১.সংস্কৃত দারু, দল>প্রাকৃত ডাল (দ স্থানে ড)>বাংলা ডাল।
২. সংস্কৃত ডল্লক>মাগধী প্রাকৃত ডালং>বাংলা ডাল}।

পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| উদ্ভিদাঙ্গ | উদ্ভিদাংশ | প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু | এককঅংশ  | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ: উদ্ভিদের দেহকাণ্ড থেকে উৎপন্ন এবং প্রসারিত অঙ্গ।
সমার্থক শব্দ: শাখা
শব্দ বিবর্তন:  

• সর্বপ্রাচীন নমুনা ৬৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ।
  • কাআ তরুবর পঞ্চ বি ডাল/লুইপাদানাম। চর্যাগীতিকা-১।
  • ছেবহ সো তরু মূল ন ডাল/কাহ্নপাদানাম্। চর্যাগীতিকা-৪৫।

যৌগিক শব্দ:

• পূর্বপদ: ডালপালা

বাগার্থ:

• ডালভাঙা বাঁদর: অনিষ্টকারী ব্যক্তি।

শব্দ-উৎস: ২

সংস্কৃত দাল, দালি>প্রাকৃত ডালী>মুণ্ডারি দালি>বাংলা ডাইল, ডাল
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  { |  লেগুম বীজ | সবজি  | সবুজ খাদ্য | কঠিন খাদ্য | কঠিন পদার্থ | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ: লেগুম জাতীয় উদ্ভিদের ফল থেকে উৎপন্ন খাদ্য। যেমন মসুর ডাল, মুগ ডাল, মটর ডাল ইত্যাদি।
সমার্থক শব্দাবলি: ডাইল, ডাল, দাল।

যৌগিক শব্দ:

• পূর্বপদ: ডালপুরি, ডালভাত, ডালমুট।

সূত্র:

• চর্যাগীতিকোষ। নীলরতন সেন। সাহিত্যলোক। কলকাতা। জানুয়ারি ২০০১। পৃষ্ঠা: ২, ১১৭, ১৫১।
• চর্যাগীতি পরিক্রমা। ড. নির্মল দাশ। দে'জ সংস্করণ। জানুয়ারি ২০০৫। পৃষ্ঠা: ১১৩, ২১৫।
• চর্যাগীতি প্রসঙ্গ। সৈয়দ আলী আহসান। মৌলি প্রকাশনী। জুন ২০০৩। পৃষ্ঠা: ১৪৮।
• চর্যাগীতি পাঠ। ড. মাহবুবুল হক। পাঞ্জেরী পাবলিকেশান লি.। ঢাকা। জুলাই ২০০৯। পৃষ্ঠা: ১৫-১৬, ১৬৩।
• চর্যাগীতিকা। সম্পাদনায় মুহম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা। স্টুডেন্ট ওয়েজ। অগ্রহায়ণ ১৪০২। পৃষ্ঠা: ৬৩, ১৭২।
• চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ। ১৪০৮ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ২৮৬।
• বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫। পৃষ্ঠা: ৫১৮।
• বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত। ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। মাওলা ব্রাদ্রাস। ঢাকা। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ৪১
• বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০। পৃষ্ঠা: ৯২৮।
• বাঙ্গালা শব্দকোষ। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি। ভূর্জপত্র। দোলযাত্রা ১৩৯৭। পৃষ্ঠা: ৩৯০-৩৯১।
• বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১। পৃষ্ঠা: ৯৯৯।
• শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ৪১১।
• শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫। পৃষ্ঠা: ৪১৫।
• শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ২৪১।
• সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২। পৃষ্ঠা: ৩৫৬।
• সরল বাঙ্গালা অভিধান (সপ্তম সংস্করণ, নিউবেঙ্গল প্রেস ১৯৩৬)। সুবলচন্দ্র মিত্র। পৃষ্ঠা: ৫৯৯।
• হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধ গান ও দোঁহা, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা, ১৩২৩। পৃষ্ঠা: ১
• wordnet 2.1 (প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রকাশিত বৈদ্যুতিন সংস্করণ)।