পুনঃসংযোজন পর্ব
Recombination
বিগ ব্যাং-এর পর প্রায় ৩৮০,০০০ বছর (±২০,০০০ বছর) শুরু হয়েছিল।
বর্তমান সময়ের বিচারে
১৩৭৬ কোটি খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দ।
মূলত নানা ধরনের আদি কণা এবং এর প্রতিকণার সংঘর্ষ এবং
ইলেক্ট্রন,
প্রোটন ও
নিউট্রনের নানা ধরনের সংযোজনের সূত্রে বিপুল পরিমাণ
ফোটন কণা আদি বিশ্বলোককে আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল। কিন্তু আয়োনিত কণাসমূহের
ভিতর দিয়ে
ফোটন কণাসমূহের অবাধ চলাচল ছিল না। ফলে
ফোটন কণাগুলো বিশৃঙ্খল দশায় আব্দ্ধ হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় বিপুল পরিমাণ
ফোটন
তৈরি হলেও- নানা ধরণের কণার বিপুল সমাবেশে মহাকাশ অস্বচ্ছ বস্তুপুঞ্জের মতো দেখাতো।
এই অন্তঃযুগের শেষে -এ নেমে এসেছিল। ফলে মহাকাশীয় কণাগুলোর মধ্যে নবতর সংযোজনের পথ
খুলে গেল।
ফোটন অন্তঃযুগের
পরে তাপমাত্রা ৩০০০ কেলভিন (২৭২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস)
নেমে এসেছিল। এই পরিবেশে- প্রোটন
ও
নিউট্রন মিলিত হয়ে আয়োনিত
হাইড্রোজেন ও
হিলিয়াম পরমাণু তৈরি করেছিল।
এরপর এই আয়োনিত পরমাণুগুলো-
ইলেক্ট্রনকে আকৃষ্ট করা শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত
হাইড্রোজেন,
হিলিয়াম ও
লিথিয়াম অণু তৈরি হয়। এই অন্তঃযুগের শেষে মহাবিশ্বের
প্রায় ৭৫ ভাগ ছিল
হাইড্রোজেন। এছাড়া ছিল অতি সামান্য
লিথিয়ামকে বাদ দিকে
অবশিষ্ট অংশ জুড়ে ছিল
হিলিয়াম।
এই কারণে এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় পুনঃসংযোজন। চার্জযুক্ত কণার সংখ্যা কমে
যাওয়ার কারণে ফোটন আর সহজে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারল না। ফলে আলো তথা ফোটন কণা স্বাধীনভাবে ভ্রমণ শুরু করল।
ফলে মহাবিশ্ব স্বচ্ছ হয়ে গিয়েছিল।
[দেখুন
আণবিক মেঘ পর্ব]
সূত্র: