রেকর্ডে প্রকাশিত নজরুল সঙ্গীতের কালানুক্রমিক তালিকা
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দপ্রথম রেকর্ড
রেকর্ড বুলেটিনে লেখা ছিল- "শ্রীযুক্ত হরেন্দ্রনাথ দত্ত মহাশয় এবারের দুইখানি স্বদেশী গান রেকর্ড দিয়েছেন। দ্বিতীয় গানখানি ছুঁৎমার্গ পরিহার সম্বন্ধে সুপ্রসিদ্ধ কবি নজরুল ইসলাম দ্বারা রচিত।"
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ অক্টোবর মাসে কে মল্লিকের কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছিল একটি গান।
এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানি নজরুলের গান রেকর্ডে প্রকাশের জন্য
উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে।
নজরুল তখন থাকতেন জেলেটোলার নলিনীকান্ত সরকারের বাড়িতে। সম্ভবত নলিনীকান্ত সরকারের
উদ্যোগে তাঁর বাড়িতে গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডিং ম্যানেজার ভগবতী ভট্টাচার্যের
সাথে এই বিষয়ে প্রথম আলাপ হয়। মার্চ মাসে নজরুল কিছু শর্তসাপাক্ষে গ্রামোফোন
কোম্পানিতে যোগদান করেন। এই শর্তগুলো ছিল-
এই
প্রশিক্ষণের সূত্রে নজরুলের রচিত চারটি গান- ধীরেন্দ্রনাথ নজরুলের কাছ থেকে শিখে
নিয়ে, তা
আঙ্গুরবালা ও
কাসেম মল্লিক-কে শিখিয়েছিলেন।
১৮ই এপ্রিলে লেখা কাজী মোতাহার
হোসেনের কাছে লিখিত চিঠি থেকে জানা যায়, ১৪ই এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদযাপন করার জন্য
কৃষ্ণনগরে গিয়েছিলেন দিলীপকুমার রায় এবং নলিনীকান্ত সরকার। নজরুল কলকতায় থেকে
গিয়েছিলেন গ্রামোফোন কোম্পানির কাজে। চিঠিতে তিনি ২০ এপ্রিল (শুক্রবার ৭ বৈশাখ
১৩৩৫), বিকেল ৪টা থেকে ৫টার ভিতরে গ্রামোফোন কোম্পানির কাছে ৪টি গান ও নারী কবিতার
আবৃত্তি জমা দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।
এই গানগুলো সম্ভবত রেকর্ড হয়েছিল এপ্রিল মাসের শেষে। তবে বিক্রয়ের জন্য প্রকাশিত
হয়েছিল জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে। নজরুলের রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকায় এই দুটি
গান ছিল যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ।
উল্লেখ্য নারী কবিতাটি নজরুল নিজেই আবৃত্তি করেছিলেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম
তাঁর নজরুল জীবনী গ্রন্থে লিখেছেন-
'...নজরুলের প্রশিক্ষণে প্রথম প্রকাশিত নজরুল-সঙ্গীত-এর রেকর্ডে আঙুরবালার
গাওয়া দুটি গান ছিল, 'ভুলি কেমনে' ও 'এত জল ও কাজল', আরো ছিল নজরুলের
স্বরচিত স্বকণ্ঠে আবৃত্তি 'নারী' কবিতা এবং কে. মল্লিকের গাওয়া 'বাগিচায় বুলবুলি
তুই' এবং 'আমারে চোখ ইশরায় ডাক দিল হায়।' ঐ সব গান ও আবৃত্তির রেকর্ড হয়েছিল
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের দিকে আর প্রকাশিত হয়েছিল শেষ দিকে।
রেকর্ড নম্বর অনুসারে নারী কবিতা ও চারটি গানের প্রকাশের কালানুক্রম বিবেচনা করলে,
দেখা যায়- জুলাই মাসে প্রথমে আঙুরবালার গান (পি ৯৯৭৪) প্রকাশিত হয়েছিল। এরপরে
উমাপদের দুটি গান (পি ১১৫০৯)প্রকাশিত হয়। সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়েছিল কাসেম
মল্লিকের গান (পি ১১৫১৮)। এপরে প্রকাশিত হয়েছিল (পি ১১৫২০)। রেকর্ড প্রকাশের
কালানুক্রম ও সংখ্যানুক্রম হবে-
১৯২৯
১৯২৯
পুতুলের বিয়ে
১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৩৯) এইচএমভি রেকর্ড করেছিল। রেকর্ডের সংখ্যা ছিল ৬টি। রেকর্ড নম্বর ছিল জিটি ২৪ থেকে ২৯। নাটকটির শিল্পীরা ছিল শিশুমঙ্গল সমিতি'র। এই রেকর্ডগুলো হলো-
- প্রথম রেকর্ড। জিটি ২৪।
১. খেলি আয় পুতুল খেলা [গান-৪৩৪] [তথ্য]- দ্বিতীয় রেকর্ড। জিটি ২৫।
- তৃতীয় রেকর্ড। জিটি ২৬।
১. মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু- মুসলমান [গান-৪৭৪] [তথ্য]- চতুর্থ রেকর্ড। জিটি ২৭।
১. হেড মাস্টারের ছড়ি,সেকেন্ড মাস্টারের দড়ি [গান-৪৮৬] [তথ্য]- পঞ্চম রেকর্ড। জিটি ২৮।
১. মিলন-গোধূলি রাঙা হয়ে এলো ঐ [গান-৯০৫] [তথ্য]- ষষ্ঠ রেকর্ড। জিটি ২৯।
১. লাল টুক্টুক্ মুখে হাসি [গান-৯০৬] [তথ্য]
২. শাদী মোবারকবাদী শাদী মোবারক [গান-৪৭৮] [তথ্য]
৩. সাবিত্রী সমান হও [গান-৯০৭] [তথ্য]
১৯৩৭
১৯৪১
১৯৫০