[১৯০৩-১৯৬১]
সঙ্গীতশিল্পী (মঞ্চ, বেতার, রেকর্ড, চলচ্চিত্র), সঙ্গীত
পরিচালক, সুরকার, গীতিকার ও মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা।
সংক্ষিপ্ত নাম ধীরেন দাস। রেকর্ডে ইসলামি গান গেয়েছিলেন 'গণি
মিঞা' ছদ্ম নামে।
১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের ৪ আগষ্ট কলকাতায় তাঁর মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম
কালীচরণ দাস। মায়ের নাম প্রভাবতী দাস। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন জ্যৈষ্ঠ। অপর
ভাইয়ের নাম ছিল- বীরেন্দ্রচন্দ্র দাস এবং বোন কমলা দাস।
এঁর আদি নিবাস ছিল- হুগলী জেলার পাণ্ডয়া। তিনি বর্ধমান জেলার রানীগঞ্জ
বেঙ্গল কোল কোম্পানির নায়েব ছিলেন। তিনি তাঁর কর্মস্থল রানীগঞ্জে একটি সখের নাট্যদল
তৈরি করেছিলেন। নাটকের প্রয়োজনে তিনি নানা ধরণের বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এসব
বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কৌশল তিনি আয়ত্ত্ব করেছিলেন। এছাড়া তিনি অনেককে এসকল
বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখিয়েছিলেন। এছাড়া কণ্ঠসঙ্গীতেও সুনাম অর্জন করেছিলেন। এই
সূত্রে তিনি একটি সঙ্গীতের দলও তৈরি করেছিলেন।
ধীরেন্দ্রচন্দ্র এবং তাঁর ভাই বীরেন্দ্রনাথ ও
ছোটবোন কমলার সঙ্গীত ও অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়েছিল পিতা
কালীচরণ দাসের কাছে। এঁদের ভিতরে ধীরেন্দ্র শৈশবে সঙ্গীত ও নাটকের প্রতি এতটাই
আগ্রহী উঠেছিলেন যে, তাঁর পিতা সন্তানের ভবিষ্যৎ-কল্যাণের বিষয়ে
শংকিত হয়ে পড়েন। তাই তিনি নাট্য ও সঙ্গীতের দল ভেঙে দেন এবং সকল বাদ্যযন্ত্র বিক্রয়
করে দেন। এই ব্যবস্থা নেওয়ার পরও সঙ্গীত ও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহের ভাটা পড়লো না।
লেখাপড়ার জন্য তাঁকে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় শ্রীকৃষ্ণ পাঠশালায়। স্কুলের
লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি সঙ্গীত ও অভিনয় চর্চা অব্যাহত রেখেছিলেন। এই সময় তাঁদের
প্রতিবেশী ছিলেন- বিষ্ণুপুর ঘরানার প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী।
ধীরেন্দ্রচন্দ্রের সঙ্গীতের প্রতি প্রবল আগ্রহ থেকে তিনি
প্রথাগতভাবে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাঠ দেওয়া শুরু করেন।
সঙ্গীত ও অভিনয়ের নেশা ছোটানোর জন্য কালীচরণ দাস পুত্রের
বিবাহ দেওয়ার সিন্ধান্ত নেন। ধীরেন্দ্রচন্দ্রের
প্রবেশিকা পরীক্ষার আগেই পিতার ইচ্ছা পূরণ করে বিজয়া দেবীকে বিবাহ করেন।
প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পর তিনি ভর্তি বিদ্যাসাগর কলেজের আইএ শ্রেণিতে। এই
কলেজে ভর্তি হওয়ার পর তিনি নাট্যকলার অধ্যাপক হিসেবে পান, সে সময়ের প্রখ্যাত অভিনেতা
শিশিরকুমার ভাদুরী-কে।
১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ৬ আগস্ট (বুধবার ২১ শ্রাবণ ১৩৩১) নাট্যমন্দিরে মঞ্চায়িত যোগেশ
চৌধুরীর সীতা নাটকে শিশিরকুমারের অভিনয়ে দেখে মুগ্ধ হন। এই
সূত্রে তিনি তাঁর এক বন্ধুর সাথে
শিশিরকুমারের কাছে অভিনয় শেখার
জন্য যান।
শিশিরকুমার বলেন যে, পেশাদার অভিনেতা হওয়ার জন্য শিক্ষা দিতে
প্রস্তুত আছেন। নতুবা নয়। ধীরেন্দ্রচন্দ্র তাতেই রাজী হয়ে- পেশাদার অভিনেতা হওয়ার
কথা তাঁর পরিবারের কাছে উত্থাপন করেন। ইতিমধ্যে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়েছিল। পরিবারের
সদস্য ছিলেন তাঁর মা, দুই ভাইবোন ও স্ত্রী। এঁরা ধীরেন্দ্রচন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে
সায় দিলেন না। এই সময় তিনি একটি ব্যাংকে চাকরি করতেন। এই চাকরি ত্যাগ করে এবং
পরিবারের সকলের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে
শিশিরকুমারের কাছে অভিনয়ের
প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। অবশ্য একেবারে বেকার তিনি ছিলেন না। কারণ, ১৯২৪
খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে তিনি
গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানিতে (এইচএমভি)
সহকারী সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ
- এই বছরে
শিশিরকুমার ভাদুরীর প্রশিক্ষণে এবং পরিচালনায়
কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মঞ্চস্থ 'রঘুবীর' নাটক। উল্লেখ্য এই সময় নাটকের সকল নারী
চরিত্র অভিনয় করেছিলেন ছাত্ররা। এই নাটকে ধীরেন্দ্রচন্দ্র নায়িকা শ্যামলীর ভূমিকায়
অভিনয় করে দর্শক-নন্দিত হন। এই নাটকে তিনি 'কে তোরে বলে কালো কে তোরে বলে ভীষণ'
গানটি পরিবেশন করে প্রশংসিত হন।
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ
- শিশির কুমার ম্যাডোনা থিয়েটারসের
কর্ণওয়ালিস থিয়েটার-
তিন বছরের জন্য লিজ নেন। এই সময় কর্নাওয়ালিস থিয়েটারের পরিবর্তন
করে নতুন নাম দেন 'নাট্যমন্দির'।
এই নাট্দলকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। ফলে সামায়িকভাবে
শিশিরকুমারের
কাছে তাঁর
প্রশিক্ষণে বাধা পড়ে। কিন্তু তিনি তাঁর
শিশিরকুমারের
সাথে যোগাযোগ
অক্ষুণ্ণ রাখেন। এই সূত্রে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে যখন
নাট্যমন্দিরে
যোগেশচৌধুরীর 'সীতা' মঞ্চস্থ হয়, তখন তিনি এই নাটকে 'লব' চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ
লাভ করেন।
এই বছরেই
নাট্যমন্দিরের
পরিবেশিত
গিরিশচন্দ্র ঘোষের
'পাণ্ডেবের অজ্ঞাতবাস' নাটকে অভিমন্যু চরিত্রে অভিনয় করেন। উল্লেখ্য নাটকটি মঞ্চস্থ
হয়েছিল ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জুন।
এই নাটকের অভিনয় এবং গানের জন্য তিনি প্রসংশিত হন। এই বছরে ১লা ডিসেম্বর (১৫
অগ্রহায়ণ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) মঞ্চস্থ হয়
ক্ষীরোদপ্রসাদের 'নরনারায়ণ' নাটক। এই নাটকে তিনি বৃষকেতু চরিত্রে
অভিনয় করেন।
এই নাটকের
তাঁর গাওয়া 'মন্দিরে একা বসে' এবং 'কোন ব্রজে কানু' অসম্ভব জনপ্রিয়তা
পেয়েছিল।
তাঁর গানের জনপ্রিয়তা দেখে
গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি তাঁর গানের রেকর্ড প্রকাশের উদ্যোগ
নেন।
- গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানিতে চাকরির সূত্রে সেকালের বিখ্যাত
রেকর্ড-শিল্পীদের (কে. মল্লিক, কৃষ্ণচন্দ্র দে, আঙুরবালা, ইন্দুবালা প্রমুখ)
সাথে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। এই সময় এইচএমভির রেকর্ডিং স্টুডিও ছিল কলকাতার বেলেঘাটায়।
আর মহড়া হতো চিৎপুরের গরানহাটায় অবস্থিত বিষ্ণুভবনে। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে 'নরনারায়ণ' নাটকের উল্লেখিত
গান দুটি এইচএমভি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। রেকর্ড নম্বর পি-৮৭৩২।
১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ
- এই বছরের জুন মাসে মঞ্চস্থ হয়
গিরিশচন্দ্র ঘোষের
'প্রফুল্ল'। এই নাটিকে ধীরেম্দ্রনাথ 'শিবনাথ'-এর চরিত্রে অভিনয় করেন। এ নাটকেও
তিনি গান গেয়েছিলেন। এই বছরে এইচএমভি থেকে তাঁর প্রথম রেকর্ড
প্রকাশিত হয়। এর নম্বর ছিল- পি৮৭৩। এই রেকর্ডে তাঁর গাওয়া দুটি গান ছিল-
- মন্দিরে একা বসে
- কোন বেণুতে ব্রজে কানাই
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ
এই বছরে এইচএমভি থেকে তাঁর গাওয়া দুটি
রেকর্ড চারটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলো হলো
- এইচএমভি। পি-৯৬৭৪। বসন্তলীলা (হোলির গান)
- রঙে বাউল সেজে
এলাম
- আনন্দ আজ সেজে
এলো
- এইচএমভি।
পি-১১৫১৬।
স্বদেশী গান
- আমার সোনার বাংলা
কাঙাল কিসে
- কোন দেশেতে তরুলতা
গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি নজরুলের গান রেকর্ডে প্রকাশের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে। নজরুল তখন থাকতেন জেলেটোলার
নলিনীকান্ত সরকারের বাড়িতে। সম্ভবত নলিনীকান্ত সরকারের উদ্যোগে তাঁর বাড়িতে
গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডিং ম্যানেজার ভগবতী ভট্টাচার্যের সাথে এই বিষয়ে প্রথম
আলাপ হয়। মার্চ মাসে নজরুল কিছু শর্তসাপাক্ষে গ্রামোফোন কোম্পানিতে যোগদান
করেন। এই শর্তগুলো ছিল-
- নজরুল উচ্চ হারে রয়্যালিটি পাবেন।
- তাঁর রচিত সকল গানের সুরারোপ করবেন তিনি নিজেই।
- তিনি প্রতিটি গান প্রথমে শেখাবেন তাৎকালীন
এইচএমভি সহকারী সঙ্গীত পরিচালক
ধীরেন্দ্রনাথ দাসকে। ধীরেন্দ্রনাথের কণ্ঠের এই গান নজরুলের পছ্ন্দ হলে,
ধীরেন্দ্রনাথই তা অন্যান্য শিল্পীদের শেখাবেন।
উল্লেখিত শর্তে গ্রামোফোন কোম্পানি রাজি হলে- নজরুল ধীরেন্দ্রচন্দ্রকে তাঁর রচিত
গান শেখানো শুরু করেন। এই থেকে ধীরেন্দ্রনাথ হয়ে
উঠলেন নজরুলের গানের প্রশিক্ষক, সুরকার, শিল্পী, সঙ্গীত-পরিচালক। গানের বাইরে তিনি
নজরুলের কবিতা আবৃত্তিও করেছিলেন রেকর্ডে। ধীরেন্দ্রনাথ দ্রুত
গান তুলে নিতে পারতেন বলে- নজরুল তাঁর নাম দিয়েছিলেন- শ্রুতিধর।
১৪ই এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদযাপন করার জন্য কৃষ্ণনগরে গিয়েছিলেন দিলীপকুমার
রায় এবং নলিনীকান্ত সরকার। নজরুল কলকতায় থেকে গিয়েছিলেন গ্রামোফোন কোম্পানির কাজে।
চিঠিতে তিনি ২০ এপ্রিল (শুক্রবার ৭ বৈশাখ ১৩৩৫), বিকেল ৪টা থেকে ৫টার ভিতরে
গ্রামোফোন কোম্পানির কাছে ৪টি গান ও নারী কবিতার আবৃত্তি জমা দেওয়ার
আশা ব্যক্ত করেছেন। এই কবিতাটি নজরুল নিজেই আবৃত্তি করেছিলেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তাঁর নজরুল জীবনী গ্রন্থে লিখেছেন-
'...নজরুলের প্রশিক্ষণে প্রথম প্রকাশিত নজরুল-সঙ্গীত-এর
রেকর্ডে আঙুরবালার গাওয়া দুটি গান ছিল, 'ভুলি কেমনে' ও 'এত জল ও কাজল', আরো
ছিল নজরুলের স্বরচিত স্বকণ্ঠে আবৃত্তি 'নারী' কবিতা এবং কে. মল্লিকের গাওয়া 'বাগিচায়
বুলবুলি তুই' এবং 'আমারে চোখ ইশরায় ডাক দিল হায়।' ঐ সব গান ও আবৃত্তির রেকর্ড
হয়েছিল ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের দিকে আর প্রকাশিত হয়েছিল শেষ দিকে।
এই প্রশিক্ষণের সূত্রে নজরুলের রচিত চারটি গান- ধীরেন্দ্রনাথ নজরুলের কাছ থেকে শিখে নিয়ে, তা
আঙ্গুরবালা ও
কাসেম মল্লিক-কে শিখিয়েছিলেন। এই গানগুলো সম্ভবত রেকর্ড হয়েছিল এপ্রিল মাসে।
তবে বিক্রয়ের জন্য প্রকাশিত হয়েছিল জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে। নজরুলের রেকর্ডে
প্রকাশিত গানের তালিকায় এই দুটি গান ছিল যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ। উল্লেখ্য আগে
নজরুলের গানের দুটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল- হরেন্দ্রনাথ দত্তের কণ্ঠে।
- এইচএমভি [জুলাই ১৯২৮ (আষাঢ় ১৩৩৫)। পি ৯৯৭৪। শিল্পী:
আঙ্গুরবালা। সুর: নজরুল ইসলাম]
- ভুলি কেমনে আজো যে মনে [তথ্য]
- এত জল ও-কাজল চোখ
[তথ্য]
- এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯২৮ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩৪)। পি ১১৫১৮। শিল্পী:
কাসেম মল্লিক।
সুর নজরুল]
- বাগিচায় বুলবুলি তুই [তথ্য]
- আমারে চোখ ইশারায় [তথ্য]
১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে
কাসেম মল্লিক
কমলা ঝরিয়াকে
কলকাতায় নিয়ে আসেন এবং এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি প্রথম
গান রেকর্ড করেন হিজ মাস্টার্স ভয়েসে। এই রেকর্ডটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩০
খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩৭)। এই রেকর্ডে
১টি গান ছিল ধীরেন্দ্রনাথের রচিত। গানটি হলো-
- প্রিয় যেন প্রেম ভুলো না । এইচএমভি। এন ৩১৩৭।
শিল্পী:
কমলা ঝরিয়া
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ
- ম্যাডান
থিয়েটারের সবাক চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হন। এই বছরের ৩
আগষ্ট, জ্যোতিষ বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালিত 'ঋষির প্রেম', ছবিটি
ক্রাউন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এই ছবিতে তিনি বৈতালিকের ভূমিকায় অভিনয় ও গান করেন।
তবে তিনি কি কি গান করেছিলেন তার সন্ধান পাওয়া যায় নি।
- ২৯ শে ডিসেম্বর
ম্যাডান
থিয়েটারের প্রযোজনায় ক্রাউন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছায়াছবি
'প্রহ্লাদ'। ছবিটির পরিচালক ছিলেন প্রিয়নাথ গাঙ্গুলি। এই ছবিতে ধীরেন্দ্রনাথ অভিনয়
ও গান করেছিলেন। অশোককুমার মিত্র তাঁর 'নজরুল প্রতিভা পরিচতি' গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে
লিখেছেন-
'অধুনালুপ্ত ম্যাডান থিয়েটার্স লিমিটেড প্রযোজিত 'বিষ্ণুমায়া'
ও 'প্রহ্লাদ চরিত্র' নামক দুইখানা পৌরাণিক চিত্রে কাজী নজরুল রচিত কয়েকটি অতি
সুখশ্রাব্য গীত তাহার সতীর্থ ও অনুরাগী শ্রীধীরেন্দ্র নাথ দাসের কণ্ঠে গীত হইয়া
যে মোহন মায়াজাল রচনা করিয়াছিলেন, তাহা আজ ৩৭ বৎসর পরেও আমাদের কানে ধ্বনিত
হইতেছে।'
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ
- চলচ্চিত্র
- ২৬ মার্চ ক্রাউন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল।ম্যাডান থিয়েটারে প্রযোজনায়, জ্যোতিষ
বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত 'বিষ্ণুমায়া'
এই ছবিতে ধীরেন্দ্রনাথ নারদের ভূমিকায় অভিনয় ও গান করেছিলেন।
- রেকর্ড
- নজরুলের সাথে গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডিং কোম্পানির সাথে চুক্তি (১৯২৮
খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে) হয়েছিল যে, তাঁর রচিত গানে একমাত্র তিনিই সুর করবেন। এই
বছরের শুরুতেই নজরুল সেই চুক্তি ভঙ্গ করলেন। তিনি তাঁর রচিত দুটি গান 'কালো মেয়ের
পায়ের তলায়' এবং 'আর লুকাবি কত' গানের সুর করতে দিলেন
ধীরেন্দ্রনাথ দাসকে। এই দুটি
গানে এইচএমভি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল
মৃণালকান্তি
ঘোষের কণ্ঠে।
- নভেম্বর মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে নজরুল ইসলামের রচিত
রেকর্ড নাটক 'খাঁদু দাদু' প্রকাশিত হয়।
দুটি রেকর্ডে মোট ৪টি গান প্রকাশিত হয়েছিল। আসাদুল হক তাঁর 'নজরুলের
শ্রুতিধর ধীরেন দাস' গ্রন্থে [হাতে খড়ি, ঢাকা। জানুয়ারি ২০০৪। পৃষ্ঠা:
৬৩-৬৪] লিখেছেন- '...এই নাটকটিতে ধীরেন দাস অভিনয় করেন। এ তথ্য দিয়েছে
ধীরেন দাসের কনিষ্ঠ পুত্র, হিমাদ্রী দাস।'
- রেকর্ড অভিনয়:
- খাঁদুদাদু। নজরুলের রচিত রেকর্ড নাটিকা। জিটি ২০। এই নাটকে
ধীরেন্দ্রনাথ অভিনয় করেছিলেন।
- কানামাঝি ভোঁ ভোঁ। নজরুলের রচিত
রেকর্ড নাটিকা। জিটি ২২। এই নাটকে
ধীরেন্দ্রনাথ অভিনয় করেছিলেন।
- রেকর্ড তাঁর গাওয়া নজরুলের গান:
- এইচএমভি। এপ্রিল ১৯৩২ (চৈত্র ১৩৩৮- বৈশাখ ১৩৩৯)। এফটি ৪১৮৭। শিল্পী:
ধীরেন্দ্রনাথ দাস।
- কে এলে মোর ব্যথার গানে [তথ্য]
- আমার কোন কূলে আজ ভিড়লো তরী [তথ্য]
- এইচএমভি।
জুন ১৯৩২ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ) এন ৭০০২।
- আমার গহীন জলের নদী [তথ্য]
- তোমায় কূলে তুলে বন্ধু [তথ্য]
- টুইন। ডিসেম্বর ১৯৩২। এফটি
২৩২২। শিল্পী: ধীরেন দাস ও মানিকমালা
- তুমি ফুল আমি সুতো গাঁথিব মালা
[তথ্য]
- তোমারে চেয়েছি কত যুগ ধরি ধরি প্রিয়া [তথ্য]
- এইচএমভি। জিটি ৩৭। শিল্পী: শিশু মঙ্গল সমিতি। রেকর্ড নাটিকা: মাতৃস্ত্রোত্র।
এই নাটকে ধীরেন্দ্রনাথ দাস অভিনয় করেছিলেন।
- আয় সবে ভাই বোন'
[তথ্য]
- একদা এক হাড়ের গলা বাঘ ফুটিয়াছিল [তথ্য]
শিরোনাম: 'খোকার গল্প বলা'
গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানির সাথে
কাজী
নজরুল ইসলাম-এর একটি
মামলা হয়। মামলার বিষয় ছিল গীতিকার এবং শিক্ষক হিসেবে স্বত্তাধিকার। এই মামলায় জয়
লাভ করার পর
নজরুল ইসলাম-এর সাথে গ্রামোফোন কোম্পানির তিক্ততার সৃষ্টি হয়। ফলে তিনি
গ্রামোফোন কোম্পানি ত্যাগ করে
মেগাফোন
রেকর্ডের সাথে চুক্তবদ্ধ
হন।
এই সময়
কাজী
নজরুল ইসলাম- এবং তাঁর সাথে
আব্বাসউদ্দীন আহমদ,
ধীরেন্দ্রনাথ দাস সহ বেশকিছু স্বনামধন্য শিল্পী যোগদান করেছিলেন।
আসাদুল হক-এর রচিত
'নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন দাস' গ্রন্থে উল্লেখ আছে-
'মেগাফোন কোম্পানির পিছনের বাড়ির
দোতলায় একটি কামরায় এক সন্ধ্যায় ঘটা করে মেঝেতে শতরঞ্জি বিছানো হলো। শতরঞ্জির
চার কোণা ধরলেন প্রখ্যাত চারজন। ১. নজরুল, ২. ধীরেন দাস, ৩. হীরেন বসু
ও ৪. মেগা ঘোয। এই
গানের প্রথম রেকর্ড ছিল নজরুলের।' [পৃষ্ঠা: ৪৯]১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের
সেপ্টেম্বর (১৬ ভাদ্র-১৫ আশ্বিন ১৩৩৯) মাসে
নজরুল ইসলাম-এর
রচিত
এই দুটি
গানের রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। দুটি গানের শিল্পীই ছিলেন ধীরেনদাস। এই বছরের
ডিসেম্বর মাসে তাঁর আরও একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। নিচে এই দুটি রেকর্ডে
প্রকাশিত ৪টি গানের তালিকা দেওয়া হলো।
-
মেগাফোন। জেএনজি ১। শিল্পী ধীরেন দাস।
- জয় বাণী বিদ্যাদায়িনী জয় বাণী বিদ্যাদায়িণী [তথ্য]
- লক্ষ্মী মা তুই ওঠ্ গো আবার] [তথ্য]
- মেগাফোন। ডিসেম্বর ১৯৩২। জেএনজি ২৬। শিল্পী ধীরেন
দাস
- আজ ভারতের নব আগমনী [তথ্য]
- ত্রিংশ কোটি তব সন্তান ডাকে তোরে
[তথ্য]
১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ
- ২১ শে জানুয়ারি ইস্ট ইন্ডিয়া
ফিল্ম কোম্পানির প্রযোজনায়
রূপবাণী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছায়াছবি
যমুনা পুলিনে।
এই ছবিতে ধীরেনন্দ্রনাথ নারদের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ছবিটির প্রচার পত্র থেকে
জানা যায়, নারদের কণ্ঠে একটি গান ছিল। গানটি হলো-'বিরাট খেলিছে আজি নওল কিশোর'।
- এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এইচএমভি
নজরুলের রচিত পুতুলের বিয়ে নাটকের
রেকর্ড প্রকাশ করে। এই রেকর্ডের মোট ৮টি গান ছিল। এর ভিতরে
১টি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন ধীরেনচন্দ্র দাস। গানটি হলো-
- এইচএমভি। জিটি ২৭। শিল্পী: ধীরেন দাস
- হেড মাস্টারের ছড়ি, সেকেন্ড মাস্টারের দাড়ি [তথ্য]
- ১৫ এপ্রিল ইস্ট ইন্ডিয়া
ফিল্ম কোম্পানির প্রযোজনায় রূপবাণী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছায়াছবি
সাবিত্রী।
জ্যোতিষ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালিত এই ছবিতে ধীরেন দাস অভিনয় করেছিলেন নারদের ভূমিকায়।
এই ছবির গানগুলোতে সুরারোপ করেছিলেন- তুলসী লাহিড়ী ও ধীরেন দাস। গানগুলো লিখেছিলেন
নলিনী চট্টোপাধ্যায়। এই ছবির নারদের চরিত্রে ধীরেন দাস দুটি গান গেয়েছিলেন।
- রাধা কৃষ্ণ বল মুখে রাধা কৃষ্ণ বল।
- জ্বরা মরণের তিমির গগনে
- আগষ্ট মাসে রেকর্ড 'গণি মিঞ'
ছদ্মনামে দুটি গান দুটি গান পরিবেশন করেন।
- এইচএমভি। আগষ্ট ১৯৩৩। এন ৭১৩৫।
- তোমারি প্রকাশ মহান [তথ্য]
- মার্হাবা সৈয়দে মক্কী-মদিনী [তথ্য]
- সেপ্টেম্বর মাসে যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর রচিত শ্রুতি নাটক
'মীরাবাঈ' প্রকাশ করেছিল এইচএমভি।
এই নাটকে মেবারের রানা'র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দাস। 'এছাড়া
হরি নাচত নন্দদুলাল (নাচত নন্দদুলাল)
[এন ৭১৪৭।]
[তথ্য]'
-গানটির সুরারোপ করেছিলেন তিনি।
- এই বছরে ধীরেন্দ্রনাথ প্রথম নজরুলের দুটি গান সুর
করেছিলেন। গান দুটি হলো-
- কালো মেয়ের পায়ের তলায় [তথ্য]
এই গানটির প্রথম সুর করেছিলেন
নজরুল ইসলাম।
ভারতবর্ষ পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১৩৪০' সংখ্যায় এই গানের জগৎঘটক-কৃত স্বরলিপি
প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ধীরেন্দ্রনাথ দাস করেছিলেন। এই স্বরলিপিটি পুস্পপত্র
পত্রিকার ১০ম বর্ষ ১ম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
- আর লুকাবি কোথা মা কালী [তথ্য]
নজরুল প্রথম এই গানটির সুর করেছিলেন রামপ্রসাদী সুরে একতালাতে। পরে
ধীরেন্দ্রনাথ দাসের সুরারোপিত গানটি শোনেন। এই গানটির সুর বাগেশ্রী-একাতালাতে
নিবদ্ধ। এই গান শোনার পর, নজরুল ধীরেন্দ্রনাথের সুরকে গ্রহণ করেন। ভারতবর্ষ
পত্রিকার আশ্বিন ১৩৪০ সংখ্যায় ধীরেন্দ্রনাথ দাসের সুরারোপিত এই গানের স্বরলিপি
প্রকাশিত হয়েছিল। স্বরলিপিকার ছিলেন প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ
- এইচএমভি। ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪। জিটি ৪০।
- 'চার কালা' নামক শ্রুতি নাটক। রচয়িতা নজরুল ইসলাম।
এতে কণ্ঠ দান
করেছিলেন- নজরুল ইসলাম, ধীরেন দাস, রঞ্জিত রায়, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, লক্ষ্মী ও
সরস্বতী।
আসাদুল হক তাঁর 'নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন দাস' গ্রন্থ [হাতে খড়ি, ঢাকা।
জানুয়ারি ২০০৪। পৃষ্ঠা: ৬৪] থেকে জানা যায় এই তথ্য দিয়েছিলেন ধীরেন দাসের
কনিষ্ঠ পুত্র, হিমাদ্রী দাস।
- এইচএমভি। মার্চ ১৯৩৪।
এন ৭২০২। শিল্পী: গণি মিঞা (ধীরেন দাস)
- মেষ চারণে যায় নবী কিশোর রাখাল [তথ্য]
- তোমার বাণীরে করি নি গ্রহণ [তথ্য]
- এইচএমভি। জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪২। শিল্পী: আঙুরবালা ও ধীরেন দাস
- হের আহিরিণী মানস-গঙ্গা দুকূল পাথার [তথ্য]
শিল্পী: আঙুরবালা ও ধীরেন দাস
এইচএমভি। জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪৪। শিল্পী: গণি
মিঞা (ধীরেন দাস)। এই গানের সুরকার ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দাস
- অকূল তুফানে নাইয়া কর পার [তথ্য]
- এসেছি তব দ্বারে [তথ্য]
- এইচএমভি। জুলাই ১৯৩৪। এন ৭২৪৮।
- একলা ভাসাই গানের কমল [তথ্য]
- এইচএমভি। সেপ্টেম্বর
১৯৩৪। এন ৭২৭৬-৭২৭৮। যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর রচিত 'প্রতাপাদিত্য' নাটকের রেকর্ড
প্রকাশিত হয়। এই নাটকে ধীরেনচন্দ্র 'রামচন্দ্র'-এর চরিত্রে অভিনয় করেন।
- রেকর্ড কোম্পানি,
- এই আমাদের বাংলাদেশ [তথ্য]
- এইচএমভি। এন ৭২৭৯। শিল্পী: ধীরেন দাস ও আঙুরবালা
- দাও শৌর্য দাও ধৈর্য হে উদার নাথ [তথ্য]
- শুভ্র সমুজ্জ্বল হে চির নির্মল[তথ্য]
- এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩৪। এন ৭২৯৪ (শারদীয়া রেকর্ড)।
- বনে যায় আনন্দ দুলাল
[ [তথ্য]
- বাঁশী বাজাবে কবে আবার বাঁশরীওয়ালা
[তথ্য]
- এইচএমভি।
ডিসেম্বর ১৯৩৪ । এন ৭৩১৩।
- (ওরে) আজ ভারতের নব যাত্রাপথের [তথ্য]
এই গানের সুরকার ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দাস
- দে দোল্ দে দোল্ ওরে দে দোল্ দে দোল্ [তথ্য] এন ৭৩১৩।
এই গানের সুরকার ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দাস
- এইচএমভি।
ডিসেম্বর ১৯৩৪ । কৃষ্ণসখা সুদাম রেকর্ডে নাটিকা টুইন প্রকাশ করেন। রেকর্ড নম্বর
এফটি ৩৬৬৪-৩৬৭১। প্রযোজক: ধীরেন দাস।
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ
- এইচএমভি। ১লা জানুয়ারি। নজরলের সাথে রেকর্ড কোম্পানির চুক্তি হয়। এই
চুক্তিতে এই গানটি ছিল। রেকর্ডে প্রকাশিত হয় নি। রেকর্ড ছিল- এন ৭৩৩৬।
শিল্পী ধীরেন দাস ও হরিমতী]
- এইচএমভি। জানুয়ারি ১৯৩৫। এন ৭৩২৬, ৭৩২৭, ৭৩২৮। নজরুলের 'বিয়ে বাড়ি'
বা প্রীতি উপহার নাটিকা প্রকাশিত হয়। এটি মূলত গীতি প্রধান নাটিকা। এই নাটিকায়
প্রথম প্রথম বেয়াই (কনের বাবা) ভূমিকায় নজরুল কণ্ঠদান করেছিলেন। অন্যান্য
ভূমিকায় কণ্ঠদান করেন- কমলা ঝরিয়া, তুলসী চক্রবর্তী, ধীরেন দাস, নিভাননী,
বীণাপাণি মুখোপাধ্যায়, আশ্চর্যময়ী, সরযুবালা ও হরিমতি। এর ভিতরে দুটি গান ছিল
ধীরেন্দ্রনাথ দাসের। গান দুটির সহশিল্পী ছিলেন-মিস বীণাপাণি।
- এন ৭৩২৬। কোন ফুলের মালা দিই। শিল্পী: ধীরেন দাস। মিস বীণাপাণি [তথ্য]
- এন ৭৩২৮। মোরা ছিলাম একা আজ মিলিনু দুজনে। শিল্পী: ধীরেন দাস ও মিস
বীণাপাণি।[তথ্য]
- এইচএমভি। জুলাই ১৯৩৫। এন ৭৩৮৯।
- আমার হৃদয় মন্দিরে ঘুমায় [তথ্য]
- তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা [তথ্য]
-
এইচএমভি। আগষ্ট ১৯৩৫। এইচএমভি থেকে ৬টি রেকর্ডে (রেকর্ড নম্বর এন ৭৩৯৫-এন ৭৪০০
পর্যন্ত ) মন্মথ রায়ের রচিত লাইলী মজনু নাটকটি প্রকাশিত হয়েছিল। এই রেকর্ডগুলোতে
নজরুলের রচিত ও সুরারোপিত ১৩টি গান প্রকাশিত হয়েছিল। এর ভিতরে
ধীরেন্দ্রনাথের একক এবং দ্বৈতগান ছিল-
- এন ৭৩৯৫। লাইলী মজনু। প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড।
- তোমার সজল চোখে লেখা [তথ্য]
ধীরেন দাস ও হরিমতী
- (হায়) তুমি চলে যাবে দূরে লায়লী [তথ্য]
- এন ৭৩৯৬। লাইলী মজনু তৃতীয় ও চতুর্থ খণ্ড।
- আবার কেন বাতায়নে [তথ্য]।
লাইলী ও মজনুর গান। শিল্পী: ধীরেন দাস ও হরিমতী।
- এন ৭৩৯৭। লাইলী মজনু। পঞ্চম ও ষষ্ঠ খণ্ড।
- বনের হরিণ বনের হরিণ ওরে কপট চোর [তথ্য]।
মজনুর গান। শিল্পী: ধীরেন দাস
- রূপের কুমার জাগো [তথ্য]
সুন্দরীদের গান
- এন ৭৩৯৮। লাইলী মজনু। সপ্তম ও অষ্টম খণ্ড।
- ভোলো ভোলো গো লায়লী [তথ্য]।
মজনুর গান। শিল্পী: ধীরেন দাস
- আজকে শাদী বাদশাজাদীর [তথ্য]
সাকীর চরিত্র। শিল্পী: ইন্দুবালা। [শ্রবণ
নমুনা]
- এন ৭৩৯৯। লাইলী মজনু। নবম ও দশম খণ্ড।
- পিয়াল তরুতে হেরিয়াছিল [তথ্য]
মজনুর গান। শিল্পী ধীরেন দাস।
- তোমার বিবাহে আপনার হাতে [তথ্য]
মজনুর গান। শিল্পী ধীরেন দাস।
- বরের বেশে আসবে জানি [তথ্য]
লায়লীর গান। শিল্পী হরিমতী
- তোমার ডাক শুনেছি [তথ্য]
মজনুর গান। শিল্পী: ধীরেন দাস
- এন ৭৪০০। লাইলী মজনু। একাদশ ও চতুর্দশ খণ্ড।
- লায়লী গো এসো এসো [তথ্য]
মজনুর গান। ধীরেন দাস
- তোমার কবরে প্রিয় মোর তরে [তথ্য]
মজনুর গান। ধীরেন দাস
- টুইন। অক্টোবর ১৯৩৫ । এফটি ৪১০৮। শিল্পী:
গণি মিঞা (ধীরেন দাস)]
- লহ সালাম লহ দ্বীনের বাদশাহ [তথ্য]
- এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩৫। এন ৭৪৪৯-৭৪৫৭। এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে
বরদাপ্রসন্ন দাশগুপ্তের লেখা রেকর্ড নাটক 'সুভদ্রা' প্রকাশিত হয়েছিল। রেকর্ড
নম্বর এন ৭৪৪৯-৭৪৫৭। নাটকটি প্রযোজনা করেছিলেন বরদাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত। এই নাটকে
শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রের অভিনয় করেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ।
- চলচ্চিত্র
- দিক্দারি। পরিচালক জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই
ছবিতে ধীরেন্দ্রনাথ অভিনয় করেছিলেন। [সুত্র: নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন
দাস। আসাদুল হক। হাতেখড়ি। ঢাকা। জানুয়ারি ২০০৪]
১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ
- জানুয়ারি মাসে মন্মথ রায়ের রচিত 'নরমেধ' নামক একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল
টুইন রেকর্ড কোম্পানি। এই নাটকে ধীরেন্দ্রনাথ সম্রাটের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
এই নাটকে নজরুলের রচিত মোট ৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এর ভিতরে একটি সমবেত গানে
ধীরেন্দ্রনাথ কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
- এফটি ৪২১১। সমবেত গান। শিল্পী: নরেশচন্দ্র মিত্র, ইন্দু সেন, ধীরেন্দ্রনাথ
প্রমুখ
হে গোবিন্দ,হে গোবিন্দ ও রাঙা
[তথ্য]
- ১৪ মার্চি ইস্ট ইন্ডিয়া ফিল্ম কোম্পানির প্রযোজনায় মুক্তি পায়
ছায়াছবি 'পথের শেষে'। জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত এই ছবিতে ধীরেন
দাস 'জগা'র চরিত্রে অভিনয় ও গান করেছিলেন।
- এইচএমভি। জুলাই ১৯৩৬। এন ৯৭৪৪। ধীরেন দাস ও ইন্দুমালা
- এসো হে সজল শ্যাম-ঘন দেয়া [তথ্য]
- বেদনা-বিহ্বল পাগল পুবালি পবনে [তথ্য]
- আগষ্ট মাসে নজরুলের রচিত শিশুতোষ্ রেকর্ড নাটিক 'প্লানচেট' প্রকাশ করেছিল
এইচএমভি। এই নাটকের একমাত্র গানটি গেয়েছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ। গানটির সুরকার ছিলেন
নজরুল ইসলাম। ঘোষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন নজরুল ইসলাম।
এই নাটকের একমাত্র গানটি গেয়েছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ। গানটি হলো-
- এইচএমভি। আগষ্ট ১৯৩৬। এন ৯৭৬০।
- জয় ভূতনাথ হে দেব প্রলঙ্কর [তথ্য]
- সেপ্টেম্বর মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রকাশিত ৭টি রেকর্ডে
বিদ্যাপতি প্রকাশিত হয়েছিল। মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে
প্রকাশিত নজরুলের রচিত 'বিদ্যাপতি' ৭টি রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিটি গানের
সুরকার ছিলেন নজরুল ইসলাম। এর রেকর্ড নম্বর ছিল- এন ৯৭৬৬-৯৭৭২। এই নাটকে নারদের
ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দাস।
- ২১ অক্টোবর ইস্ট ইন্ডিয়া
ফিল্ম কোম্পানির প্রযোজনায়, দেবকী বসুর পরিচালিত
সোনার সংসার
মুক্তি পায়। এই ছবিতে ধীরেন দাস গো-শকট-চালকের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই ছবির গীতিকার
ছিলেন- শৈলেন্দ্রনাথ রায়। ছবিতে ধীরেন দাসের গান ছিল-
- এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩৬। এইচটি ৭৬। বাংলার ছেলেমেয়ে (ধীরেন দাস, সিদ্ধেশ্বরী
মুখোপাধ্যায় ও সুধীরা সেনগুপ্ত)
- আঁধার ভীত এ চিত যাচে [তথ্য]
- মা এলো রে মা এলো [তথ্য]
- নভেম্বর মাসে রেকর্ডে মন্মথ রায়ের রচিত 'সুরথ উদ্ধার' নাটক প্রকাশিত হয়েছিল।
এই নাটকে ধীরেন্দ্রনাথ তাপসগণের এক সদস্য হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। তিনি দুটি
সমবেত গানে অন্যান্য শিল্পীদের সাথে কণ্ঠদান করেছিলেন। গান দুটি হলো-
- এন ৯৮১০। সমবেত কণ্ঠের গান [ধীরেন্দ্রনাথ দাস ও অন্যান্য]।
[তথ্য]
- অন্নপূর্ণা মা এসেছে [তথ্য]
- এন ৯৮১৪। সমবেত কণ্ঠের গান। [ধীরেন্দ্রনাথ দাস ও অন্যান্য]
- এসেছে রে অধর্মের আজ-৮।
[তথ্য]
- ডিসেম্বর মাসে
এইচএমভি থেকে দুইটি রেকরডে
ঈদল ফেতর নাটিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল। এর রেকর্ড নম্বর ছিল- যথাক্রমে এন ৯৮২৩
এবং ৯৮২৪। নাটিকাটির চরিত্রগুলো ছিল- ফকির জমিদার, ইমতাজ, বদনার মা ও পথচারী।
ধীরেন্দ্রনাথ এই নাটকটি পরিচালনা এবং ফকিরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই
নাটকে ব্যবহৃত তিনটি গানেই তিনি কণ্ঠ দিয়েছিলেন। গান তিনটি হলো-
- এন ৯৮২৩। শিল্পী:
ধীরেন দাস। চরিত্র: ফকির।
ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
[তথ্য]
- এন ৯৮২৪। শিল্পী:
দলগত গান। ধীরেন্দ্রনাথ ও অন্যান্য
ঈদের খুশির তুফানে আজ [তথ্য]
- এন ৯৮২৪। শিল্পী:
ধীরেন দাস। চরিত্র: ফকির।]
প্রাণের প্রিয়তম ঠাকুর
[তথ্য]
১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ
- জুলাই মাসে বরদাপ্রসন্ন দাসগুপ্তের রচিত 'বিদ্যাসুন্দর' নাটকের রেকর্ড
প্রকাশ করেছিল টুইন রেকর্ড কোম্পানি। রেকর্ড নম্বর ছিল- এফটি ১২০৪০-১২০৪৪। আসাদুল হক তাঁর 'নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন দাস' গ্রন্থে [হাতে খড়ি, ঢাকা।
জানুয়ারি ২০০৪। পৃষ্ঠা: ৭২] লিখেছেন- 'ধীরেন দাসের
কনিষ্ঠ পুত্রের নিকট থেকে জানা যায়, এই নাটিকায় ধীরেন দুটি গান গেয়েছিলেন।
গানের বাণী জানা যায় নি।'
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ
- চলচ্চিত্র
- ১২ মার্চ 'রূপবাণী' প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মেট্রোপলিটান পিকচার্সের
প্রযোজিত এবং ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছায়াছবি 'হাল-বাংলা'।
এই ছবির আবহ-সঙ্গীত রচনা করেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দাস
- ১৩ আগষ্ট 'উত্তরা' প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মোতিমহল থিয়েটার্সের প্রযোজিত
এবং জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছায়াছবি 'বেকার নাশন'।
এই ছবির সুরকার ছিলেন কুমার মিত্র ও ধীরেন্দ্রনাথ দাস।
- ১২ নভেম্বর 'উত্তরা; প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মেট্রোপলিটান পিকচার্সের
প্রযোজিত এবং জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছায়াছবি 'খনা'।
এই ছবিতে 'ভৈরব' চরিত্রে অভিনয় করেন ধীরেন্দ্রনাথ দাস।
- ১৯ নভেম্বর 'শ্রী' প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ওরিয়েন্টার কিনোটন আর্টস
প্রযোজিত এবং জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত
একলব্য
। এই ছবির গীতিকার ছিলেন সত্য মুখোপাধ্যায়। গানগুলোতে সুরারোপ করেছিলেন
ধীরেন্দ্রনাথ। ছবিটিতে ব্যবহৃত গানগুলোর গীতিকার ছিলেন নীহারবিন্দু সেনগুপ্ত এবং
সুরকার ছিলেন
ধীরেন্দ্রনাথ দাস। এই ছবিতে তিনি ২টি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। গান দুটি হলো-
- রতন-করোজ্জ্বল বিভূষিত সভাতল
- জগত তোমার কীর্ত্তি ঘোষিছে
- জগাপিসি। পরিচালক: জানকী ভট্টাচার্য। বৈরাগী চরিত্রে
অভিনয় ও গান করেন। [সুত্র: নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন দাস। আসাদুল হক।
হাতেখড়ি। ঢাকা। জানুয়ারি ২০০৪]
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ
- চলচ্চিত্র
- ২১ জানুয়ারি 'রূপবাণী' প্রেক্ষাগৃহে রাধা ফিল্মের প্রযোজিত ও ফণী বর্ম্মা
পরিচালিত
ছায়াছবি
জনক-নন্দিনী মুক্তি পায়। ছবিটিতে ব্যবহৃত গানগুলোর সুরকার ছিলেন মৃণাল ঘোষ
ও ধীরেন্দ্রনাথ দাস। এছাড়া মাঝি চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন। এই চরিত্রের দুটি
গান তিনি গেয়েছিলেন।
- ওহে আমার প্রাণের ঠাকুর। গীতিকার: বরদাপ্রসন্ন। সুরকার ও শিল্পী:
ধীরেন্দ্রনাথ দাস
- ওকি কথা বলছ হে নাথ। গীতিকার: কৃষ্ণধন দে। সুরকার ও শিল্পী:
ধীরেন্দ্রনাথ দাস
- ১ এপ্রিল 'উত্তরা' প্রেক্ষাগৃহ ইস্ট ইন্ডিয়া ফিল্ম কোম্পানি প্রযোজিত ও
জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত
ছায়াছবি
যখের ধন
মুক্তি পায়। এই ছবির সুরকার ছিলেন শচীনদেব বর্মণ ও ধীরেন্দ্রনাথ দাস।
- ৭ এপ্রিল নিউ থিয়েটার প্রযোজিত ও
অমর মল্লিকের পরিচালিত ছায়াছবি
বড়দিদি
মুক্তি পায়। এই ছবিতে ধীরেনন্দ্রনাথ 'পাইক চরিত্রে
অভিনয় করেন।
- ৩০ জুন 'রূপবাণী' প্রেক্ষাগৃহে রাধা ফিল্মের প্রযোজিত ও জ্যোতিষ
বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত
ছায়াছবি
নরনারায়ণ
মুক্তি পায়। এই ছায়াছবিতে ধীরেন্দ্রনাথ ৩টি গানের সুর করেছিলেন। গানটি হলো-
- (সখি গো) চারু চাঁদ আজি [রচনা: নীহারবিন্দু সেনগুপ্ত, চরিত্র জয়ন্তী]
- হায় সখি মোর মরা হবে না [রচনা: নীহারবিন্দু সেনগুপ্ত, চরিত্র জয়ন্তী]
- সোনার আলোর রথে [রচনা: নীহারবিন্দু সেনগুপ্ত, চরিত্র সত্যভামা]
- সাঁঝের আঁধার এল [রচনা: নীহারবিন্দু সেনগুপ্ত, চরিত্র জাম্ববতীর
সখিবৃন্দ]
- মম যৌবন ফুল ব'নে [রচনা: নীহারবিন্দু সেনগুপ্ত, চরিত্র সত্যভামা]
- ২রা সেপ্টেম্বর
'শ্রী'
প্রেক্ষাগৃহে
দেবদত্ত ফিল্মস কোম্পানির প্রযোজিত
ও জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত
ছায়াছবি
রুক্মিণী
মুক্তি পায়। এই ছায়াছবিতে
ধীরেন্দ্রনাথ 'উদ্ভব' চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রে ১টি গানের উল্লেখ রয়েছে
রুক্মিণী
ছবির প্রচারপত্রে। গানটি হলো-
১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ
- চলচ্চিত্র
- ২৮ জুন
'উত্তরা' প্রেক্ষাগৃহে
এম.পি প্রডাকসন্স প্রযোজিত
ও
প্রমথেস বড়ুয়া পরিচালিত
ছায়াছবি
মায়ের প্রাণ
মুক্তি পায়। এই ছবির সহকারী
পরিচালক ছিলেন
ললিত ও ধীরেন্দ্রনাথ।
- পরিচয়।
পরিচালক নিতিন বসু। এই ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় নি। এই ছবিতে
ধীরেন্দ্রনাথ অভিনয় করেছিলেন। [সুত্র: নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন দাস। আসাদুল
হক। হাতেখড়ি। ঢাকা। জানুয়ারি ২০০৪]
১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দ
- চলচ্চিত্র
- ১০ আগষ্ট মিনার, বিজলী এবং ছবিঘর
' প্রেক্ষাগৃহে
চিত্র-ভারতী প্রযোজিত
ও
প্রতিভা শাসমল পরিচালিত
ছায়াছবি
নিবেদিতা
মুক্তি পায়। এই ছবিতে ধীরেন্দ্রনাথ
অভিনয় ।
১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ
- চলচ্চিত্র
- ২১ মে
বোসার্ট প্রোডাকসান্স প্রযোজিত
ও
পশুপতি চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত
ছায়াছবি
প্রিয়তমা,
মুক্তি পায়। এই ছবিতে ধীরেন্দ্রনাথ
অভিনয় ।
১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ
- ১৯ মে ইস্টল্যান্ড
পিকচার্সে প্রযোজিত
সুহৃদ ঘোষ পরিচালিত
ছায়াছবি
বড় বৌ
মুক্তি পায়। এই ছবিতে ধীরেন্দ্রনাথ
অভিনয় ।
১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ
- ভৈরবমন্ত্র। অভিনয়ে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় আহত হন। তারপর তিনি পঙ্গু
অবস্থায় দীর্ঘদীন শয্যাশায়ী ছিলেন। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
রেকরডে তাঁর গাওয়া নজরুল সঙ্গীতের বর্ণানুক্রমিক তালিকা
- আজ ভারতের নব আগমনী [তথ্য]
মেগাফোন। ডিসেম্বর
১৯৩২। জেএনজি ২৬।
- আজি অলি ব্যাকুল ওই
বকুলের ফুলে [তথ্য]
এইচএমভি। নভেম্বর ১৯৩২। এন ৭০৫৪।
- আমার কোন কূলে আজ ভিড়লো তরী [তথ্য]
এইচএমভি।
এপ্রিল ১৯৩২। এন ৪১৮৭।
- আমার গহীন জলের নদী
[তথ্য]
এইচএমভি। জুন ১৯৩২। এন ৭০০২।
মহুয়া নাটকের গান
- আমি ভাই ক্ষ্যাপা বাউল,
আমার দেউল [তথ্য]
এইচএমভি। জানুয়ারি ১৯৩২। এন ৩৮৩৩।
- এ জনমে
মোদের মিলন [নজরুল
ইসলাম] [তথ্য]
টুইন [অক্টোবর ১৯৩২। এফটি ২২২৮
- ও মন চল অকূল পানে [তথ্য] এইচএমভি। জুলাই
১৯৩২ । এন ৭০১১। শিল্পী: ধীরেন দাস ও বীণাপাণি
- কে এলে মোর ব্যথার গানে [তথ্য]
এইচএমভি। এপ্রিল ১৯৩২। এফটি ৪১৮৭।
- তোমায় কূলে তুলে বন্ধু
[তথ্য]
এইচএমভি। জুন ১৯৩২। এন ৭০০২। সাবিত্রী নাটকের গান
- এত কথা কি গো কহিতে জানে [তথ্য]।
এইচএমভি। মার্চ ১৯৩৩।
এন ৭০৮৭।
- প্রাণের প্রিয়তম ঠাকুর
[তথ্য]
এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৩৬। এন ৯৮২৪।
।
- এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ [তথ্য]
এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৩৬। এন ৯৮২৪।
- আজি মিলন বাসর প্রিয়া [তথ্য]
এইচএমভি। আগষ্ট
১৯৩৩। এন ৭১৩৩।
- চল্ চল্ চল্ চল্ চল্ চল্ (ঊর্ধ্বগগনে)
[তথ্য]
।এইচএমভি। সেপ্টেম্বর
১৯৩৩। এন ৭১৫৫।
- কিশোর রাখালবেশে মেষ চারণে যায় নবী
[তথ্য]
এইচএমভি ।মার্চ
১৯৩৪। এন ৭২০২।
গণি মিঞা ছদ্মনাম
- অকূল তুফানে নাইয়া কর পার
[তথ্য]
এইচএমভি। জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪৪। গণি মিঞা
ছদ্মনাম
- একলা ভাসাই গানের কমল [তথ্য] এইচএমভি। জুলাই
১৯৩৪। এন ৭২৪৮।
- এসেছি তব দ্বারে [তথ্য]
এইচএমভি।
জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪৪। গণি মিঞা ছদ্মনামে।
- বনে যায় আনন্দ দুলাল
[তথ্য]
এইচএমভি। এন ৭২৯৪ (শারদীয়া
রেকর্ড)। শিল্পী: ধীরেন দাস।
- বাঁশী বাজাবে কবে আবার বাঁশরীওয়ালা
[তথ্য]
[নমুনা]
- মেষ চারণে যায় নবী কিশোর রাখাল(কিশোর
রাখাল) [তথ্য]
এইচএমভি । মার্চ ১৯৩৪। এন ৭২০২। গণি মিঞা
ছদ্মনামে গানটি রেকর্ড হয়েছিল।
- এসো হে সজল শ্যাম-ঘন দেয়া [তথ্য] এইচএমভি জুলাই
১৯৩৬। এফটি ৯৭৪৪। সহশিল্পী: ইন্দুবালা।
ধীরেন্দ্রনাথের সুরারোপিত গানের তালিকা
- অকূল তুফানে নাইয়া কর পার [তথ্য]
এইচএমভি। জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪৪। গণি মিঞা
ছদ্মনামে গানটি প্রকাশিত হয়েছল।
- কালো মেয়ের পায়ের তলায় [তথ্য]টুইন। জুন ১৯৩২। এফটি ২০৩১। শিল্পী:
মৃণালকান্তি ঘোষ
- আর লুকাবি কোথা মা কালী [তথ্য]
টুইন। জুন ১৯৩২। এফটি ২০৩১। শিল্পী:
মৃণালকান্তি ঘোষ
- উতল হ'ল শান্ত আকাশ [তথ্য]
এইচএমভি। সেপ্টেম্বর
১৯৩৬। এন ৯৭৭৭। শিল্পী: মড কস্টেলো
- একলা ভাসাই গানের কমল [তথ্য] এইচএমভি। জুলাই
১৯৩৪। এন ৭২৪৮। শিল্পী:
ধীরেন্দ্রনাথ দাস
- এসো হে সজল শ্যাম-ঘন দেয়া [তথ্য] এইচএমভি জুলাই
১৯৩৬। এফটি ৯৭৪৪। শিল্পী: ধীরেন দাস
ও ইন্দুবালা।
- এসেছি তব দ্বারে [তথ্য]
এইচএমভি।
জুন ১৯৩৪। এন ৭২৪৪। শিল্পী: গণি মিঞা
ছদ্মনামে।
ধীরেন্দ্রনাথের পরিচালানায় প্রকাশিত গানের তালিকা
- ঈদের খুশির তুফানে আজ [তথ্য] ]
ঈদল ফেতর। রেকর্ড নাটক।
এইচএমভি ডিসেম্বর ১৯৩৬ । এন ৯৮২৪। শিল্পী:
দলগত গান। কোরাস (মহিলা কণ্ঠ)।
- এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ [তথ্য]
ঈদল ফেতর। রেকর্ড নাটক।
এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৩৬ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৩)। এন ৯৮২৩। শিল্পী:
ধীরেন্দ্রনাথ দাস। পরিচালনা:
ধীরেন্দ্রনাথ দাস।
- প্রাণের প্রিয়তম ঠাকুর
[তথ্য]
ঈদল ফেতর। রেকর্ড নাটক।
এইচএমভিভি এন ৯৮২৪।
শিল্পী:
ধীরেন্দ্রনাথ দাস। চরিত্র: ফকির।]
রেকরডে
কাজী নজরুল
ইসলামের গানে গেয়ে তিনি শিল্পী ও সুরকার হিসবে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেছিলেন।