বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: পূজা ১৫৭
ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু,
পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু
॥
এই-যে হিয়া থরোথরো কাঁপে আজি এমনতরো
এই বেদনা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু॥
এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু,
পিছন-পানে তাকাই যদি কভু।
দিনের তাপে রৌদ্রজ্বালায় শুকায় মালা পূজার থালায়,
সেই ম্লানতা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু॥
RBVBMS 229]
[নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে-
'১৬ আশ্বিন/শান্তিনিকেতন'।
উল্লেখ্য, ১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে
আশ্বিন পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন।
এর ভিতরে এই গানটি তিনি
১৬ আশ্বিন [শনিবার, ৩ অক্টোবর]
শান্তিনিকেতন-এ রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩ বৎসর ৫ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
পত্রিকা:
-
আনন্দসঙ্গীত
(আশ্বিন-কার্তিক ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূ্ত্র:
পাওয়া যায় নি।
কবিকৃত অনুবাদ:
Forgive my languor, O Lord,
if ever I lag behind
upon life’s way.
Forgive my anguished heart
which trembles and hesitates
in its service.
Forgive my fondness
that lavishes its wealth
upon an unprofitable past.
Forgive these faded flowers
in my offering
that wilt in the fierce heat
of panting hours.
প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় গীতালি (১৩২১)-র প্রথম সংস্করণে। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, সেগুলো হলো- আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা 'আশ্বিন-কার্তিক ১৩২৩' সংখ্যা, কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (১৩২৩), গীতলেখা তৃতীয় ভাগ (১৩২৭), গীতিচর্চ্চা (১৩৩২) ও সঞ্চয়িতা (১৩৩৮)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ-এ গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ৩০ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ১৫৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
- সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান
ত্রয়শ্চত্বারিংশ (৪৩) খণ্ডে গৃহীত
গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি
৩।৩ মাত্রা ছন্দে '
দাদরা'
তালে নিবদ্ধ।
- রাগ :
ইমনকল্যাণ। তাল :
দাদরা।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪৮]
- রাগ:
ইমনকল্যাণ। তাল:
দাদরা
।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৮৬।]
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ গানের তালিকা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: পূজা, বির্হ
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের গান
- গ্রহস্বর-সা।
- লয়-মধ্য।