ইংরেজি: zodiac