রেকর্ডে প্রকাশিত নজরুল সঙ্গীতের কালানুক্রমিক তালিকা

১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ
এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩২ বঙ্গাব্দ) নজরুলের রচিত প্রথম গান রেকর্ড করেছিল এইচএমভি। এই রেকর্ডের অপর পৃষ্ঠায় ছিল- রজনীকান্ত সেনের 'তাই ভালো মোদের মায়ের ঘরের শুধু ভাত..।  রেকর্ডটি ছিল পি সিরিজের। পি ৬৯৪৫। ঘূর্ণ গতি ৭২ আরপিম। রেকর্ড নম্বর উভয় গানের শিলল্পী ছিলেন হরেন্দ্রনাথ দত্ত। উল্লেখ্য, এই রেকর্ডে গীতিকার ও সুরকারের নাম ছিল না।

প্রথম রেকর্ড

১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ

১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ
এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি নজরুলের গান রেকর্ডে প্রকাশের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে। নজরুল তখন থাকতেন জেলেটোলার নলিনীকান্ত সরকারের বাড়িতে। সম্ভবত নলিনীকান্ত সরকারের উদ্যোগে তাঁর বাড়িতে গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডিং ম্যানেজার ভগবতী ভট্টাচার্যের সাথে এই বিষয়ে প্রথম আলাপ হয়। মার্চ মাসে নজরুল কিছু শর্তসাপাক্ষে গ্রামোফোন  কোম্পানিতে যোগদান করেন। এই শর্তগুলো ছিল-

এই প্রশিক্ষণের সূত্রে নজরুলের রচিত চারটি গান- ধীরেন্দ্রনাথ নজরুলের কাছ থেকে শিখে নিয়ে, তা  আঙ্গুরবালা কাসেম মল্লিক-কে শিখিয়েছিলেন।

১৮ই এপ্রিলে লেখা কাজী মোতাহার হোসেনের কাছে লিখিত চিঠি থেকে জানা যায়, ১৪ই এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদযাপন করার জন্য কৃষ্ণনগরে গিয়েছিলেন  দিলীপকুমার রায় এবং নলিনীকান্ত সরকার। নজরুল কলকতায় থেকে গিয়েছিলেন গ্রামোফোন কোম্পানির কাজে। চিঠিতে তিনি ২০ এপ্রিল (শুক্রবার ৭ বৈশাখ ১৩৩৫), বিকেল ৪টা থেকে ৫টার ভিতরে গ্রামোফোন কোম্পানির কাছে ৪টি গান ও নারী কবিতার আবৃত্তি জমা দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।

এই গানগুলো সম্ভবত রেকর্ড হয়েছিল এপ্রিল মাসের শেষে। তবে বিক্রয়ের জন্য প্রকাশিত হয়েছিল জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে। নজরুলের রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকায় এই দুটি গান ছিল যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ।

উল্লেখ্য নারী কবিতাটি নজরুল নিজেই আবৃত্তি করেছিলেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তাঁর নজরুল জীবনী গ্রন্থে লিখেছেন-
‌'...নজরুলের প্রশিক্ষণে প্রথম প্রকাশিত নজরুল-সঙ্গীত-এর রেকর্ডে আঙুরবালার গাওয়া দুটি গান ছিল, ‌'ভুলি কেমনে‌' ও 'এত জল ও কাজল‌', আরো ছিল নজরুলের স্বরচিত স্বকণ্ঠে আবৃত্তি 'নারী' কবিতা এবং কে. মল্লিকের গাওয়া 'বাগিচায় বুলবুলি তুই' এবং 'আমারে চোখ ইশরায় ডাক দিল হায়।' ঐ সব গান ও আবৃত্তির রেকর্ড হয়েছিল ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের দিকে আর প্রকাশিত হয়েছিল শেষ দিকে।
রেকর্ড নম্বর অনুসারে নারী কবিতা ও চারটি গানের প্রকাশের কালানুক্রম বিবেচনা করলে, দেখা যায়- জুলাই মাসে প্রথমে আঙুরবালার গান (পি ৯৯৭৪) প্রকাশিত হয়েছিল। এরপরে  উমাপদের দুটি গান (পি ১১৫০৯)প্রকাশিত হয়। সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়েছিল কাসেম মল্লিকের গান (পি ১১৫১৮)। এপরে প্রকাশিত হয়েছিল (পি ১১৫২০)। রেকর্ড প্রকাশের কালানুক্রম ও সংখ্যানুক্রম হবে-
  • তৃতীয় রেকর্ড: এইচএমভি [জুলাই ১৯২৮ (আষাঢ় ১৩৩৫)। পি ৯৯৭৪। শিল্পী: আঙ্গুরবালা। সুর: নজরুল ইসলাম]
    • ভুলি কেমনে আজো যে মনে [তথ্য]
    • এত জল ও-কাজল চোখ  [তথ্য]
  • চতুর্থ রেকর্ড এইচএমভি।[আগষ্ট ১৯২৮ (শ্রাবণ ১৩৩৫)।  পি ১১৫০৯। শিল্পী ছিলেন উমাপদ।
    • কেন দিলে এ কাঁটা যদি গো কুসুম দিলে [তথ্য]
    • সখি ব'লো বধুঁয়ারে নিরজনে (ব'লো বঁধুয়া রে) [তথ্য]
  • চতুর্থ রেকর্ড: এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯২৮ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩৪)। পি ১১৫১৮। শিল্পী: কাসেম মল্লিক। সুর নজরুল]
    • বাগিচায় বুলবুলি তুই  [তথ্য]
    • আমারে চোখ ইশারায় [তথ্য]
  • পঞ্চম রেকর্ড: এইচএমভি  [সেপ্টেম্বর ১৯২৮ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩৪)। পি ১১৫১৮। শিল্পী: কে. মল্লিক। সুর নজরুল]
    • বাগিচায় বুলবুলি তুই [তথ্য]
    • আমারে চোখ ইশারায় [তথ্য]
       
  • ষষ্ঠ রেকর্ড: নজরুলের আবৃত্তি এইচএমভি  [সেপ্টেম্বর ১৯২৮ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩৪)। পি ১১৫২০।

অক্টোবর মাসে কে মল্লিকের কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছিল একটি গান।

  • এইচএমভি। অক্টোবর ১৯২৮। পি- ১১৬৩৮। শিল্পী: কে মল্লিক। সুরকার: নজরুল ইসলাম
    • পরদেশী বঁধুয়া, এলে কি এতদিনে [তথ্য]

      এই গানটির জুড়ি গানের সন্ধান পাওয়া যায় নি।

১৯২৯

  1. কেমনে রাখি আঁখি-বারি চাপিয়া [গান-২২০] [তথ্য]
    ১. এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯২৯ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৩৬)। পি. ১১৬৭০। শিল্পী: আঙ্গুরবালা]
  2. নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল [গান-২৪২] [তথ্য]
    ২. এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯২৯ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৩৬)। পি. ১১৬৭০। শিল্পী: আঙ্গুরবালা]

১৯২৯

পুতুলের বিয়ে
১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৩৯) এইচএমভি রেকর্ড করেছিল। রেকর্ডের সংখ্যা ছিল ৬টি। রেকর্ড নম্বর ছিল জিটি ২৪ থেকে ২৯। নাটকটির শিল্পীরা ছিল শিশুমঙ্গল সমিতি'র। এই রেকর্ডগুলো হলো-

  1. প্রথম রেকর্ড। জিটি ২৪।
    ১. খেলি আয় পুতুল খেলা [গান-৪৩৪] [তথ্য]
  2. দ্বিতীয় রেকর্ড। জিটি ২৫।
  3. তৃতীয় রেকর্ড। জিটি ২৬।
    ১. মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু- মুসলমান [গান-৪৭৪] [তথ্য]
  4. চতুর্থ রেকর্ড। জিটি ২৭।
    ১. হেড মাস্টারের ছড়ি,সেকেন্ড মাস্টারের দড়ি [গান-৪৮৬] [তথ্য]
  5. পঞ্চম রেকর্ড। জিটি ২৮।
    ১. মিলন-গোধূলি রাঙা হয়ে এলো ঐ [গান-৯০৫] [তথ্য]
  6. ষষ্ঠ রেকর্ড। জিটি ২৯।
    ১. লাল টুক্‌টুক্‌ মুখে হাসি [গান-৯০৬] [তথ্য]
    ২. শাদী মোবারকবাদী শাদী মোবারক [গান-৪৭৮] [তথ্য]
    ৩. সাবিত্রী সমান হও [গান-৯০৭] [তথ্য]

১৯৩৭

১৯৪১

১৯৫০

  1. প্রাণের ঠাকুর লীলা করে (মোর লীলাময় লীলা করে) [গান-৮৯৩] [তথ্য]
     
    • কলাম্বিয়া রেকর্ড  [সেপ্টেম্বর ১৯৫০ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৫৭)। রেকর্ড নম্বর জিই ৭৭৭১। শিল্পী: উত্তরা দেবী। সুর: নিতাই ঘটক]

 

  1. কত ফুল তুমি পথে ফেলে দাও [গান-২] [তথ্য]
    এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৪০। এন ২৭০৫৭। শিল্পী: সন্তোষ সেনগুপ্ত। সুরকার: কমল দাশগুপ্ত]
  2. কারার ঐ লৌহকপাট [৭২৬] [তথ্য]
    ১. কলাম্বিয়া [জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দ। শিল্পী: গিরীন চক্রবর্তী।রেকর্ড নম্বর- জি.ই. ৭৫০৬।]
    ২. এইচএমভি [জানুয়ারি ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ নম্বর- এন. ৩১১৫২। শিল্পী গিরীন চক্রবর্তী]
  3. তোরা সব জয়ধ্বনি কর [গান-৯৯] ‌ [তথ্য]
    কলাম্বিয়া [আগষ্ট ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দ (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৫৬)। রেকর্ড নং- জি ৭৫৪৮।শিল্পী: বাংলার সন্তানদল।