ধীরেন্দ্রনাথ দাস
[১৯০৩-১৯৬১]

সঙ্গীতশিল্পী (মঞ্চ, বেতার, রেকর্ড, চলচ্চিত্র), সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার ও মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। সংক্ষিপ্ত নাম ধীরেন দাস। রেকর্ডে ইসলামি গান গেয়েছিলেন 'গণি মিঞা' ছদ্ম নামে।

১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের ৪ আগষ্ট কলকাতায় তাঁর মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম কালীচরণ দাস। মায়ের নাম প্রভাবতী দাস। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন জ্যৈষ্ঠ। অপর ভাইয়ের নাম ছিল- বীরেন্দ্রচন্দ্র দাস এবং বোন কমলা দাস।

এঁর আদি নিবাস ছিল- হুগলী জেলার পাণ্ডয়া। তিনি বর্ধমান জেলার রানীগঞ্জ বেঙ্গল কোল কোম্পানির নায়েব ছিলেন। তিনি তাঁর কর্মস্থল রানীগঞ্জে একটি সখের নাট্যদল তৈরি করেছিলেন। নাটকের প্রয়োজনে তিনি নানা ধরণের বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এসব বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কৌশল তিনি আয়ত্ত্ব করেছিলেন। এছাড়া তিনি অনেককে এসকল বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখিয়েছিলেন। এছাড়া কণ্ঠসঙ্গীতেও সুনাম অর্জন করেছিলেন। এই সূত্রে তিনি একটি সঙ্গীতের দলও তৈরি করেছিলেন।

ধীরেন্দ্রচন্দ্র এবং তাঁর ভাই বীরেন্দ্রনাথ  ও ছোটবোন কমলার সঙ্গীত ও অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়েছিল পিতা কালীচরণ দাসের কাছে। এঁদের ভিতরে ধীরেন্দ্র শৈশবে সঙ্গীত ও নাটকের প্রতি এতটাই আগ্রহী উঠেছিলেন যে, তাঁর পিতা সন্তানের ভবিষ্যৎ-কল্যাণের বিষয়ে শংকিত হয়ে পড়েন। তাই তিনি নাট্য ও সঙ্গীতের দল ভেঙে দেন এবং সকল বাদ্যযন্ত্র বিক্রয় করে দেন। এই ব্যবস্থা নেওয়ার পরও সঙ্গীত ও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহের ভাটা পড়লো না।

লেখাপড়ার জন্য তাঁকে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় শ্রীকৃষ্ণ পাঠশালায়। স্কুলের লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি সঙ্গীত ও অভিনয় চর্চা অব্যাহত রেখেছিলেন। এই সময় তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন- বিষ্ণুপুর ঘরানার প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী। ধীরেন্দ্রচন্দ্রের সঙ্গীতের প্রতি প্রবল আগ্রহ থেকে তিনি প্রথাগতভাবে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাঠ দেওয়া শুরু করেন।

সঙ্গীত ও অভিনয়ের নেশা ছোটানোর জন্য কালীচরণ দাস পুত্রের বিবাহ দেওয়ার সিন্ধান্ত নেন। ধীরেন্দ্রচন্দ্রের প্রবেশিকা পরীক্ষার আগেই পিতার ইচ্ছা পূরণ করে বিজয়া দেবীকে বিবাহ করেন।

প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পর তিনি ভর্তি বিদ্যাসাগর কলেজের আইএ শ্রেণিতে। এই কলেজে ভর্তি হওয়ার পর তিনি নাট্যকলার অধ্যাপক হিসেবে পান, সে সময়ের প্রখ্যাত অভিনেতা শিশিরকুমার ভাদুরী-কে। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ৬ আগস্ট (বুধবার ২১ শ্রাবণ ১৩৩১) নাট্যমন্দিরে মঞ্চায়িত যোগেশ চৌধুরীর সীতা নাটকে শিশিরকুমারের অভিনয়ে দেখে মুগ্ধ হন। এই সূত্রে তিনি তাঁর এক বন্ধুর সাথে শিশিরকুমারের কাছে অভিনয় শেখার জন্য যান। শিশিরকুমার বলেন যে, পেশাদার অভিনেতা হওয়ার জন্য শিক্ষা দিতে প্রস্তুত আছেন। নতুবা নয়। ধীরেন্দ্রচন্দ্র তাতেই রাজী হয়ে- পেশাদার অভিনেতা হওয়ার কথা তাঁর পরিবারের কাছে উত্থাপন করেন। ইতিমধ্যে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়েছিল। পরিবারের সদস্য ছিলেন তাঁর মা, দুই ভাইবোন ও স্ত্রী। এঁরা ধীরেন্দ্রচন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সায় দিলেন না। এই সময় তিনি একটি ব্যাংকে চাকরি করতেন। এই চাকরি ত্যাগ করে এবং পরিবারের সকলের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে  শিশিরকুমারের কাছে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। অবশ্য একেবারে বেকার তিনি ছিলেন না। কারণ, ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে তিনি গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানিতে (এইচএমভি) সহকারী সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।

১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ

১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ

১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ
এই বছরে এইচএমভি থেকে তাঁর গাওয়া দুটি রেকর্ড চারটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলো হলো

গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি নজরুলের গান রেকর্ডে প্রকাশের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে। নজরুল তখন থাকতেন জেলেটোলার নলিনীকান্ত সরকারের বাড়িতে। সম্ভবত নলিনীকান্ত সরকারের উদ্যোগে তাঁর বাড়িতে গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডিং ম্যানেজার ভগবতী ভট্টাচার্যের সাথে এই বিষয়ে প্রথম আলাপ হয়। মার্চ মাসে নজরুল কিছু শর্তসাপাক্ষে গ্রামোফোন  কোম্পানিতে যোগদান করেন। এই শর্তগুলো ছিল-

উল্লেখিত শর্তে গ্রামোফোন কোম্পানি রাজি হলে- নজরুল ধীরেন্দ্রচন্দ্রকে তাঁর রচিত গান শেখানো শুরু করেন। এই থেকে ধীরেন্দ্রনাথ হয়ে উঠলেন নজরুলের গানের প্রশিক্ষক, সুরকার, শিল্পী, সঙ্গীত-পরিচালক। গানের বাইরে তিনি নজরুলের কবিতা আবৃত্তিও করেছিলেন রেকর্ডে। ধীরেন্দ্রনাথ দ্রুত গান তুলে নিতে পারতেন বলে- নজরুল তাঁর নাম দিয়েছিলেন- শ্রুতিধর।

১৪ই এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদযাপন করার জন্য কৃষ্ণনগরে গিয়েছিলেন  দিলীপকুমার রায় এবং নলিনীকান্ত সরকার। নজরুল কলকতায় থেকে গিয়েছিলেন গ্রামোফোন কোম্পানির কাজে। চিঠিতে তিনি ২০ এপ্রিল (শুক্রবার ৭ বৈশাখ ১৩৩৫), বিকেল ৪টা থেকে ৫টার ভিতরে গ্রামোফোন কোম্পানির কাছে ৪টি গান ও নারী কবিতার আবৃত্তি জমা দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। এই কবিতাটি নজরুল নিজেই আবৃত্তি করেছিলেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তাঁর নজরুল জীবনী গ্রন্থে লিখেছেন-

‌'...নজরুলের প্রশিক্ষণে প্রথম প্রকাশিত নজরুল-সঙ্গীত-এর রেকর্ডে আঙুরবালার গাওয়া দুটি গান ছিল, ‌'ভুলি কেমনে‌' ও 'এত জল ও কাজল‌', আরো ছিল নজরুলের স্বরচিত স্বকণ্ঠে আবৃত্তি 'নারী' কবিতা এবং কে. মল্লিকের গাওয়া 'বাগিচায় বুলবুলি তুই' এবং 'আমারে চোখ ইশরায় ডাক দিল হায়।' ঐ সব গান ও আবৃত্তির রেকর্ড হয়েছিল ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের দিকে আর প্রকাশিত হয়েছিল শেষ দিকে।
এই প্রশিক্ষণের সূত্রে নজরুলের রচিত চারটি গান- ধীরেন্দ্রনাথ নজরুলের কাছ থেকে শিখে নিয়ে, তা  আঙ্গুরবালা কাসেম মল্লিক-কে শিখিয়েছিলেন। এই গানগুলো সম্ভবত রেকর্ড হয়েছিল এপ্রিল মাসে। তবে বিক্রয়ের জন্য প্রকাশিত হয়েছিল জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে। নজরুলের রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকায় এই দুটি গান ছিল যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ। উল্লেখ্য আগে নজরুলের গানের দুটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল- হরেন্দ্রনাথ দত্তের কণ্ঠে।

১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে কাসেম মল্লিক কমলা ঝরিয়াকে কলকাতায় নিয়ে আসেন এবং এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি প্রথম গান রেকর্ড করেন হিজ মাস্টার্স ভয়েসে।  এই রেকর্ডটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩৭)। এই রেকর্ডে ১টি গান ছিল ধীরেন্দ্রনাথের রচিত। গানটি হলো- ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ

'অধুনালুপ্ত ম্যাডান থিয়েটার্স লিমিটেড প্রযোজিত 'বিষ্ণুমায়া' ও 'প্রহ্লাদ চরিত্র' নামক দুইখানা পৌরাণিক চিত্রে কাজী নজরুল রচিত কয়েকটি অতি সুখশ্রাব্য গীত তাহার সতীর্থ ও অনুরাগী শ্রীধীরেন্দ্র নাথ দাসের কণ্ঠে গীত হইয়া যে মোহন মায়াজাল রচনা করিয়াছিলেন, তাহা আজ ৩৭ বৎসর পরেও আমাদের কানে ধ্বনিত হইতেছে।'
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ
গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানির সাথে কাজী নজরুল ইসলাম-এর একটি মামলা হয়। মামলার বিষয় ছিল গীতিকার এবং শিক্ষক হিসেবে স্বত্তাধিকার। এই মামলায় জয় লাভ করার পর নজরুল ইসলাম-এর সাথে গ্রামোফোন কোম্পানির তিক্ততার সৃষ্টি হয়। ফলে তিনি গ্রামোফোন কোম্পানি ত্যাগ করে মেগাফোন রেকর্ডের সাথে চুক্তবদ্ধ হন। এই সময় কাজী নজরুল ইসলাম- এবং তাঁর সাথে আব্বাসউদ্দীন আহমদ, ধীরেন্দ্রনাথ দাস সহ বেশকিছু স্বনামধন্য শিল্পী যোগদান করেছিলেন।

আসাদুল হক-এর রচিত 'নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন দাস' গ্রন্থে উল্লেখ আছে- 'মেগাফোন কোম্পানির পিছনের বাড়ির দোতলায় একটি কামরায় এক সন্ধ্যায় ঘটা করে মেঝেতে শতরঞ্জি বিছানো হলো। শতরঞ্জির চার কোণা ধরলেন প্রখ্যাত চারজন। ১. নজরুল, ২. ধীরেন দাস, ৩. হীরেন বসু ও ৪. মেগা ঘোয। এই গানের প্রথম রেকর্ড ছিল নজরুলের।'  [পৃষ্ঠা: ৪৯]

১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর  (১৬ ভাদ্র-১৫ আশ্বিন ১৩৩৯) মাসে নজরুল ইসলাম-এর রচিত এই দুটি গানের রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। দুটি গানের শিল্পীই ছিলেন ধীরেনদাস। এই বছরের ডিসেম্বর মাসে তাঁর আরও একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। নিচে এই দুটি রেকর্ডে প্রকাশিত ৪টি গানের তালিকা দেওয়া হলো।

১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ

১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ

১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ

১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ

১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ

১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় আহত হন। তারপর তিনি পঙ্গু অবস্থায় দীর্ঘদীন শয্যাশায়ী ছিলেন। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

রেকরডে তাঁর গাওয়া নজরুল সঙ্গীতের বর্ণানুক্রমিক তালিকা

  1. আজ ভারতের নব আগমনী [তথ্য] মেগাফোন। ডিসেম্বর ১৯৩২। জেএনজি ২৬।
  2. আজি অলি ব্যাকুল ওই বকুলের ফুলে [তথ্য] এইচএমভি। নভেম্বর ১৯৩২। এন ৭০৫৪।
  3. আমার কোন কূলে আজ ভিড়লো তরী [তথ্য] এইচএমভি। এপ্রিল ১৯৩২। এন ৪১৮৭। 
  4. আমার গহীন জলের নদী [তথ্য] এইচএমভি। জুন ১৯৩২। এন ৭০০২। মহুয়া নাটকের গান
  5. আমি ভাই ক্ষ্যাপা বাউল, আমার দেউল [তথ্য] এইচএমভি। জানুয়ারি ১৯৩২। এন ৩৮৩৩।
  6. এ জনমে মোদের মিলন [নজরুল ইসলাম] [তথ্য] টুইন [অক্টোবর ১৯৩২। এফটি ২২২৮
  7. ও মন চল অকূল পানে [তথ্য] এইচএমভি। জুলাই ১৯৩২ । এন ৭০১১। শিল্পী: ধীরেন দাস ও বীণাপাণি
  8. কে এলে মোর ব্যথার গানে [তথ্য] এইচএমভি। এপ্রিল ১৯৩২। এফটি ৪১৮৭। 
  9. তোমায় কূলে তুলে বন্ধু [তথ্য] এইচএমভি। জুন ১৯৩২। এন ৭০০২। সাবিত্রী নাটকের গান
  10. এত কথা কি গো কহিতে জানে [তথ্য]। এইচএমভি। মার্চ ১৯৩৩। এন ৭০৮৭।
  11. প্রাণের প্রিয়তম ঠাকুর  [তথ্য] এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৩৬। এন ৯৮২৪। ।
  12. এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ [তথ্য] এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৩৬। এন ৯৮২৪।
  13. আজি মিলন বাসর প্রিয়া [তথ্য] এইচএমভি। আগষ্ট ১৯৩৩। এন ৭১৩৩।
  14. চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ (ঊর্ধ্বগগনে)  [তথ্য] ।এইচএমভি। সেপ্টেম্বর ১৯৩৩এন ৭১৫৫।

  15. কিশোর রাখালবেশে মেষ চারণে যায় নবী [তথ্য] এইচএমভি ।মার্চ ১৯৩৪। এন ৭২০২। গণি মিঞা ছদ্মনাম
  16. অকূল তুফানে নাইয়া কর পার  [তথ্য] এইচএমভি। জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪৪। গণি মিঞা ছদ্মনাম
  17. একলা ভাসাই গানের কমল  [তথ্য] এইচএমভি। জুলাই ১৯৩৪। এন ৭২৪৮।
  18. এসেছি তব দ্বারে [তথ্য] এইচএমভি। জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪৪। গণি মিঞা ছদ্মনামে।
  19. বনে যায় আনন্দ দুলাল [তথ্য] এইচএমভি। এন ৭২৯৪ (শারদীয়া রেকর্ড)। শিল্পী: ধীরেন দাস।
  20. বাঁশী বাজাবে কবে আবার বাঁশরীওয়ালা [তথ্য] [নমুনা]
  21. মেষ চারণে যায় নবী কিশোর রাখাল(কিশোর রাখাল) [তথ্য] এইচএমভি । মার্চ ১৯৩৪। এন ৭২০২। গণি মিঞা ছদ্মনামে গানটি রেকর্ড হয়েছিল।
  22. এসো হে সজল শ্যাম-ঘন দেয়া [তথ্য] এইচএমভি জুলাই ১৯৩৬। এফটি ৯৭৪৪। সহশিল্পী: ইন্দুবালা।

  23.  
ধীরেন্দ্রনাথের সুরারোপিত গানের তালিকা

  1. অকূল তুফানে নাইয়া কর পার  [তথ্য] এইচএমভি। জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪৪। গণি মিঞা ছদ্মনামে গানটি প্রকাশিত হয়েছল।
  2. কালো মেয়ের পায়ের তলায় [তথ্য]টুইন। জুন ১৯৩২। এফটি ২০৩১। শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ
  3. আর লুকাবি কোথা মা কালী  [তথ্য] টুইন। জুন ১৯৩২। এফটি ২০৩১। শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ
  4. উতল হ'ল শান্ত আকাশ [তথ্য] এইচএমভি। সেপ্টেম্বর ১৯৩৬। এন ৯৭৭৭। শিল্পী: মড কস্টেলো
  5. একলা ভাসাই গানের কমল  [তথ্য] এইচএমভি। জুলাই ১৯৩৪। এন ৭২৪৮। শিল্পী: ধীরেন্দ্রনাথ দাস
  6. এসো হে সজল শ্যাম-ঘন দেয়া [তথ্য] এইচএমভি জুলাই ১৯৩৬। এফটি ৯৭৪৪। শিল্পী: ধীরেন দাস ও ইন্দুবালা।
  7. এসেছি তব দ্বারে [তথ্য] এইচএমভি। জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪৪। শিল্পী: গণি মিঞা ছদ্মনামে।
ধীরেন্দ্রনাথের পরিচালানায় প্রকাশিত গানের তালিকা

  1. ঈদের খুশির তুফানে আজ [তথ্য] ] ঈদল ফেতর। রেকর্ড নাটক। এইচএমভি ডিসেম্বর ১৯৩৬ । এন ৯৮২৪। শিল্পী: দলগত গান। কোরাস (মহিলা কণ্ঠ)।
  2. এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ [তথ্য] ঈদল ফেতর। রেকর্ড নাটক। এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৩৬ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৩)। এন ৯৮২৩। শিল্পী: ধীরেন্দ্রনাথ দাস। পরিচালনা: ধীরেন্দ্রনাথ দাস।
  3. প্রাণের প্রিয়তম ঠাকুর  [তথ্য] ঈদল ফেতর। রেকর্ড নাটক। এইচএমভিভি এন ৯৮২৪। শিল্পী: ধীরেন্দ্রনাথ দাস। চরিত্র: ফকির।]
রেকরডে কাজী নজরুল ইসলামের গানে গেয়ে তিনি শিল্পী ও সুরকার হিসবে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেছিলেন।